অন্তঃসত্ত্বা নারীদের করোনা টেস্ট করানোর নির্দেশ

সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে করোনা টেস্টসহ অন্য সুচিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

গত ২৭ মে করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দেশের অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআর মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালকের সরকারি ই-মেইলে একটি নোটিশ পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ জনস্বার্থে এ নোটিশ পাঠান। কিন্তু নোটিশের জবাব না পেয়ে ৩১ মে তিনি করোনাকালীন অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে করোনা টেস্ট ও অন্য সুচিকিৎসা প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। করোনাকালে চিকিৎসা না পাওয়া অন্তঃসত্ত্বা নারীদের নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সংযুক্ত করে জনস্বার্থে রিটটি করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। রিটে করোনাকালে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের অধিকাংশ হাসপাতালে করোনা শনাক্তে পৃথক ইউনিট চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।

গত ২৬ মে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে এক প্রসূতিকে ভর্তি না করিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হলে তিনি ওই হাসপাতালের প্রধান ফটকের পাশেই সন্তান প্রসব করেন। এছাড়া ভর্তি না করায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল চত্বরে ভ্যানের ওপর এক নারী সন্তানের জন্ম দেন গত ৪ মে। এরূপ বেশ কয়েকটি ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে ভর্তি না নেয়ায় হাসপাতালের গেটের সামনে, কখনও ভ্যানের ওপর সন্তান প্রসব হয়েছে। এসব ঘটনা প্রমাণ করে দেশের স্বাস্থ্যখাতের সার্বিক অবস্থা। এ অবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে রিট করা হয়।

মঙ্গলবার, ০২ জুন ২০২০ , ১৯ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ৯ শাওয়াল ১৪৪১

অন্তঃসত্ত্বা নারীদের করোনা টেস্ট করানোর নির্দেশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে করোনা টেস্টসহ অন্য সুচিকিৎসা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

গত ২৭ মে করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দেশের অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআর মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালকের সরকারি ই-মেইলে একটি নোটিশ পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ জনস্বার্থে এ নোটিশ পাঠান। কিন্তু নোটিশের জবাব না পেয়ে ৩১ মে তিনি করোনাকালীন অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে করোনা টেস্ট ও অন্য সুচিকিৎসা প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। করোনাকালে চিকিৎসা না পাওয়া অন্তঃসত্ত্বা নারীদের নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সংযুক্ত করে জনস্বার্থে রিটটি করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। রিটে করোনাকালে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের অধিকাংশ হাসপাতালে করোনা শনাক্তে পৃথক ইউনিট চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।

গত ২৬ মে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে এক প্রসূতিকে ভর্তি না করিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হলে তিনি ওই হাসপাতালের প্রধান ফটকের পাশেই সন্তান প্রসব করেন। এছাড়া ভর্তি না করায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল চত্বরে ভ্যানের ওপর এক নারী সন্তানের জন্ম দেন গত ৪ মে। এরূপ বেশ কয়েকটি ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে ভর্তি না নেয়ায় হাসপাতালের গেটের সামনে, কখনও ভ্যানের ওপর সন্তান প্রসব হয়েছে। এসব ঘটনা প্রমাণ করে দেশের স্বাস্থ্যখাতের সার্বিক অবস্থা। এ অবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে রিট করা হয়।