বিমান চলাচল শুরু

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গতকাল থেকে চালু হয়েছে আভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল। তবে প্রথম দিন যাত্রীর চাপ ছিল কম। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়। এ বিষয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক এএইচএম তৌহিদ উল আহসান সাংবাদিকদের বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বেঁধে দেয়া স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনেই যাত্রী পরিবহন করছে এয়ারলাইন্সগুলো।

বেবিচক সূত্র জানায়, ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে সব এয়ারলাইন্স ও যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব ও পরিচ্ছন্নতার বিধি মেনে চলতে হবে। এয়ারক্রাফটের ধারণক্ষমতার ৭৫ শতাংশের বেশি যাত্রী নেয়া যাবে না। যাত্রীদের বসার ক্ষেত্রে দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস দিতে হবে। আসা যাওয়ার আগে এয়ারক্রাফট ‘স্যানিটাইজ’ করতে হবে। আভ্যন্তরীণ তিনটি রুটে ১ জুন থেকে ফ্লাইট চলবে, তবে আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহনের (শিডিউল পেসেঞ্জার ফ্লাইট) ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ ১৫ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার উপ মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুরে আসা যাওয়ার ৬টি ফ্লাইট চলার কথা ছিল গতকাল। কিন্তু যাত্রী সংকটে চট্টগ্রাম ও সিলেটের চারটি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। কেবল সৈয়দপুর রুটে দুটি ফ্লাইট চালাতে পেরেছে বিমান। আভ্যন্তরীণ রুটে ৭৫ আসনের ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ দিয়ে যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে। ভাইরাসের বিস্তার এড়াতে বিমান আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী বহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সোমবার সকালে ঢাকা থেকে সৈয়দপুরগামী ফ্লাইটে যাত্রী ছিলেন কেবল ৪ জন, ফেরার সময় ২০ জন বিমানের যাত্রী হয়েছিলেন। আজ ঢাকা থেকে তিনটি আভ্যন্তরীণ গন্তব্যেই বিমানের ফ্লাইট পরিচলিত হবে। আশা করছি ধীরে ধীরে যাত্রী সংখ্যা বাড়বে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ৭২ আসনের এটিআর ৭২-৬০০ এবং ৭৬ আসনের ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ দিয়ে আভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালাচ্ছে। এ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের জিএম মো. কামরুল ইসলাম বলেন, প্রথমদিন সকাল ৭টায় ২৮ জন যাত্রী নিয়ে তাদের প্রথম ফ্লাইট ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে গেছে। ফিরেছে ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে। এছাড়া ৫১ জন যাত্রী নিয়ে সৈয়দপুরে গিয়ে ৫৪ জন যাত্রী নিয়ে ফেরেছে ইউএস বাংলার আরেকটি উড়োজাহাজ। গতকাল সারাদিনে তাদের আসা যাওয়া মিলিয়ে চট্টগ্রাম রুটে ১২টি, সৈয়দপুর রুটে ৬টি এবং সিলেট রুটে ২টি ফ্লাইট রয়েছে বলে জানান কামরুল।

বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা নভোএয়ারের সিনিয়র ম্যানেজার (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) একেএম মাহফুজুল আলম বলেন, ৭২ আসনের এটিআর ৭২-৫০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে সৈয়দপুর, সিলেট ও চট্টগ্রাম রুটে তারা ফ্লাইট পরিচালনা করছেন। তবে এখন প্রতি ফ্লাইটে ৫০ জনের বেশি যাত্রী নিচ্ছেন না। গতকাল এই তিন গন্তেব্যে আসা যাওয়াসহ নভোএয়ারের মোট ১৪টি ফ্লাইট রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সকালে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর ফ্লাইটে ৪০ জন গেছেন, এসেছেন ৫০ জন। চট্টগ্রাম রুটে সকালে ২৯ জন যাত্রী গিয়েছেন, ঢাকা এসেছেন ২২ জন।

