চিঠিপত্র

এনআইডি সংশোধন সহজ করুন

গত ২ মার্চ ছিল ‘জাতীয় ভোটার দিবস’। এবারে ভোটার দিবসে ‘ভোটার হয়ে ভোট দিব, দেশ গড়ায় অংশ নেব’ স্লোগানকে সামনে রেখে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান করেছে ইসি। বর্তমানে এনআইডি কার্ড শুধু ভোট দেয়া নয়, বরং মোবাইল সিম নিবন্ধন, ব্যাংক হিসাব খোলা, ঋণ প্রাপ্তি, জব সেক্টরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও সঠিক নাগরিকের ন্যায্য অধিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডার হতে আঙ্গুলের ছাপ যাচাইয়ের মাধ্যমে অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চিহ্নিতকরণ, দুর্নীতি রোধসহ বিভিন্ন স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এনআইডি কার্ড অতীব প্রয়োজন।

কিন্তু এনআইডি কার্ড করার পরে হারিয়ে গেলে বা কোন তথ্য ভুল হলে তাকে পরতে হয় বিরাট বিপাকে। ইসিতে আবেদন করে হারানো কার্ড পূনরায় উত্তোলন ও ভুল সংশোধন করতে হয়। কেউ কেউ লোক দ্বারা তদবির করে তার কার্য উদ্ধার করছে। আবার কেউ কেউ অতিরিক্ত টাকা খরচ করে কাজের সমাধান করছে। আর যারা দুটোর কোনটিই করতে পারছে না, তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। অনেকক্ষেত্রে বছরের পর বছর লেগে যাচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হারানো এনআইডি কার্ড পুনরায় উত্তোলন ও ভুল সংশোধনের কাজ সহজ করার ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।

সাইফুদ্দীন আহমেদ

প্রাণীগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত হোক

মুক্ত আকাশ অবারিত প্রান্তর কিংবা বুনো পরিবেশ আপন হলেও, সেই আপন আলোয় এদের ঠায় হয়নি। মানুষের শখ মেটাতেই, খাঁচায় বন্দী জীবন এদের। স্বীকার করে ক্ষুধা নিবারণের উপায় এখানে নেই, মানুষের দেয়া খাবারেই মেটে চাহিদা। করোনা আতঙ্কে কার্যত দেশ যখন লকডাউনের পথে, তখন বন্ধ দোকানের খাঁচায় বন্দী প্রাণীগুলোর জীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ। তাদের প্রতিটি দিন কাটে অসহায় ডাকাডাকি আর পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়ে। চলে ক্ষুধা আর ক্লান্তিতে মাথা তুলে রেখে জীবনে ফেরার সংগ্রাম। কিন্তু নেই খাবার-পানি। বন্ধ ঘরের চারদেয়ালে শুরু হয় অপেক্ষার প্রহর। কিন্তু এ অপেক্ষার যেন শেষ হয় না। তার আগেই হার মেনে যায় বোবা প্রাণীগুলো। বাচ্চারা মায়ের দুধ পেলেও, মায়ের ক্ষুধা ও পিপাসা মেটানোর সুযোগ নেই। মমতাময়ী মায়ের অসহায়ত্বের করুন ডাকে সারা দেবে কে। এভাবে কতসময় বা টিকে থাকতে পারে একটি প্রাণ।

দীর্ঘ অপেক্ষার পরে হওতোবা খাবার পাবার সম্ভাবনা উঁকি দেয়। কিন্তু ততক্ষণে কিছু অবোলা প্রাণ হার মেনে যায় ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কাছে। দোকানের চারদেয়ালে বন্দী প্রাণীগুলোর প্রতিদিনের গল্পগুলো প্রায় অভিন্ন। তাদের নতুন কষ্টের নাম ক্ষুধা আর পিপাসা। করোনাভাইরাসের মরণ ছোঁবলে যেখানে থমকে গেছে মানুষের জীবনযাত্রা, সেখানে বেঁচে থেকেও অনাহারে প্রাণের স্পন্দন হারাতে বসেছে খাঁচায় বন্দী এইসব পশুপাখিরা। আলো বাতাস আর খাবারের অভাবে জীবন সংকটে, দোকানে আবদ্ধ থাকা এইসব প্রাণীদের। এমন পরিস্থিতি আদ্র কাম্য নয়। শেকলবন্দী থাকলেও এই বোবা প্রাণীগুলোর আদর যতেœর অভাব হয় কমই। পশু প্রেম অথবা ব্যবসার খাতিরে এই প্রাণীদের যতেœই রাখেন ব্যবসায়ীরা। খাঁচায়বন্দী এই সব পশু পাখির খাবার দিতে দিনে আন্তত দুই বেলা দোকান খুলতে হয় মালিকদের। দোকান খুললেই আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন বাহিনীর তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ব্যবসা নয় পশু পাখিগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই আরো বেশি কিছু সময়ের জন্য হলেও দোকান খোলা রাখাটা জরুরি বলছেন দোকান মালিকরা। পশু প্রেমকে রুটিরুজি বানিয়ে নেওয়া এই মানুষগুলো চান বেঁচে থাক তাদের ভালোবাসা। বেঁচে থাক বোবা প্রাণীরা।

