এশিয়া প্যাসিফিকে ফাইভ-জি নির্ভর ওয়াই-ফাই ৬ এনেছে হুয়াওয়ে

এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে দশটি সম্পূর্ণ নতুন এয়ারইঞ্জিন ওয়াই-ফাই ৬ সিরিজ মডেল উন্মোচন করেছে হুয়াওয়ে। নতুন চালু হওয়া এই পণ্য বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে উন্নতমানের সেবা দিবে এবং এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর ডিজিটাল রূপান্তরের নতুন ভিত্তি হিসেবে উচ্চ মানসম্পন্ন পুরোপুরি ওয়্যারলেস ক্যাম্পাস (এলাকা) স্থাপনের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।

হুয়াওয়ের এয়ারইঞ্জিন ওয়াই-ফাই ৬ সিরিজের পণ্যগুলোতে রয়েছে ডুয়াল ব্যান্ড স্মার্ট অ্যান্টেনা, লসলেস রোমিং এবং ডাইনামিক টার্বোর (এক ধরনের বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাপ্লিকেশন অ্যাকসেলারেশন প্রযুক্তি) মতো প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন। নতুন মডেলগুলোর মধ্যে ফ্ল্যাগশিপ এয়ারইঞ্জিন ওয়াই-ফাই ৬ ৮৭৬০ সিরিজের ১৬ স্পেশিয়াল স্ট্রিম দিবে প্রতি সেকেন্ডে ১০ গিগাবাইট ও তার চেয়ে বেশি স্পীড। হুয়াওয়ের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ওয়াই-ফাই ৬ ব্যবহার করবে, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন দক্ষতা ও সেবার ডিজিটালকরণে নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির অন্যতম ভিত্তি হবে ওয়াই-ফাই।

এ নিয়ে হুয়াওয়ের ডাটা কমিউনিকেশন প্রোডাক্ট লাইনের ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক ডোমেইনের প্রেসিডেন্ট লি শিং বলেন, ‘ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিনিয়ত নতুন ডিজিটাল সেবার আবির্ভাব ঘটছে। এ সময় বিদ্যমান ওয়াই-ফাই ৫ নেটওয়ার্কের সক্ষমতায় কার্যকরী হচ্ছে না যা নতুন সেবার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সীমাবদ্ধ করে রাখছে। ’

নতুন অবকাঠামো নির্মাণকে ত্বরান্বিত করছে ফাইভ-জি, আইওটি এবং এআই- এর মতো নতুন ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং এ নতুন অবকাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ডাটা সেন্টার ভার্চুয়ালাইজেশনের যুগ থেকে ইন্টেলিজেন্স যুগে যাচ্ছে। এ যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে ক্লাউডফেব্রিক সল্যুশন নিয়ে আসার কথাও জানিয়েছে হুয়াওয়ে।

ফ্ল্যাগশিপ ক্লাউডইঞ্জিন সুইচ (এআই চিপ সংযুক্ত এবং ৪০০জিই পোর্ট ডেনসিটির সর্বোচ্চ সক্ষমতা বিশিষ্ট) রয়েছে), উদ্ভাবনী আইলসলেস অ্যালগরিদম এবং আইমাস্টার এনসিই-ভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট ও কন্ট্রোল সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এ ক্লাউডফেব্রিক সল্যুশন। হুয়াওয়ের ক্লাউডফেব্রিকের মাধ্যমে গ্রাহকরা সহজেই ইন্টেলিজেন্স যুগের শীর্ষস্থানীয় মানের ডাটা সেন্টার তৈরি করতে পারবে, যা হবে পরবর্তী প্রজন্মের আল্ট্রা-ব্রডব্যান্ড, লসলেস এবং বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ডাটা সেন্টার নেটওয়ার্ক। এ বিষয়ে হুয়াওয়ে এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের সিটিও অফিসের সিনিয়র সল্যুশন ডিরেক্টর উ ইশেং বলেন, ‘এন্টারপ্রাইজ ডিজিটাল রূপান্তর বুদ্ধিমত্তার নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করছে, যেখানে বিস্তৃত পরিসরে এআই প্রয়োগ করা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সম্পূর্ণ ডাটা সেন্টার নেটওয়ার্কে পুরোপুরিভাবে বুদ্ধিমত্তা সংযুক্তি অর্জনের মাধ্যমে হুয়াওয়ে ক্লাউডফেব্রিক এ শিল্পখাতে প্রথমবারের মতো লেভেল ৩ স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং নেটওয়ার্কের সূচনা করেছে। নেটওয়ার্কের সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার সংযুক্তি এধাই সেবাকে আরও কার্যকরী উপায়ে পরিচালিত করবে যা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ব্যবসায়িক সফলতাকে ত্বরান্বিত করবে।’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

