হিমালয়ের চূড়ায় ফাইভ-জি সেবা চালু করল চায়না মোবাইল ও হুয়াওয়ের ফাইভ-জি সেবা

হিমালয়ের চূড়ায় ফাইভ-জি সেবা চালু করলো চায়না মোবাইল ও হুয়াওয়ে। প্রতিষ্ঠান দু’টি হিমালয়ের ৬৫০০ মিটার উচ্চতায় ফাইভ-জি বেস স্টেশন তৈরি করেছে। একই সঙ্গে এই উচ্চতায় গিগাবিট অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক উন্মোচনের পাশাপাশি চায়না মোবাইলকে এর ডুয়াল গিগাবিট নেটওয়ার্ক চালু করতে সহায়তা করেছে হুয়াওয়ে।

হিমালয়ের উত্তর প্রান্ত দিয়ে আরোহণের ৬০তম বার্ষিকী ও হিমালয় নিয়ে চায়নার প্রথম আনুষ্ঠানিক সঠিক পরিমাপ ঘোষণার ৪৫তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ বছর নতুন করে হিমালয়ের পরিমাপের কাজ হাতে নেয়া হয়। চালু হওয়া এই ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এই পুনঃ পরিমাপে সহায়তা করবে। চায়না মোবাইলের এভারেস্ট ডুয়াল গিগাবিট নেটওয়ার্ক নির্মাণে এ--টু-এ- সল্যুশন দেবে হুয়াওয়ে। হিমালয়ের বেজ ক্যাম্পের ৫৩০০ মিটার উচ্চতায় নির্মাণ করা হয়েছে বেস স্টেশনগুলো, ৫৮০০ মিটার উচ্চতায় একটি ট্রানজিশন ক্যাম্প এবং ৬৫০০ মিটার উচ্চতায় ফরওয়ার্ড ক্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে। হুয়াওয়ের ফাইভ-জি এএইউ ও এসপিএন প্রযুক্তি এই বেস স্টেশনগুলোতে প্রয়োগ করা হয়। এই স্টেশনগুলোর নেটওয়ার্কের রক্ষণাবেক্ষণ ও সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য নেটওয়ার্ক বিশেষজ্ঞগণ ২৪/৭ ওই এলাকাগুলোর ৫৩০০ মিটার ও তার অধিক উচ্চতায় অবস্থান করে নেটওয়ার্ক কার্যক্রম নিশ্চিতে কাজ করেছে। হুয়াওয়ের ফাইভ-জি এএইউ আকারে কমপ্যাক্ট (ছোট বা সহজে বহনযোগ্য) ও বেশ সমন্বিত, যা খুব সহজেই স্থাপন করা যায়। মাউন্ট এভারেন্টের মতো দুর্গম এলাকায় অবকাঠামো স্থাপনের ক্ষেত্রে এটি বেশ উপযোগী। এই প্রকল্পে, ‘স্ট্যান্ড অ্যালোন প্লাস নন-স্ট্যান্ড অ্যালোন’ (এসএ+এনএসএ) এর নেটওয়ার্ক মোড পাঁচটি ফাইভ-জি বেস স্টেশনগুলোকে সংযুক্ত করবে। ইতোমধ্যে, হুয়াওয়ের ম্যাসিভ এমআইএমও প্রযুক্তি (দ্রুতগতি ও বিরাট ব্যান্ডউইথ সমর্থিত) দ্রুতগতির ফাইভ-জি ও বিশাল-ধারণক্ষম কানেক্টিভিটি অর্জন করেছে। হুয়াওয়ের ম্যাসিভ এমআইএমও প্রযুক্তি চমৎকার কাভারেজের জন্য বেশ বিশ^স্ত। এর উচ্চ ত্রিমাত্রিক সরু বিমের কারণে এই প্রযুক্তিটি মাউন্ট এভারেস্টে নির্দিষ্টভাবে উল্লম্বভাবে বেশ ভালো সেবা দেবে। ৫৩০০ মিটার উচ্চতায়, ফাইভ-জির ডাউনলোড স্পীড হবে ১.৬৬ জিবিপিএসের বেশি, অন্যদিকে আপলোড স্পীড হবে ২১৫ এমবিপিএস। হোলোসেন্স ইন্টেলিজেন্ট ভিডিও সারভাইলেন্স সিস্টেম দিয়ে হুয়াওয়ে অপটিমাইজেশন ও ফল্ট লোকেটিং এর সহায়তায় এক ক্লিকের মাধ্যমে নিশ্চিত করবে স্ট্রিমিং কোয়ালিটি। এমনকি হিমালয়ের চূড়ায় ৬৫০০ মিটার উচ্চতায় একইমানের নেটওয়ার্ক বজায় থাকবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