মো. রাশিদুল ইসলাম

পোশাক শিল্পের পাশে দাঁড়ান

দেশের মোট রপ্তানির ৮৪.২১% আয় আসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে। আর এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত থেকে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছেন ১ কোটিরও বেশি মানুষ। তাদের পরিবারের ৫ কোটি মানুষ এ শিল্পের উপর নির্ভরশীল। এছাড়াও পোশাক শিল্প থেকে অর্জিত অর্থ মোবাইল ব্যাংকিং-রিচার্জ, বাড়িভাড়া প্রদান, বিদ্যুৎ ও পানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্যসামগ্রী, নিত্যপণ্য, প্রসাধনী, বিনোদন, ইন্টারনেট খাতসহ অর্থনীতির প্রায় সব খাতে অবদান রেখে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে অবদান রেখে চলেছে। তাই দেশের মোট জিডিপির ১১.২৯% আয় আসে যাদের মাধ্যমে, এই কঠিন সময়ে সবার উচিত তার পাশে দাঁড়ানো।

গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকার বাড়ি ওলারা যদি আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী দের বাড়ি বাড়া ৬০% নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়াত কত ভালো হতো। তারা কিন্ত গার্মেন্ট শিল্পের মানুষদের জন্যয় বাড়ির মালিক হয়েছেন। গার্মেন্ট শিল্প না থাকলে বাড়ি ওলাদের বাসা পতিত রাখতে হবে। BGMEA, BKMEA এর পক্ষ থেকে যদি বাড়ি ওলাদের প্রতি আবেদন জানান হতো তাহলে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকার বাড়ি ওলারা মানবিক হতো।

খন্দকার জাহিদুল ইসলাম মারুফ

চেয়ারম্যান, অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজার ক্লাব অফ

বাংলাদেশ লি.

আরও খবর

রবিবার, ৩১ মে ২০২০ , ১৭ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ৭ শাওয়াল ১৪৪১

চিঠিপত্র

এনআইডি সংশোধন সহজ করুন

গত ২ মার্চ ছিল ‘জাতীয় ভোটার দিবস’। এবারে ভোটার দিবসে ‘ভোটার হয়ে ভোট দিব, দেশ গড়ায় অংশ নেব’ স্লোগানকে সামনে রেখে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান করেছে ইসি। বর্তমানে এনআইডি কার্ড শুধু ভোট দেয়া নয়, বরং মোবাইল সিম নিবন্ধন, ব্যাংক হিসাব খোলা, ঋণ প্রাপ্তি, জব সেক্টরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও সঠিক নাগরিকের ন্যায্য অধিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডার হতে আঙ্গুলের ছাপ যাচাইয়ের মাধ্যমে অজ্ঞাতনামা লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চিহ্নিতকরণ, দুর্নীতি রোধসহ বিভিন্ন স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এনআইডি কার্ড অতীব প্রয়োজন।

কিন্তু এনআইডি কার্ড করার পরে হারিয়ে গেলে বা কোন তথ্য ভুল হলে তাকে পরতে হয় বিরাট বিপাকে। ইসিতে আবেদন করে হারানো কার্ড পূনরায় উত্তোলন ও ভুল সংশোধন করতে হয়। কেউ কেউ লোক দ্বারা তদবির করে তার কার্য উদ্ধার করছে। আবার কেউ কেউ অতিরিক্ত টাকা খরচ করে কাজের সমাধান করছে। আর যারা দুটোর কোনটিই করতে পারছে না, তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। অনেকক্ষেত্রে বছরের পর বছর লেগে যাচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হারানো এনআইডি কার্ড পুনরায় উত্তোলন ও ভুল সংশোধনের কাজ সহজ করার ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি।

