মনিটরিং করবে পুলিশ

করোনা সংক্রমণের মধ্যেই আজ থেকে সারাদেশে চালু হচ্ছে গণপরিবহন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নেয়ার ঘোষণা বাস্তবায়নে মাঠে থাকবে পুলিশের ট্রাফিক এবং স্পেশাল ক্রাইম টিম। পুরো বিষয়টি ম্যানেজ করবে পুলিশ সদর দফতরের ট্রাফিক ম্যানেজম্যান্ট বিভাগ। কোন পরিবহনে বেশি যাত্রী নেয়া হচ্ছে কিনা অথবা স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করা হচ্ছে কিনা এসব বিষয়টি মনিটরিং করবে ট্রাফিক পুলিশ এবং স্পেশাল ক্রাইম টিম।

পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহা পুলিশ পরিদর্শক (এআইডি মিডিয়া) সোহেল রানা জানান, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল শুরু হচ্ছে। এ কারণে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টকে ঢেলে সাজানো হয়েছে । করোনা দুর্যোগের কারণে পুলিশের ক্রাইম এবং ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট কর্মকাণ্ডে শিথিলতা চলে আসে। কিন্তু সরকার যেহেতু গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে, কোন সরকারি ছুটি ঘোষণা করেনি, এ কারণে বাংলাদেশ পুলিশ নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামবে।

তিনি আরও বলেন, এ জন্য প্রতিটি থানাকে নতুন করে ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট পরিকল্পনা করে কাজ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যেসব পরিবহন চলাচল করবে সেখানে সরকারের বেধে দেয়া স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য ট্রাফিক পুলিশকে নতুনভাবে পরিকল্পনা করে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। ১ জুন থেকে এ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে কাজ করবে পুলিশ। এজন্য জনগণকেও সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি। এআইজি সোহেল রানা বলেন, ভাইরাসটি আমাদের দেশে কতদিন থাকবে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। এ কারণে পুলিশের আগের কাজ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, লোকজনকে অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়া, বিভিন্ন মানবিক সহযোগিতা, সর্বোপরি জনগণকে সচেতন করার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

পুলিশের ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কর্মকর্তা জানান, প্রতিটি বাসে যে কয়টি সিট রয়েছে তার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা হবে। অর্থাৎ ৫০টি সিট থাকলে ২৫ জন যাত্রী তোলা হবে। এক্ষেত্রে ভাড়া কি হবে সেটি মালিক সমিতি ও বিআরটি সিদ্ধাস্ত নিয়েছে। পুলিশ শুধু মনিটরিং করবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী বহনের বিষয়টি। বিআরটিএ এবং পুলিশের মোবাইল টিম থাকবে। নির্দেশনার বাইরে যাত্রী তোলা হলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।

রবিবার, ৩১ মে ২০২০ , ১৭ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ৭ শাওয়াল ১৪৪১

গণপরিবহন চালু

মনিটরিং করবে পুলিশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

করোনা সংক্রমণের মধ্যেই আজ থেকে সারাদেশে চালু হচ্ছে গণপরিবহন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নেয়ার ঘোষণা বাস্তবায়নে মাঠে থাকবে পুলিশের ট্রাফিক এবং স্পেশাল ক্রাইম টিম। পুরো বিষয়টি ম্যানেজ করবে পুলিশ সদর দফতরের ট্রাফিক ম্যানেজম্যান্ট বিভাগ। কোন পরিবহনে বেশি যাত্রী নেয়া হচ্ছে কিনা অথবা স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করা হচ্ছে কিনা এসব বিষয়টি মনিটরিং করবে ট্রাফিক পুলিশ এবং স্পেশাল ক্রাইম টিম।

পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহা পুলিশ পরিদর্শক (এআইডি মিডিয়া) সোহেল রানা জানান, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল শুরু হচ্ছে। এ কারণে ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টকে ঢেলে সাজানো হয়েছে । করোনা দুর্যোগের কারণে পুলিশের ক্রাইম এবং ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট কর্মকাণ্ডে শিথিলতা চলে আসে। কিন্তু সরকার যেহেতু গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে, কোন সরকারি ছুটি ঘোষণা করেনি, এ কারণে বাংলাদেশ পুলিশ নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামবে।

তিনি আরও বলেন, এ জন্য প্রতিটি থানাকে নতুন করে ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট পরিকল্পনা করে কাজ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যেসব পরিবহন চলাচল করবে সেখানে সরকারের বেধে দেয়া স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য ট্রাফিক পুলিশকে নতুনভাবে পরিকল্পনা করে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। ১ জুন থেকে এ পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে কাজ করবে পুলিশ। এজন্য জনগণকেও সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি। এআইজি সোহেল রানা বলেন, ভাইরাসটি আমাদের দেশে কতদিন থাকবে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। এ কারণে পুলিশের আগের কাজ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, লোকজনকে অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়া, বিভিন্ন মানবিক সহযোগিতা, সর্বোপরি জনগণকে সচেতন করার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

পুলিশের ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কর্মকর্তা জানান, প্রতিটি বাসে যে কয়টি সিট রয়েছে তার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা হবে। অর্থাৎ ৫০টি সিট থাকলে ২৫ জন যাত্রী তোলা হবে। এক্ষেত্রে ভাড়া কি হবে সেটি মালিক সমিতি ও বিআরটি সিদ্ধাস্ত নিয়েছে। পুলিশ শুধু মনিটরিং করবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী বহনের বিষয়টি। বিআরটিএ এবং পুলিশের মোবাইল টিম থাকবে। নির্দেশনার বাইরে যাত্রী তোলা হলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।