সোমবার, ১১ মে ২০২০ , ২৮ বৈশাখ ১৪২৭, ১৭ রমাজান ১৪৪১

হিমালয়ের চূড়ায় ফাইভ-জি সেবা চালু করল চায়না মোবাইল ও হুয়াওয়ের ফাইভ-জি সেবা

image

হিমালয়ের চূড়ায় ফাইভ-জি সেবা চালু করলো চায়না মোবাইল ও হুয়াওয়ে। প্রতিষ্ঠান দু’টি হিমালয়ের ৬৫০০ মিটার উচ্চতায় ফাইভ-জি বেস স্টেশন তৈরি করেছে। একই সঙ্গে এই উচ্চতায় গিগাবিট অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক উন্মোচনের পাশাপাশি চায়না মোবাইলকে এর ডুয়াল গিগাবিট নেটওয়ার্ক চালু করতে সহায়তা করেছে হুয়াওয়ে।

হিমালয়ের উত্তর প্রান্ত দিয়ে আরোহণের ৬০তম বার্ষিকী ও হিমালয় নিয়ে চায়নার প্রথম আনুষ্ঠানিক সঠিক পরিমাপ ঘোষণার ৪৫তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ বছর নতুন করে হিমালয়ের পরিমাপের কাজ হাতে নেয়া হয়। চালু হওয়া এই ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এই পুনঃ পরিমাপে সহায়তা করবে। চায়না মোবাইলের এভারেস্ট ডুয়াল গিগাবিট নেটওয়ার্ক নির্মাণে এ--টু-এ- সল্যুশন দেবে হুয়াওয়ে। হিমালয়ের বেজ ক্যাম্পের ৫৩০০ মিটার উচ্চতায় নির্মাণ করা হয়েছে বেস স্টেশনগুলো, ৫৮০০ মিটার উচ্চতায় একটি ট্রানজিশন ক্যাম্প এবং ৬৫০০ মিটার উচ্চতায় ফরওয়ার্ড ক্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে। হুয়াওয়ের ফাইভ-জি এএইউ ও এসপিএন প্রযুক্তি এই বেস স্টেশনগুলোতে প্রয়োগ করা হয়। এই স্টেশনগুলোর নেটওয়ার্কের রক্ষণাবেক্ষণ ও সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য নেটওয়ার্ক বিশেষজ্ঞগণ ২৪/৭ ওই এলাকাগুলোর ৫৩০০ মিটার ও তার অধিক উচ্চতায় অবস্থান করে নেটওয়ার্ক কার্যক্রম নিশ্চিতে কাজ করেছে। হুয়াওয়ের ফাইভ-জি এএইউ আকারে কমপ্যাক্ট (ছোট বা সহজে বহনযোগ্য) ও বেশ সমন্বিত, যা খুব সহজেই স্থাপন করা যায়। মাউন্ট এভারেন্টের মতো দুর্গম এলাকায় অবকাঠামো স্থাপনের ক্ষেত্রে এটি বেশ উপযোগী। এই প্রকল্পে, ‘স্ট্যান্ড অ্যালোন প্লাস নন-স্ট্যান্ড অ্যালোন’ (এসএ+এনএসএ) এর নেটওয়ার্ক মোড পাঁচটি ফাইভ-জি বেস স্টেশনগুলোকে সংযুক্ত করবে। ইতোমধ্যে, হুয়াওয়ের ম্যাসিভ এমআইএমও প্রযুক্তি (দ্রুতগতি ও বিরাট ব্যান্ডউইথ সমর্থিত) দ্রুতগতির ফাইভ-জি ও বিশাল-ধারণক্ষম কানেক্টিভিটি অর্জন করেছে। হুয়াওয়ের ম্যাসিভ এমআইএমও প্রযুক্তি চমৎকার কাভারেজের জন্য বেশ বিশ^স্ত। এর উচ্চ ত্রিমাত্রিক সরু বিমের কারণে এই প্রযুক্তিটি মাউন্ট এভারেস্টে নির্দিষ্টভাবে উল্লম্বভাবে বেশ ভালো সেবা দেবে। ৫৩০০ মিটার উচ্চতায়, ফাইভ-জির ডাউনলোড স্পীড হবে ১.৬৬ জিবিপিএসের বেশি, অন্যদিকে আপলোড স্পীড হবে ২১৫ এমবিপিএস। হোলোসেন্স ইন্টেলিজেন্ট ভিডিও সারভাইলেন্স সিস্টেম দিয়ে হুয়াওয়ে অপটিমাইজেশন ও ফল্ট লোকেটিং এর সহায়তায় এক ক্লিকের মাধ্যমে নিশ্চিত করবে স্ট্রিমিং কোয়ালিটি। এমনকি হিমালয়ের চূড়ায় ৬৫০০ মিটার উচ্চতায় একইমানের নেটওয়ার্ক বজায় থাকবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।