করোনা সংক্রমণের সময়ে দেশের কারাগারগুলোর সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়ে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের এসব তথ্য জানাতে বলেছেন আদালত। একইসঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৫ জুন দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
৮৯ হাজার কারাবন্দীর করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা ও স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা চেয়ে রিট করেন আইনজীবী শিশির মনির। এতে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক ও কারা মহাপরিদর্শককে বিবাদী করা হয়। গত ১৭ মে ই-মেইলের মাধ্যমে হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চুয়াল বেঞ্চে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।
শিশির মনির বলেন, রিটে দেশের সব কারাগারে কারাবন্দী ও কারারক্ষীদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশের আলোকে কী কী প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে তা-ও আদালতকে জানানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা কারাবন্দীদের অবস্থা খুবই নাজুক। দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি বন্দী রয়েছেন। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে, দেশের ৬৮টি কারাগারে ৪১ হাজার ২৪৪ জনের ধারণক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে সেখানে ৮৫ হাজার বন্দী রয়েছেন। এই অবস্থায় কারাগারে বন্দীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব। ইতোমধ্যে ২৩ জন করারক্ষী এবং দুজন বন্দীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত ১২ মে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার বন্দীকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার প্রায় তিন হাজার বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। এটি অবশ্য প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এটি যথেষ্ট নয় বলছেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।
এরআগে বন্দীদের করোনাভাইরাস থেকে রক্ষায় কারা কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা জানাতে গত ১৪ মে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান আইনজীবী শিশির মনির। বিবাদীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ জানাতে ওই নোটিশ পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেই নোটিশের জবাব না পাওয়ায় এ রিট দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বুধবার, ০৩ জুন ২০২০ , ২০ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১০ শাওয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
করোনা সংক্রমণের সময়ে দেশের কারাগারগুলোর সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়ে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের এসব তথ্য জানাতে বলেছেন আদালত। একইসঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৫ জুন দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
৮৯ হাজার কারাবন্দীর করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা ও স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা চেয়ে রিট করেন আইনজীবী শিশির মনির। এতে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক ও কারা মহাপরিদর্শককে বিবাদী করা হয়। গত ১৭ মে ই-মেইলের মাধ্যমে হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চুয়াল বেঞ্চে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।
শিশির মনির বলেন, রিটে দেশের সব কারাগারে কারাবন্দী ও কারারক্ষীদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশের আলোকে কী কী প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে তা-ও আদালতকে জানানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা কারাবন্দীদের অবস্থা খুবই নাজুক। দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি বন্দী রয়েছেন। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে, দেশের ৬৮টি কারাগারে ৪১ হাজার ২৪৪ জনের ধারণক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে সেখানে ৮৫ হাজার বন্দী রয়েছেন। এই অবস্থায় কারাগারে বন্দীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব। ইতোমধ্যে ২৩ জন করারক্ষী এবং দুজন বন্দীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গত ১২ মে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার বন্দীকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার প্রায় তিন হাজার বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। এটি অবশ্য প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে এটি যথেষ্ট নয় বলছেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।
এরআগে বন্দীদের করোনাভাইরাস থেকে রক্ষায় কারা কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা জানাতে গত ১৪ মে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান আইনজীবী শিশির মনির। বিবাদীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ জানাতে ওই নোটিশ পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেই নোটিশের জবাব না পাওয়ায় এ রিট দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।