ধর্ষণের শিকার এক সন্তানের জননী গ্রেফতার ৩

এক সন্তানের জননীকে হাত মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়েছে। গত রোববার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন ধর্ষককে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের বাজার সংলগ্ন এলাকাতে। উদ্ধার করা হয়েছে ধর্ষণের সময় ধারণ করা ভিডিও ক্লিপ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের মৌহালী গ্রামে ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি। রোজার ঈদের আগের দিন তার বাবার বাড়ি একই ইউনিয়নের পশ্চিম করজনা গ্রামে বেড়াতে আসেন। গত ২৭ মে সকাল ১০টার দিকে ওই গৃহবধূ বড়টিয়া বাজারে মোবাইলে লোড দেওয়ার জন্য যায়। এক পর্যায়ে ওয়াসিম মিয়া এবং মো. রাকিব মিয়ার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর কথা বলতে বলতে তারা ওই গৃহবধূটিকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বড়টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের রাস্তা দিয়ে হেটে রিপন মিয়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়ির পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে ৮/১০জন বন্ধু মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তার আত্মীয় স্বজনেরা বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে তার বাবা এবং মার কাছে ঘটনাটি খুলে বলেন। এদিকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে জোর তৎপরতা শুরু করে।

ঘিওর থানার ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় তিন জন আসামিকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন মো. ওয়াসিম মিয়া (২০), মো. রাকিব (২২), মো. রেদোয়ান (২০)। আসামিদের মানিকগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিজ্ঞ আদালতের কাছে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে গত রোববার রাতে গৃহবধূর মা বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে ঘিওর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জোর তৎপরতা চলছে বলে তিনি জানান।

মঙ্গলবার, ০২ জুন ২০২০ , ১৯ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ৯ শাওয়াল ১৪৪১

মানিকগঞ্জে

ধর্ষণের শিকার এক সন্তানের জননী গ্রেফতার ৩

প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ

এক সন্তানের জননীকে হাত মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়েছে। গত রোববার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন ধর্ষককে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের বাজার সংলগ্ন এলাকাতে। উদ্ধার করা হয়েছে ধর্ষণের সময় ধারণ করা ভিডিও ক্লিপ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের মৌহালী গ্রামে ওই গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি। রোজার ঈদের আগের দিন তার বাবার বাড়ি একই ইউনিয়নের পশ্চিম করজনা গ্রামে বেড়াতে আসেন। গত ২৭ মে সকাল ১০টার দিকে ওই গৃহবধূ বড়টিয়া বাজারে মোবাইলে লোড দেওয়ার জন্য যায়। এক পর্যায়ে ওয়াসিম মিয়া এবং মো. রাকিব মিয়ার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর কথা বলতে বলতে তারা ওই গৃহবধূটিকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বড়টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনের রাস্তা দিয়ে হেটে রিপন মিয়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়ির পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে ৮/১০জন বন্ধু মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তার আত্মীয় স্বজনেরা বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে তার বাবা এবং মার কাছে ঘটনাটি খুলে বলেন। এদিকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে জোর তৎপরতা শুরু করে।

ঘিওর থানার ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় তিন জন আসামিকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন মো. ওয়াসিম মিয়া (২০), মো. রাকিব (২২), মো. রেদোয়ান (২০)। আসামিদের মানিকগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিজ্ঞ আদালতের কাছে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে গত রোববার রাতে গৃহবধূর মা বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে ঘিওর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জোর তৎপরতা চলছে বলে তিনি জানান।