চট্টগ্রামে ৬টি হাসপাতালে করোনার জন্য ৭৩০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার

প্রস্তুত চিকিৎসক নার্স

ঢাকা আর নারায়ণগঞ্জের মতো করোনাভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ চট্টগ্রামে আরও আগে থেকে শুরু হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আক্রান্ত ব্যক্তি থাকায় মহানগরীর একের পর এক ভবনগুলো লকডাউন হচ্ছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রতিদিনই নতুন আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এমতাবস্থায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের জন্য আরও ৭৩০ শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে সীমিত। অন্যদিকে, প্লাজমা সংগ্রহে সিএমপির ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। করোনার সেবা দিতে সিভিল সার্জন অফিসের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়া আগামীকাল থেকে করোনা রোগী ভর্তি হচ্ছে রেলওয়ে হাসপাতালে।

জানা গেছে, সিআরবির বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতালে কাল থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ভর্তি করা হবে। হাসপাতালটিতে ১০০ শয্যায় করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে।এছাড়া করোনা রোগীদের জন্য ৭৩০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারও প্রস্তুত হচ্ছে।

পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (সিএমও) ডা. সামশুল আলম মো. ইমতিয়াজ বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। স্বাস্থ্য অধিদফতর যেদিন থেকে রোগী ভর্তি করাবে ওইদিন থেকে চিকিৎসাসেবা দেয়া শুরু হবে। দুয়েকদিনের মধ্যে তারা রোগী পাঠাবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, সোমবার থেকে আশা করছি আমরা করোনা রোগী সেখানে স্থানান্তর করবো। চিকিৎসক, নার্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ওই হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি হলে অন্য হাসপাতালে চাপ কিছুটা হলেও কমবে।

অন্যদিকে, দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রামে আরও ৬টি হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ৭৩০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে নগরে স্বাস্থ্য সেবাদানকারী অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এসব শয্যা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর মধ্যে সিআরবি রেলওয়ে হাসপাতালকে ১৫০ শয্যা, হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে ৮০ শয্যা, ভাটিয়ারির বিএসবিএ হাসপাতালকে ১০০ শয্যা, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ সিটি হলে ৩০০ শয্যা ও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালকে ১০০ শয্যার করোনা আইসোলেশন সেন্টার করা হচ্ছে।

নতুন ছয়টি করোনা হাসপাতাল চালুর বিষয়ে সার্কিট হাউসে সমন্বয় সভায় মেয়র এসব তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. মজিবুল হক খান প্রমুখ।

মেয়র বলেন, চিকিৎসা কেন্দ্র বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আমাদের জন্য সহজ হয়ে উঠবে। নগরীতে ৬টি করোনা টেস্টিং বুথ পুরো দমে চালু হতে যাচ্ছে। জামালখানের চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, ফিরঙ্গি বাজার, ছোটপুল, বিবিরহাট, চান্দগাঁও এবং পতেঙ্গায় ব্র্যাকের সহায়তায় এসব বুথ বসানো হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত কন্ট্রোল রুম চালু করেছে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বির নেতৃত্বে জেলার পরিসংখ্যানবিদ সুজন বড়ুয়া ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, সিভিল সার্জন অফিসের একজন চিকিৎসকের নেতৃত্বে প্রতিদিন ২ শিফটে চারজন করে দায়িত্ব পালন করছেন। এক শিফটে ২ জন করে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা প্রথম শিফট। রাত ৮টা থেকে পরের দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত ২ শিফট করে দায়িত্ব পালন করছেন। দিনের ২৪ ঘণ্টা এই কন্ট্রোল রুম চালু থাকছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম জেলার করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত সবধরনের তথ্য ফোন করে জানা যাবে কন্ট্রোল রুম থেকে। কন্ট্রোল রুমের নাম্বার ০৩১-৬৩৪৮৪৩। এছাড়াও জেলার ফোকাল পারসন ডা. মো. নুরুল হায়দার, মেডিকেল অফিসার (ডিজিজ কন্ট্রোল)-০১৮১৬০৩১১২১।

তবে করোনা থেকে সুস্থ হওয়াদের মধ্য থেকে প্লাজমা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। ইতোমধ্যে সুস্থ হওয়া ৩৯ জন পুলিশ সদস্যের রক্তের গ্রুপ চিহ্নিত করে ডাটাবেজও তৈরি করেছে সিএমপি। এছাড়া মহানগরীতে সাধারণ যারা এ পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন তাদেরও রক্তের গ্রুপ চিহ্নিত করে ডাটাবেইজ তৈরির কাজ করছে সিএমপির থানা ইউনিটগুলো। ইতোমধ্যে অরুণ নামের এক পুলিশ সদস্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্লাজমা দান করেছেন। সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক ডাটাব্যাজ তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্লাজমা করোনার থেকে মুক্তির সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। যার কারণে করোনা থেকে সুস্থ হওয়াদের প্লাজমা (রক্তের হলুদ উপাদান) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি অনুধাবন করে সিএমপি কমিশনার মাহবুবুর রহমান প্লাজমা সংগ্রহের উদ্যোগ নেন এবং সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন।

আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এ প্লাজমা সংগ্রহ নগরবাসীর জন্য আশার প্রদীপ বলা যায়। কেননা করোনা থেকে মুক্তিতে এটি অনেক কার্যকর উপাদান। যেটি ইতোমধ্যে দেশ বিদেশে অনেকটাই সফলতা দেখিয়েছে।

রবিবার, ৩১ মে ২০২০ , ১৭ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ৭ শাওয়াল ১৪৪১