বৃহস্পতিবার, ০৭ মে ২০২০ , ২৪ বৈশাখ ১৪২৭, ১৩ রমাজান ১৪৪১

এশিয়া প্যাসিফিকে ফাইভ-জি নির্ভর ওয়াই-ফাই ৬ এনেছে হুয়াওয়ে

image

এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে দশটি সম্পূর্ণ নতুন এয়ারইঞ্জিন ওয়াই-ফাই ৬ সিরিজ মডেল উন্মোচন করেছে হুয়াওয়ে। নতুন চালু হওয়া এই পণ্য বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে উন্নতমানের সেবা দিবে এবং এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর ডিজিটাল রূপান্তরের নতুন ভিত্তি হিসেবে উচ্চ মানসম্পন্ন পুরোপুরি ওয়্যারলেস ক্যাম্পাস (এলাকা) স্থাপনের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।

হুয়াওয়ের এয়ারইঞ্জিন ওয়াই-ফাই ৬ সিরিজের পণ্যগুলোতে রয়েছে ডুয়াল ব্যান্ড স্মার্ট অ্যান্টেনা, লসলেস রোমিং এবং ডাইনামিক টার্বোর (এক ধরনের বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন অ্যাপ্লিকেশন অ্যাকসেলারেশন প্রযুক্তি) মতো প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন। নতুন মডেলগুলোর মধ্যে ফ্ল্যাগশিপ এয়ারইঞ্জিন ওয়াই-ফাই ৬ ৮৭৬০ সিরিজের ১৬ স্পেশিয়াল স্ট্রিম দিবে প্রতি সেকেন্ডে ১০ গিগাবাইট ও তার চেয়ে বেশি স্পীড। হুয়াওয়ের ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ওয়াই-ফাই ৬ ব্যবহার করবে, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন দক্ষতা ও সেবার ডিজিটালকরণে নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির অন্যতম ভিত্তি হবে ওয়াই-ফাই।

এ নিয়ে হুয়াওয়ের ডাটা কমিউনিকেশন প্রোডাক্ট লাইনের ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক ডোমেইনের প্রেসিডেন্ট লি শিং বলেন, ‘ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিনিয়ত নতুন ডিজিটাল সেবার আবির্ভাব ঘটছে। এ সময় বিদ্যমান ওয়াই-ফাই ৫ নেটওয়ার্কের সক্ষমতায় কার্যকরী হচ্ছে না যা নতুন সেবার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সীমাবদ্ধ করে রাখছে। ’

নতুন অবকাঠামো নির্মাণকে ত্বরান্বিত করছে ফাইভ-জি, আইওটি এবং এআই- এর মতো নতুন ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং এ নতুন অবকাঠামোর গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ডাটা সেন্টার ভার্চুয়ালাইজেশনের যুগ থেকে ইন্টেলিজেন্স যুগে যাচ্ছে। এ যাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে ক্লাউডফেব্রিক সল্যুশন নিয়ে আসার কথাও জানিয়েছে হুয়াওয়ে।

ফ্ল্যাগশিপ ক্লাউডইঞ্জিন সুইচ (এআই চিপ সংযুক্ত এবং ৪০০জিই পোর্ট ডেনসিটির সর্বোচ্চ সক্ষমতা বিশিষ্ট) রয়েছে), উদ্ভাবনী আইলসলেস অ্যালগরিদম এবং আইমাস্টার এনসিই-ভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট ও কন্ট্রোল সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এ ক্লাউডফেব্রিক সল্যুশন। হুয়াওয়ের ক্লাউডফেব্রিকের মাধ্যমে গ্রাহকরা সহজেই ইন্টেলিজেন্স যুগের শীর্ষস্থানীয় মানের ডাটা সেন্টার তৈরি করতে পারবে, যা হবে পরবর্তী প্রজন্মের আল্ট্রা-ব্রডব্যান্ড, লসলেস এবং বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ডাটা সেন্টার নেটওয়ার্ক। এ বিষয়ে হুয়াওয়ে এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের সিটিও অফিসের সিনিয়র সল্যুশন ডিরেক্টর উ ইশেং বলেন, ‘এন্টারপ্রাইজ ডিজিটাল রূপান্তর বুদ্ধিমত্তার নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করছে, যেখানে বিস্তৃত পরিসরে এআই প্রয়োগ করা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সম্পূর্ণ ডাটা সেন্টার নেটওয়ার্কে পুরোপুরিভাবে বুদ্ধিমত্তা সংযুক্তি অর্জনের মাধ্যমে হুয়াওয়ে ক্লাউডফেব্রিক এ শিল্পখাতে প্রথমবারের মতো লেভেল ৩ স্বয়ংক্রিয় ড্রাইভিং নেটওয়ার্কের সূচনা করেছে। নেটওয়ার্কের সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার সংযুক্তি এধাই সেবাকে আরও কার্যকরী উপায়ে পরিচালিত করবে যা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ব্যবসায়িক সফলতাকে ত্বরান্বিত করবে।’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।