ডেঙ্গু প্রতিরোধে ৭ নির্দেশনা

ডেঙ্গুতে প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সাতটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং এর অধীন দফতর ও সংস্থা প্রধানদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।

মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু গতবছর বাংলাদেশের বড় মাথাব্যথা হয়ে উঠেছিল। সরকারি হিসাবে, পুরো বছরে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন, মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের। তবে দেশের সবগুলো হাসপাতালে ভর্তি এবং বাসায় থাকা রোগীদের তথ্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে না আসায় প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার কথা। এরপর চলতি বছরের শুরুতে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাংলাদেশে দেখা দেয় মার্চের শুরুতে। এই সংকটের সময়ে ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা শহরে যেন আবার ডেঙ্গুর প্রার্দুভাব বাড়তে না পারে, সে বিষয়ে উচ্চ আদালত থেকেও সিটি করপোরেশনগুলোকে সতর্ক করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, গত বছরের মতো এ বছরও ঢাকা শহরসহ সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিতে পারে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক ডেঙ্গু প্রতিরোধের বিষয়ে সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। ওই নির্দেশনার আলোকে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য এখন থেকে কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।

নির্দেশনাগুলো : অফিস কক্ষ, ওয়াশরুম, অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র, পরিত্যাক্ত বোতল, টায়ার-টিউব, ডাবের খোসা, অফিসের আশপাশের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আঙ্গিনা, ওয়াশরুম, বাসস্থানসহ এর আশপাশের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণ করতে হবে। ফুলের টব, বাসস্থানের ছাদ বাগানসহ পানি জমে থাকে এমন সব পাত্র অপসারণ বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত উপায়গুলো প্রয়োগ করতে হবে। গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে এই মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য ফোকাল পয়েন্ট ও বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা নিয়োগ করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে। এসব কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।

মঙ্গলবার, ০২ জুন ২০২০ , ১৯ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ৯ শাওয়াল ১৪৪১

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ৭ নির্দেশনা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ডেঙ্গুতে প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সাতটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং এর অধীন দফতর ও সংস্থা প্রধানদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।

মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু গতবছর বাংলাদেশের বড় মাথাব্যথা হয়ে উঠেছিল। সরকারি হিসাবে, পুরো বছরে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন, মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের। তবে দেশের সবগুলো হাসপাতালে ভর্তি এবং বাসায় থাকা রোগীদের তথ্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে না আসায় প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার কথা। এরপর চলতি বছরের শুরুতে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাংলাদেশে দেখা দেয় মার্চের শুরুতে। এই সংকটের সময়ে ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা শহরে যেন আবার ডেঙ্গুর প্রার্দুভাব বাড়তে না পারে, সে বিষয়ে উচ্চ আদালত থেকেও সিটি করপোরেশনগুলোকে সতর্ক করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, গত বছরের মতো এ বছরও ঢাকা শহরসহ সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিতে পারে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক ডেঙ্গু প্রতিরোধের বিষয়ে সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। ওই নির্দেশনার আলোকে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য এখন থেকে কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।

নির্দেশনাগুলো : অফিস কক্ষ, ওয়াশরুম, অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র, পরিত্যাক্ত বোতল, টায়ার-টিউব, ডাবের খোসা, অফিসের আশপাশের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আঙ্গিনা, ওয়াশরুম, বাসস্থানসহ এর আশপাশের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণ করতে হবে। ফুলের টব, বাসস্থানের ছাদ বাগানসহ পানি জমে থাকে এমন সব পাত্র অপসারণ বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত উপায়গুলো প্রয়োগ করতে হবে। গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে এই মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য ফোকাল পয়েন্ট ও বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা নিয়োগ করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে। এসব কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।