পাবনা থেকে ইমপ্রোভাইজড বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ আবদুল্লাহ আকাশ (২৫) নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গত শনিবার সন্ধ্যায় পাবনার বিসিক শিল্পনগরী সংলগ্ন কলাবাগান মাঠপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা।
র্যাব বলছে, নিষিদ্ধ আনসার আল ইসলামের একটি গ্রুপ তাদের সদস্যদের সহযোগিতায় বাংলাদেশে ‘মুসলিম ভিলেজ’ গড়ে তুলে সেখান থেকে (পাবনা থেকে) তাদের কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করছিল। মুসলিম ভিলেজের কনসেপ্ট হলো সেখানে আল্লাহর আইন হবে, মানুষের কোন নীতিতে গ্রাম চলবে না, কেউ সরকারকে কোন খাজনা দেবে না।
র্যাব-২ এর ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশালাইজড কোম্পানির কমান্ডার পুলিশ সুপার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, গত ২৯ মে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে আনসার আল ইসলামের তিন সদস্যকে বিস্ফোরকদ্রব্য ও উগ্র জঙ্গিবাদী বইসহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় মামলা হয়। র্যাব-২ মামলাটির তদন্তভার গ্রহণের পর আরও চারজন গ্রেফতার হয়। আসামি আবু রায়হান লিমন, সাইফুল্লাহ নাঈম, নাবিল চৌকিদার, শাফাত আহাম্মদ চৌধুরী ওরফে কিববিয়া, সাকিব আল ইমতিহান ওরফে আবু মুছা, মুহিব মুশফিক ও নাজমুস সাদাত ফাহিমকে দফায় দফায় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের পলাতক সহযোগিদের নাম-ঠিকানা ও পরিকল্পনা সম্পর্কে তথ্য পায় র্যাব।
জিজ্ঞাসাবাদে আনসার আল ইসলামের সদস্যরা জানান, তাদের গ্রুপের সদস্যদের সহযোগিতায় বাংলাদেশে ‘মুসলিম ভিলেজ’ নামে একটি গ্রাম থেকে তাদের কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা চলছিল। তাদের সংগঠনের সদস্যদের ধারণা গ্রামপর্যায় থেকে তাদের সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ বাস্তবায়ন করা। আর পরিকল্পনা অনুযায়ী মুসলিম ভিলেজ প্রতিষ্ঠা করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনুমোদন দেবে না, গ্রেফতার হতে পারে। সে জন্য তারা সশস্ত্র প্রতিরোধের জন্য অস্ত্র, বিস্ফোরক ও ইমপ্রোভাইজড বোমা তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহ, তৈরির চেষ্টাসহ নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টায় নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে।
গ্রেফতার আবদুল্লাহ আকাশের বাসা থেকে ইমপ্রোভাইজড বোমা তৈরি সরঞ্জাম যেমন- মোটর, ১৫টি সার্কিট, ট্রান্সমিটার, তামার তার, অ্যাডাপটার, কাটার মেশিন, হেক্সো ব্লেড, স্কেল, ড্রিল মেশিন, গ্র্যান্ডিং মেশিন, পাইপ, স্কচটেপ, বৈদ্যুতিক তার, তারকাঁটা উদ্ধার করা হয়। বিভিন্ন শিরোনামে ১৫ সেট উগ্র জঙ্গিবাদী বই, পিডিএফ ডকুমেন্টস ও মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।
সোমবার, ০১ জুন ২০২০ , ১৮ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ৮ শাওয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
পাবনা থেকে ইমপ্রোভাইজড বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ আবদুল্লাহ আকাশ (২৫) নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গত শনিবার সন্ধ্যায় পাবনার বিসিক শিল্পনগরী সংলগ্ন কলাবাগান মাঠপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা।
র্যাব বলছে, নিষিদ্ধ আনসার আল ইসলামের একটি গ্রুপ তাদের সদস্যদের সহযোগিতায় বাংলাদেশে ‘মুসলিম ভিলেজ’ গড়ে তুলে সেখান থেকে (পাবনা থেকে) তাদের কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করছিল। মুসলিম ভিলেজের কনসেপ্ট হলো সেখানে আল্লাহর আইন হবে, মানুষের কোন নীতিতে গ্রাম চলবে না, কেউ সরকারকে কোন খাজনা দেবে না।
র্যাব-২ এর ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশালাইজড কোম্পানির কমান্ডার পুলিশ সুপার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, গত ২৯ মে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে আনসার আল ইসলামের তিন সদস্যকে বিস্ফোরকদ্রব্য ও উগ্র জঙ্গিবাদী বইসহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় মামলা হয়। র্যাব-২ মামলাটির তদন্তভার গ্রহণের পর আরও চারজন গ্রেফতার হয়। আসামি আবু রায়হান লিমন, সাইফুল্লাহ নাঈম, নাবিল চৌকিদার, শাফাত আহাম্মদ চৌধুরী ওরফে কিববিয়া, সাকিব আল ইমতিহান ওরফে আবু মুছা, মুহিব মুশফিক ও নাজমুস সাদাত ফাহিমকে দফায় দফায় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের পলাতক সহযোগিদের নাম-ঠিকানা ও পরিকল্পনা সম্পর্কে তথ্য পায় র্যাব।
জিজ্ঞাসাবাদে আনসার আল ইসলামের সদস্যরা জানান, তাদের গ্রুপের সদস্যদের সহযোগিতায় বাংলাদেশে ‘মুসলিম ভিলেজ’ নামে একটি গ্রাম থেকে তাদের কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা চলছিল। তাদের সংগঠনের সদস্যদের ধারণা গ্রামপর্যায় থেকে তাদের সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ বাস্তবায়ন করা। আর পরিকল্পনা অনুযায়ী মুসলিম ভিলেজ প্রতিষ্ঠা করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনুমোদন দেবে না, গ্রেফতার হতে পারে। সে জন্য তারা সশস্ত্র প্রতিরোধের জন্য অস্ত্র, বিস্ফোরক ও ইমপ্রোভাইজড বোমা তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহ, তৈরির চেষ্টাসহ নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টায় নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে।
গ্রেফতার আবদুল্লাহ আকাশের বাসা থেকে ইমপ্রোভাইজড বোমা তৈরি সরঞ্জাম যেমন- মোটর, ১৫টি সার্কিট, ট্রান্সমিটার, তামার তার, অ্যাডাপটার, কাটার মেশিন, হেক্সো ব্লেড, স্কেল, ড্রিল মেশিন, গ্র্যান্ডিং মেশিন, পাইপ, স্কচটেপ, বৈদ্যুতিক তার, তারকাঁটা উদ্ধার করা হয়। বিভিন্ন শিরোনামে ১৫ সেট উগ্র জঙ্গিবাদী বই, পিডিএফ ডকুমেন্টস ও মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।