সড়ক মন্ত্রীর বক্তব্যে জাতি বিস্মিত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, গণবিরোধী সরকার কখনই গণমুখী সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। বর্তমানে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা সারাবিশ্বের তুলনায় সর্বনিম্ন। করোনা বিস্তারের প্রচণ্ড ঝড়ের মধ্যে লকডাউন শিথিলের পরিণতি বিভিন্ন দেশে বিপজ্জনক রূপ নিয়েছে। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে বাসভাড়া বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি। গতকাল এক অনলাইন কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন- বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই নাকি ছুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আওয়ামী নেতার এই বক্তব্য শুনে গোটা জাতি বিস্মিত ও হতবাক। যে বিশেষজ্ঞরা ‘মৃত্যু-বীজ’ ছড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা কোন বিষয়ের ওপর বিশেষজ্ঞ সেটাই এখন অনুসন্ধানের বিষয়। এরকম বিশেষজ্ঞ ভারতের মতো দেশে পাওয়া গেল না কেন? সেখানে কেন ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন বলবৎ রাখা হয়েছে? বাংলাদেশে হঠাৎ সব কিছু খুলে দিয়ে আমরা এখন এক কঠিন সংকটের মুখোমুখি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও আইএলও’র নির্দেশনা অমান্য এবং করোনা নিয়ে সরকার গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির মতামত সরাসরি অগ্রাহ্য করে সব কিছু খুলে দেয়া হয়েছে। অন্য দেশে করোনা কমে আসার পর লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল, কিন্তু তাতে পরিণতি হয়েছে সর্বনাশা বিপর্যয়ের। সেখানে নতুন করে ধেয়ে এসেছে করোনাভাইরাসের তাণ্ডব।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা সারাবিশ্বের তুলনায় সর্বনিম্ন। ব্যাঙের প্রতি বাচ্চাদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপের খেলার মতো বাংলাদেশ সরকার মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু সংখ্যার মধ্যে গত সপ্তাহে ২৬ শতাংশ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে গত সপ্তাহে ২৮ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এর ওপর সব কিছু খুলে দিয়ে সরকারের ইচ্ছা কী, সারা দেশকে বধ্যভূমি বানানো? এই সরকার যে জনগণের প্রতি বৈরী তার প্রমাণ গত (শনিবার) শতকরা ৮০ শতাংশ বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব। এই করোনা পরিস্থিতিতে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা হবে এই জন্য বাস-মিনিবাসের ভাড়া ৮০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা (বিআরটিএ)। ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ নীতি আওয়ামী সরকারের প্রতিষ্ঠিত কর্মসূচি। জনগণকে জিম্মি করে রক্তচোষার নীতি এদের একমাত্র চালিকাশক্তি। একে তো করোনার আঘাতে জনজীবন মহাবিপর্যয়ের মধ্যে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা এই সপ্তাহে বাঁধভাঙা পানির মতো জনজীবনকে গ্রাস করেছে। দিন আনে দিন খাওয়া মানুষ’, দিনমজুর, রিকশাচালকসহ নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এর ওপর এই ভাড়া বৃদ্ধি ওই নিরন্ন ও বিপন্ন মানুষের ওপরই কষাঘাত। বাস চালুর আগেই বাসভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তেই প্রমাণিত হয়-এই সরকার শোষণ ও গরিবকে মারার যন্ত্র। তথ্যমন্ত্রী বলেছেন- ত্রাণ নিতে আসা লোক পাওয়া যাচ্ছে না। তার এই বক্তব্যে ফরাসী বিপ্লবের সময়ে ষোড়শ লুই-এর স্ত্রীর কথাই মনে পড়ে যায়-রুটি নাই তো কি হয়েছে, কেক খাবে। জনগণের ক্ষুধা, হাহাকার, কর্মহীনতা আমলে না নিয়ে সারাক্ষণ এই সরকার জনগণকে নিয়ে উপহাস করতেই ব্যস্ত। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে প্রায় দ্বিগুণ বাসভাড়া বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।

আরও খবর
নারায়ণগঞ্জের ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ
ট্রাইব্যুনাল চলবে ভার্চুয়াল
একদিনে কেড়ে নিল চবি পরিবারের ৫ প্রাণ
ট্রেন যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ রেলমন্ত্রীর
জুন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাশুল দিতে হবে না বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
সেব্রিনা ফ্লোরার নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি
চাল পাচার গুদাম কর্মকর্তাসহ ২ জন বরখাস্ত
আ.লীগ নেতা জাহাঙ্গীরের ১২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ : দুদকের মামলা
হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু নজরুল গবেষক দরবার আলমের
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী আরও ১৫৩ পুলিশ
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিখা রানীর পরিবার টিন-টাকা পেল
আনসার আল ইসলামের জঙ্গি গ্রেফতার
জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে ছুটি বাড়ায়নি সরকার মেয়র নাসির
সিলেটে ৮৩ দিনে ১৮ জনের মৃত্যু