সাইফুদ্দীন আহমেদ

প্রাণীগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত হোক

মুক্ত আকাশ অবারিত প্রান্তর কিংবা বুনো পরিবেশ আপন হলেও, সেই আপন আলোয় এদের ঠায় হয়নি। মানুষের শখ মেটাতেই, খাঁচায় বন্দী জীবন এদের। স্বীকার করে ক্ষুধা নিবারণের উপায় এখানে নেই, মানুষের দেয়া খাবারেই মেটে চাহিদা। করোনা আতঙ্কে কার্যত দেশ যখন লকডাউনের পথে, তখন বন্ধ দোকানের খাঁচায় বন্দী প্রাণীগুলোর জীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ। তাদের প্রতিটি দিন কাটে অসহায় ডাকাডাকি আর পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়ে। চলে ক্ষুধা আর ক্লান্তিতে মাথা তুলে রেখে জীবনে ফেরার সংগ্রাম। কিন্তু নেই খাবার-পানি। বন্ধ ঘরের চারদেয়ালে শুরু হয় অপেক্ষার প্রহর। কিন্তু এ অপেক্ষার যেন শেষ হয় না। তার আগেই হার মেনে যায় বোবা প্রাণীগুলো। বাচ্চারা মায়ের দুধ পেলেও, মায়ের ক্ষুধা ও পিপাসা মেটানোর সুযোগ নেই। মমতাময়ী মায়ের অসহায়ত্বের করুন ডাকে সারা দেবে কে। এভাবে কতসময় বা টিকে থাকতে পারে একটি প্রাণ।

দীর্ঘ অপেক্ষার পরে হওতোবা খাবার পাবার সম্ভাবনা উঁকি দেয়। কিন্তু ততক্ষণে কিছু অবোলা প্রাণ হার মেনে যায় ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কাছে। দোকানের চারদেয়ালে বন্দী প্রাণীগুলোর প্রতিদিনের গল্পগুলো প্রায় অভিন্ন। তাদের নতুন কষ্টের নাম ক্ষুধা আর পিপাসা। করোনাভাইরাসের মরণ ছোঁবলে যেখানে থমকে গেছে মানুষের জীবনযাত্রা, সেখানে বেঁচে থেকেও অনাহারে প্রাণের স্পন্দন হারাতে বসেছে খাঁচায় বন্দী এইসব পশুপাখিরা। আলো বাতাস আর খাবারের অভাবে জীবন সংকটে, দোকানে আবদ্ধ থাকা এইসব প্রাণীদের। এমন পরিস্থিতি আদ্র কাম্য নয়। শেকলবন্দী থাকলেও এই বোবা প্রাণীগুলোর আদর যতেœর অভাব হয় কমই। পশু প্রেম অথবা ব্যবসার খাতিরে এই প্রাণীদের যতেœই রাখেন ব্যবসায়ীরা। খাঁচায়বন্দী এই সব পশু পাখির খাবার দিতে দিনে আন্তত দুই বেলা দোকান খুলতে হয় মালিকদের। দোকান খুললেই আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন বাহিনীর তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ব্যবসা নয় পশু পাখিগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই আরো বেশি কিছু সময়ের জন্য হলেও দোকান খোলা রাখাটা জরুরি বলছেন দোকান মালিকরা। পশু প্রেমকে রুটিরুজি বানিয়ে নেওয়া এই মানুষগুলো চান বেঁচে থাক তাদের ভালোবাসা। বেঁচে থাক বোবা প্রাণীরা।

মো. রাশিদুল ইসলাম

পোশাক শিল্পের পাশে দাঁড়ান

দেশের মোট রপ্তানির ৮৪.২১% আয় আসে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে। আর এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত থেকে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছেন ১ কোটিরও বেশি মানুষ। তাদের পরিবারের ৫ কোটি মানুষ এ শিল্পের উপর নির্ভরশীল। এছাড়াও পোশাক শিল্প থেকে অর্জিত অর্থ মোবাইল ব্যাংকিং-রিচার্জ, বাড়িভাড়া প্রদান, বিদ্যুৎ ও পানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্যসামগ্রী, নিত্যপণ্য, প্রসাধনী, বিনোদন, ইন্টারনেট খাতসহ অর্থনীতির প্রায় সব খাতে অবদান রেখে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে অবদান রেখে চলেছে। তাই দেশের মোট জিডিপির ১১.২৯% আয় আসে যাদের মাধ্যমে, এই কঠিন সময়ে সবার উচিত তার পাশে দাঁড়ানো।

গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকার বাড়ি ওলারা যদি আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী দের বাড়ি বাড়া ৬০% নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়াত কত ভালো হতো। তারা কিন্ত গার্মেন্ট শিল্পের মানুষদের জন্যয় বাড়ির মালিক হয়েছেন। গার্মেন্ট শিল্প না থাকলে বাড়ি ওলাদের বাসা পতিত রাখতে হবে। BGMEA, BKMEA এর পক্ষ থেকে যদি বাড়ি ওলাদের প্রতি আবেদন জানান হতো তাহলে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকার বাড়ি ওলারা মানবিক হতো।

খন্দকার জাহিদুল ইসলাম মারুফ

চেয়ারম্যান, অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজার ক্লাব অফ

বাংলাদেশ লি.