করোনাভাইরাস সংকটে পড়ে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া ৭৫০ কোটি টাকা ফেরত চেয়েছে বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। পুঞ্জিভূত অগ্রিম আয়কর ফেরত পেতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছেন সমিতির সভাপতি আলমগীর কবির।
সিমেন্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, সিমেন্ট উৎপাদনকারীরা প্রতি বছর সরকারকে আগাম কর দেয়। বছর শেষে প্রতিটি কোম্পানির করদায় হিসাব করা হলে দেখা যায়, কোম্পানিগুলো বাড়তি কর দিয়েছে। এভাবে জমতে জমতে গত অর্থবছর পর্যন্ত কোম্পানিগুলো সরকারের কাছে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা পাওনা হয়েছে বলে জানান তারা। করোনাভাইরাস সংকটে অন্য শিল্পখাতের মতো সিমেন্ট খাতও বিপর্যস্ত। উৎপাদন ৯০ শতাংশ বন্ধ বলে এই খাত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তাই সংকটে পড়ে সরকারকে দেয়া আগাম কর এখন ফেরত পেলে কোম্পানিগুলোর হাতে কিছু নগদ অর্থ আসবে বলে এই পদক্ষেপ বলে জানান আলমগীর।
তিনি বলেন, সব সিমেন্ট কোম্পানির সম্মিলিতভাবে ৭৫০ কোটি টাকারও বেশি অসমন্বিত অগ্রিম আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা রয়েছে। যদি ১০ শতাংশ হারে সুদ বিবেচনায় নেয়া হয়, তাহলে সিমেন্ট খাতটি শুধু সুদ হিসাবে প্রতি বছর ৭৫ কোটি টাকা হারাচ্ছে। দুঃখের বিষয় যে, এ ফেরতযোগ্য টাকাগুলো বছরের পর বছর পড়ে থাকে এবং বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও তা নগদে ফেরত পাওয়া যায় না। বিগত কয়েক বছর যাবত এ শিল্প খাতটি বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে। সারাদেশে সিমেন্টের চাহিদা ৩৩ মিলিয়ন টন হলেও আমাদের মোট উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ৭৮ মিলিয়ন টন। আগামী তিন বছরে সিমেন্ট উৎপাদন ক্ষমতা আরও ১১ টন যুক্ত হবে। কঠিন প্রতিযোগিতায় গত কয়েক বছর যাবত সিমেন্টের দাম ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়েছে। নভেল করোনাভাইরাস সিমেন্ট শিল্প খাতে বড় ধরনের আঘাত হেনেছে।
সোমবার, ১৮ মে ২০২০ , ৪ জৈষ্ঠ্য ১৪২৭, ২৪ রমাজান ১৪৪১
করোনাভাইরাস সংকটে পড়ে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া ৭৫০ কোটি টাকা ফেরত চেয়েছে বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। পুঞ্জিভূত অগ্রিম আয়কর ফেরত পেতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছেন সমিতির সভাপতি আলমগীর কবির।
সিমেন্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, সিমেন্ট উৎপাদনকারীরা প্রতি বছর সরকারকে আগাম কর দেয়। বছর শেষে প্রতিটি কোম্পানির করদায় হিসাব করা হলে দেখা যায়, কোম্পানিগুলো বাড়তি কর দিয়েছে। এভাবে জমতে জমতে গত অর্থবছর পর্যন্ত কোম্পানিগুলো সরকারের কাছে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা পাওনা হয়েছে বলে জানান তারা। করোনাভাইরাস সংকটে অন্য শিল্পখাতের মতো সিমেন্ট খাতও বিপর্যস্ত। উৎপাদন ৯০ শতাংশ বন্ধ বলে এই খাত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তাই সংকটে পড়ে সরকারকে দেয়া আগাম কর এখন ফেরত পেলে কোম্পানিগুলোর হাতে কিছু নগদ অর্থ আসবে বলে এই পদক্ষেপ বলে জানান আলমগীর।
তিনি বলেন, সব সিমেন্ট কোম্পানির সম্মিলিতভাবে ৭৫০ কোটি টাকারও বেশি অসমন্বিত অগ্রিম আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা রয়েছে। যদি ১০ শতাংশ হারে সুদ বিবেচনায় নেয়া হয়, তাহলে সিমেন্ট খাতটি শুধু সুদ হিসাবে প্রতি বছর ৭৫ কোটি টাকা হারাচ্ছে। দুঃখের বিষয় যে, এ ফেরতযোগ্য টাকাগুলো বছরের পর বছর পড়ে থাকে এবং বারবার আবেদন করা সত্ত্বেও তা নগদে ফেরত পাওয়া যায় না। বিগত কয়েক বছর যাবত এ শিল্প খাতটি বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে। সারাদেশে সিমেন্টের চাহিদা ৩৩ মিলিয়ন টন হলেও আমাদের মোট উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ৭৮ মিলিয়ন টন। আগামী তিন বছরে সিমেন্ট উৎপাদন ক্ষমতা আরও ১১ টন যুক্ত হবে। কঠিন প্রতিযোগিতায় গত কয়েক বছর যাবত সিমেন্টের দাম ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়েছে। নভেল করোনাভাইরাস সিমেন্ট শিল্প খাতে বড় ধরনের আঘাত হেনেছে।