প্লাজমা সংগ্রহে সিএমপির ডাটাবেজ

চট্টগ্রামে ৬টি হাসপাতালে করোনার জন্য ৭৩০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার

প্রস্তুত চিকিৎসক নার্স

নিরুপম দাশগুপ্ত, চট্টগ্রাম ব্যুরো

ঢাকা আর নারায়ণগঞ্জের মতো করোনাভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ চট্টগ্রামে আরও আগে থেকে শুরু হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আক্রান্ত ব্যক্তি থাকায় মহানগরীর একের পর এক ভবনগুলো লকডাউন হচ্ছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রতিদিনই নতুন আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এমতাবস্থায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের জন্য আরও ৭৩০ শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে সীমিত। অন্যদিকে, প্লাজমা সংগ্রহে সিএমপির ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। করোনার সেবা দিতে সিভিল সার্জন অফিসের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়া আগামীকাল থেকে করোনা রোগী ভর্তি হচ্ছে রেলওয়ে হাসপাতালে।

জানা গেছে, সিআরবির বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতালে কাল থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ভর্তি করা হবে। হাসপাতালটিতে ১০০ শয্যায় করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে।এছাড়া করোনা রোগীদের জন্য ৭৩০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারও প্রস্তুত হচ্ছে।

পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (সিএমও) ডা. সামশুল আলম মো. ইমতিয়াজ বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। স্বাস্থ্য অধিদফতর যেদিন থেকে রোগী ভর্তি করাবে ওইদিন থেকে চিকিৎসাসেবা দেয়া শুরু হবে। দুয়েকদিনের মধ্যে তারা রোগী পাঠাবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, সোমবার থেকে আশা করছি আমরা করোনা রোগী সেখানে স্থানান্তর করবো। চিকিৎসক, নার্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ওই হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি হলে অন্য হাসপাতালে চাপ কিছুটা হলেও কমবে।

অন্যদিকে, দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রামে আরও ৬টি হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ৭৩০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে নগরে স্বাস্থ্য সেবাদানকারী অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এসব শয্যা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর মধ্যে সিআরবি রেলওয়ে হাসপাতালকে ১৫০ শয্যা, হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে ৮০ শয্যা, ভাটিয়ারির বিএসবিএ হাসপাতালকে ১০০ শয্যা, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ সিটি হলে ৩০০ শয্যা ও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালকে ১০০ শয্যার করোনা আইসোলেশন সেন্টার করা হচ্ছে।

নতুন ছয়টি করোনা হাসপাতাল চালুর বিষয়ে সার্কিট হাউসে সমন্বয় সভায় মেয়র এসব তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. মজিবুল হক খান প্রমুখ।

মেয়র বলেন, চিকিৎসা কেন্দ্র বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আমাদের জন্য সহজ হয়ে উঠবে। নগরীতে ৬টি করোনা টেস্টিং বুথ পুরো দমে চালু হতে যাচ্ছে। জামালখানের চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, ফিরঙ্গি বাজার, ছোটপুল, বিবিরহাট, চান্দগাঁও এবং পতেঙ্গায় ব্র্যাকের সহায়তায় এসব বুথ বসানো হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত কন্ট্রোল রুম চালু করেছে। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বির নেতৃত্বে জেলার পরিসংখ্যানবিদ সুজন বড়ুয়া ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, সিভিল সার্জন অফিসের একজন চিকিৎসকের নেতৃত্বে প্রতিদিন ২ শিফটে চারজন করে দায়িত্ব পালন করছেন। এক শিফটে ২ জন করে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা প্রথম শিফট। রাত ৮টা থেকে পরের দিন সকাল ৮টা পর্যন্ত ২ শিফট করে দায়িত্ব পালন করছেন। দিনের ২৪ ঘণ্টা এই কন্ট্রোল রুম চালু থাকছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম জেলার করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত সবধরনের তথ্য ফোন করে জানা যাবে কন্ট্রোল রুম থেকে। কন্ট্রোল রুমের নাম্বার ০৩১-৬৩৪৮৪৩। এছাড়াও জেলার ফোকাল পারসন ডা. মো. নুরুল হায়দার, মেডিকেল অফিসার (ডিজিজ কন্ট্রোল)-০১৮১৬০৩১১২১।

তবে করোনা থেকে সুস্থ হওয়াদের মধ্য থেকে প্লাজমা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। ইতোমধ্যে সুস্থ হওয়া ৩৯ জন পুলিশ সদস্যের রক্তের গ্রুপ চিহ্নিত করে ডাটাবেজও তৈরি করেছে সিএমপি। এছাড়া মহানগরীতে সাধারণ যারা এ পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন তাদেরও রক্তের গ্রুপ চিহ্নিত করে ডাটাবেইজ তৈরির কাজ করছে সিএমপির থানা ইউনিটগুলো। ইতোমধ্যে অরুণ নামের এক পুলিশ সদস্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্লাজমা দান করেছেন। সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক ডাটাব্যাজ তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্লাজমা করোনার থেকে মুক্তির সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। যার কারণে করোনা থেকে সুস্থ হওয়াদের প্লাজমা (রক্তের হলুদ উপাদান) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি অনুধাবন করে সিএমপি কমিশনার মাহবুবুর রহমান প্লাজমা সংগ্রহের উদ্যোগ নেন এবং সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন।

আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এ প্লাজমা সংগ্রহ নগরবাসীর জন্য আশার প্রদীপ বলা যায়। কেননা করোনা থেকে মুক্তিতে এটি অনেক কার্যকর উপাদান। যেটি ইতোমধ্যে দেশ বিদেশে অনেকটাই সফলতা দেখিয়েছে।