চাল পাচার গুদাম কর্মকর্তাসহ ২ জন বরখাস্ত

বগুড়ার গাবতলি উপজেলায় সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে আত্মসাতের জন্য ট্রাকে চাল পাচারের সময় আটক গুদাম কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) গাজী মো. শফিকুল ইসলাম ও গুদামের নৈশ প্রহরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাচারের সময় পুলিশ তাদের আটক করেছিল। পরে তাদের দুদকের কাছে সোপর্দ ও দুদক তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। বগুড়ার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, গতকাল তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। অপর দিকে ওই গুদামে অতিরিক্ত প্রায় ৯ মেট্রিক টন চাল পাওয়া গেছে। এগুলো আত্মসাৎ ও পাচারের উদ্দেশে রাখা হয়েছিল বলে সূত্র জানায়। এই চাল ওদামের মজুদের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অতিরিক্ত বলে জেলা খাদ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছে। তবে গুদামে হিসাবের অতিরিক্ত পাওয়া এই বিপুল পরিমাণ চাল কোন কর্মসূচির তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি বলে জেলা খাদ্য বিভাগ জানায়। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। দুদক ধারণা করছে, গুদামে পাওয়া অতিরিক্ত চালগুলো আত্মসাৎ ও পাচারের জন্য রাখা হয়েছিল।

শুক্রবার সকালে গাবতলির সাবেক পাড়া খাদ্য গুদাম থেকে ১৫ টন চাল ট্রাক যোগে পাচারে সময় পুলিশের হাতে আটক হয় গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, ধুনটের চাল ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন শাহীন ও গুদামের নৈশ প্রহরী সাদেকুল ইসলাম। গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে চাল ব্যবসায়ীর মাধ্যমে চালগুলো পাচার করা হচ্ছিল। পুলিশ আটককৃতদের দুদকের কাছে সোপর্দ করলে দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা এবং জেল হাজতে পাঠান। এদিকে আত্মসাতের জন্য সরকারি চাল পাচারের ঘটনা ধরা পড়ার পর ৩টি পৃথক তদন্ত কমিটি করা হয়। ইতোমধ্যে খাদ্য বিভাগ ও দুদুক জানতে পেরেছে, ওই গুদামে অতিরিক্ত প্রায় ৯ টন চাল রয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তারা এখনও জানতে পারেনি চালগুলো কোন কর্মসূচির। সূত্র জানায়, কোন কর্মসূচির চাল যোগসাজসে সরবরাহ না করে আত্মসাতের জন্য রাখা হয়েছিল। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এ বিষয়ে জানান, খাদ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি এটি এখন তদন্ত করবে যে, অতিরিক্ত চালগুলো কোন কর্মসূচির ছিল। এ বিষয়ে দুদক সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান জানান, অতিরিক্ত চালগুলো কিভাবে মজুদ করা হলো এবং কোন জনপ্রতিনিধিসহ আর কারা এরসঙ্গে জড়িত রয়েছে কিনা তা তদন্ত করা হবে।

আরও খবর
নারায়ণগঞ্জের ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ
ট্রাইব্যুনাল চলবে ভার্চুয়াল
সড়ক মন্ত্রীর বক্তব্যে জাতি বিস্মিত
একদিনে কেড়ে নিল চবি পরিবারের ৫ প্রাণ
ট্রেন যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ রেলমন্ত্রীর
জুন পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলের বিলম্ব মাশুল দিতে হবে না বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
সেব্রিনা ফ্লোরার নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি
আ.লীগ নেতা জাহাঙ্গীরের ১২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ : দুদকের মামলা
হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু নজরুল গবেষক দরবার আলমের
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী আরও ১৫৩ পুলিশ
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিখা রানীর পরিবার টিন-টাকা পেল
আনসার আল ইসলামের জঙ্গি গ্রেফতার
জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে ছুটি বাড়ায়নি সরকার মেয়র নাসির
সিলেটে ৮৩ দিনে ১৮ জনের মৃত্যু

সোমবার, ০১ জুন ২০২০ , ১৮ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ৮ শাওয়াল ১৪৪১

বগুড়ায়

চাল পাচার গুদাম কর্মকর্তাসহ ২ জন বরখাস্ত

প্রতিনিধি, বগুড়া

বগুড়ার গাবতলি উপজেলায় সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে আত্মসাতের জন্য ট্রাকে চাল পাচারের সময় আটক গুদাম কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) গাজী মো. শফিকুল ইসলাম ও গুদামের নৈশ প্রহরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাচারের সময় পুলিশ তাদের আটক করেছিল। পরে তাদের দুদকের কাছে সোপর্দ ও দুদক তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। বগুড়ার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, গতকাল তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। অপর দিকে ওই গুদামে অতিরিক্ত প্রায় ৯ মেট্রিক টন চাল পাওয়া গেছে। এগুলো আত্মসাৎ ও পাচারের উদ্দেশে রাখা হয়েছিল বলে সূত্র জানায়। এই চাল ওদামের মজুদের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অতিরিক্ত বলে জেলা খাদ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছে। তবে গুদামে হিসাবের অতিরিক্ত পাওয়া এই বিপুল পরিমাণ চাল কোন কর্মসূচির তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি বলে জেলা খাদ্য বিভাগ জানায়। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। দুদক ধারণা করছে, গুদামে পাওয়া অতিরিক্ত চালগুলো আত্মসাৎ ও পাচারের জন্য রাখা হয়েছিল।

শুক্রবার সকালে গাবতলির সাবেক পাড়া খাদ্য গুদাম থেকে ১৫ টন চাল ট্রাক যোগে পাচারে সময় পুলিশের হাতে আটক হয় গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, ধুনটের চাল ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন শাহীন ও গুদামের নৈশ প্রহরী সাদেকুল ইসলাম। গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে চাল ব্যবসায়ীর মাধ্যমে চালগুলো পাচার করা হচ্ছিল। পুলিশ আটককৃতদের দুদকের কাছে সোপর্দ করলে দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা এবং জেল হাজতে পাঠান। এদিকে আত্মসাতের জন্য সরকারি চাল পাচারের ঘটনা ধরা পড়ার পর ৩টি পৃথক তদন্ত কমিটি করা হয়। ইতোমধ্যে খাদ্য বিভাগ ও দুদুক জানতে পেরেছে, ওই গুদামে অতিরিক্ত প্রায় ৯ টন চাল রয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তারা এখনও জানতে পারেনি চালগুলো কোন কর্মসূচির। সূত্র জানায়, কোন কর্মসূচির চাল যোগসাজসে সরবরাহ না করে আত্মসাতের জন্য রাখা হয়েছিল। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এ বিষয়ে জানান, খাদ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি এটি এখন তদন্ত করবে যে, অতিরিক্ত চালগুলো কোন কর্মসূচির ছিল। এ বিষয়ে দুদক সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান জানান, অতিরিক্ত চালগুলো কিভাবে মজুদ করা হলো এবং কোন জনপ্রতিনিধিসহ আর কারা এরসঙ্গে জড়িত রয়েছে কিনা তা তদন্ত করা হবে।