মঙ্গলবার, ০২ জুন ২০২০ , ১৯ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ৯ শাওয়াল ১৪৪১

বিমান চলাচল শুরু

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গতকাল থেকে চালু হয়েছে আভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল। তবে প্রথম দিন যাত্রীর চাপ ছিল কম। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়। এ বিষয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক এএইচএম তৌহিদ উল আহসান সাংবাদিকদের বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) বেঁধে দেয়া স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনেই যাত্রী পরিবহন করছে এয়ারলাইন্সগুলো।

বেবিচক সূত্র জানায়, ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে সব এয়ারলাইন্স ও যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব ও পরিচ্ছন্নতার বিধি মেনে চলতে হবে। এয়ারক্রাফটের ধারণক্ষমতার ৭৫ শতাংশের বেশি যাত্রী নেয়া যাবে না। যাত্রীদের বসার ক্ষেত্রে দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস দিতে হবে। আসা যাওয়ার আগে এয়ারক্রাফট ‘স্যানিটাইজ’ করতে হবে। আভ্যন্তরীণ তিনটি রুটে ১ জুন থেকে ফ্লাইট চলবে, তবে আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহনের (শিডিউল পেসেঞ্জার ফ্লাইট) ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ ১৫ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার উপ মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুরে আসা যাওয়ার ৬টি ফ্লাইট চলার কথা ছিল গতকাল। কিন্তু যাত্রী সংকটে চট্টগ্রাম ও সিলেটের চারটি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। কেবল সৈয়দপুর রুটে দুটি ফ্লাইট চালাতে পেরেছে বিমান। আভ্যন্তরীণ রুটে ৭৫ আসনের ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ দিয়ে যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে। ভাইরাসের বিস্তার এড়াতে বিমান আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী বহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সোমবার সকালে ঢাকা থেকে সৈয়দপুরগামী ফ্লাইটে যাত্রী ছিলেন কেবল ৪ জন, ফেরার সময় ২০ জন বিমানের যাত্রী হয়েছিলেন। আজ ঢাকা থেকে তিনটি আভ্যন্তরীণ গন্তব্যেই বিমানের ফ্লাইট পরিচলিত হবে। আশা করছি ধীরে ধীরে যাত্রী সংখ্যা বাড়বে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ৭২ আসনের এটিআর ৭২-৬০০ এবং ৭৬ আসনের ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ দিয়ে আভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালাচ্ছে। এ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের জিএম মো. কামরুল ইসলাম বলেন, প্রথমদিন সকাল ৭টায় ২৮ জন যাত্রী নিয়ে তাদের প্রথম ফ্লাইট ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে গেছে। ফিরেছে ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে। এছাড়া ৫১ জন যাত্রী নিয়ে সৈয়দপুরে গিয়ে ৫৪ জন যাত্রী নিয়ে ফেরেছে ইউএস বাংলার আরেকটি উড়োজাহাজ। গতকাল সারাদিনে তাদের আসা যাওয়া মিলিয়ে চট্টগ্রাম রুটে ১২টি, সৈয়দপুর রুটে ৬টি এবং সিলেট রুটে ২টি ফ্লাইট রয়েছে বলে জানান কামরুল।

বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা নভোএয়ারের সিনিয়র ম্যানেজার (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) একেএম মাহফুজুল আলম বলেন, ৭২ আসনের এটিআর ৭২-৫০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে সৈয়দপুর, সিলেট ও চট্টগ্রাম রুটে তারা ফ্লাইট পরিচালনা করছেন। তবে এখন প্রতি ফ্লাইটে ৫০ জনের বেশি যাত্রী নিচ্ছেন না। গতকাল এই তিন গন্তেব্যে আসা যাওয়াসহ নভোএয়ারের মোট ১৪টি ফ্লাইট রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সকালে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর ফ্লাইটে ৪০ জন গেছেন, এসেছেন ৫০ জন। চট্টগ্রাম রুটে সকালে ২৯ জন যাত্রী গিয়েছেন, ঢাকা এসেছেন ২২ জন।