সোমবার, ০১ জুন ২০২০ , ১৮ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ৮ শাওয়াল ১৪৪১

সড়ক মন্ত্রীর বক্তব্যে জাতি বিস্মিত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, গণবিরোধী সরকার কখনই গণমুখী সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। বর্তমানে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা সারাবিশ্বের তুলনায় সর্বনিম্ন। করোনা বিস্তারের প্রচণ্ড ঝড়ের মধ্যে লকডাউন শিথিলের পরিণতি বিভিন্ন দেশে বিপজ্জনক রূপ নিয়েছে। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে বাসভাড়া বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি। গতকাল এক অনলাইন কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন- বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েই নাকি ছুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। আওয়ামী নেতার এই বক্তব্য শুনে গোটা জাতি বিস্মিত ও হতবাক। যে বিশেষজ্ঞরা ‘মৃত্যু-বীজ’ ছড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা কোন বিষয়ের ওপর বিশেষজ্ঞ সেটাই এখন অনুসন্ধানের বিষয়। এরকম বিশেষজ্ঞ ভারতের মতো দেশে পাওয়া গেল না কেন? সেখানে কেন ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন বলবৎ রাখা হয়েছে? বাংলাদেশে হঠাৎ সব কিছু খুলে দিয়ে আমরা এখন এক কঠিন সংকটের মুখোমুখি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও আইএলও’র নির্দেশনা অমান্য এবং করোনা নিয়ে সরকার গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির মতামত সরাসরি অগ্রাহ্য করে সব কিছু খুলে দেয়া হয়েছে। অন্য দেশে করোনা কমে আসার পর লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল, কিন্তু তাতে পরিণতি হয়েছে সর্বনাশা বিপর্যয়ের। সেখানে নতুন করে ধেয়ে এসেছে করোনাভাইরাসের তাণ্ডব।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা সারাবিশ্বের তুলনায় সর্বনিম্ন। ব্যাঙের প্রতি বাচ্চাদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপের খেলার মতো বাংলাদেশ সরকার মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু সংখ্যার মধ্যে গত সপ্তাহে ২৬ শতাংশ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে গত সপ্তাহে ২৮ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এর ওপর সব কিছু খুলে দিয়ে সরকারের ইচ্ছা কী, সারা দেশকে বধ্যভূমি বানানো? এই সরকার যে জনগণের প্রতি বৈরী তার প্রমাণ গত (শনিবার) শতকরা ৮০ শতাংশ বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব। এই করোনা পরিস্থিতিতে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা হবে এই জন্য বাস-মিনিবাসের ভাড়া ৮০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা (বিআরটিএ)। ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ নীতি আওয়ামী সরকারের প্রতিষ্ঠিত কর্মসূচি। জনগণকে জিম্মি করে রক্তচোষার নীতি এদের একমাত্র চালিকাশক্তি। একে তো করোনার আঘাতে জনজীবন মহাবিপর্যয়ের মধ্যে, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা এই সপ্তাহে বাঁধভাঙা পানির মতো জনজীবনকে গ্রাস করেছে। দিন আনে দিন খাওয়া মানুষ’, দিনমজুর, রিকশাচালকসহ নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এর ওপর এই ভাড়া বৃদ্ধি ওই নিরন্ন ও বিপন্ন মানুষের ওপরই কষাঘাত। বাস চালুর আগেই বাসভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তেই প্রমাণিত হয়-এই সরকার শোষণ ও গরিবকে মারার যন্ত্র। তথ্যমন্ত্রী বলেছেন- ত্রাণ নিতে আসা লোক পাওয়া যাচ্ছে না। তার এই বক্তব্যে ফরাসী বিপ্লবের সময়ে ষোড়শ লুই-এর স্ত্রীর কথাই মনে পড়ে যায়-রুটি নাই তো কি হয়েছে, কেক খাবে। জনগণের ক্ষুধা, হাহাকার, কর্মহীনতা আমলে না নিয়ে সারাক্ষণ এই সরকার জনগণকে নিয়ে উপহাস করতেই ব্যস্ত। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে প্রায় দ্বিগুণ বাসভাড়া বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।