করোনায় আটকে গেছে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার ১৩ পরীক্ষা

কারণে আটকে গেছে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের পরীক্ষা। এ পর্যন্ত তিনটি বিসিএস ও ১০টি নন-ক্যাডারসহ মোট ১৩টি পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেছে। এসব পরীক্ষার আয়োজন নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোন পরীক্ষার আয়োজন করতে চায় না পিএসসি কর্তৃপক্ষ।

গত ১৬ মার্চ এক ঘোষণায় চলমান সব পরীক্ষা ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে পিএসসি। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় স্থগিতাদেশ আর প্রত্যাহার করা হয়নি। তবে বৃহত্তর স্বার্থে সংস্থাটি ঝুঁকি নিয়েই চিকিৎসক ও সিনিয়র নার্স নিয়োগের সুপারিশ করেছে। বর্তমানে তিনটি বিসিএস পরীক্ষার কার্যক্রম নিয়ে এগোচ্ছে পিএসসি। এগুলো হচ্ছে- ৩৮, ৪০ ও ৪১তম বিসিএস। ৩৮তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ফলাফল প্রকাশের কথা মার্চের শেষের দিকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের সব পরীক্ষার শিডিউল ভেস্তে গেছে। মার্চ মাসে ৮ থেকে ১০টি নন-ক্যাডার পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিল। কয়েকটি বিসিএস পরীক্ষা প্রক্রিয়াধীন আছে। করোনায় আমাদের কাজে কিছুটা ধীরগতি এসেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা দ্রুততার সঙ্গে সব কাজ এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করব। পরীক্ষার ফলাফল তৈরির সঙ্গে খাতা দেখাসহ আরও কিছু কাজ আছে। এতে বাইরের বিশেষজ্ঞরা সম্পৃক্ত। অনেককেই পিএসসিতে আসা-যাওয়া করতে হয়। আমরা তাদের কাউকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না। তাই একটু সময় নিতে হচ্ছে। বাস্তবতা সবাইকে মানতে হবে।

পিএসসির একজন সদস্য বলেন, ৩৮তম বিসিএসের ফল প্রকাশের জন্য সবকিছুই প্রায় গুছিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু করোনায় আটকে গেছে ফলাফল ঘোষণা। বিদ্যমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের সুযোগ নেই।

পিএসসি সূত্র জানায়, ৩৯তম বিসিএস ছিল বিশেষ। এই বিসিএসের মাধ্যমে চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়। ৪০তম বিসিএসটা সাধারণ। গত বছরের মে মাসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিয়ে ইতোমধ্যে এই বিসিএসের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ২০ হাজার ২৭৭ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। তবে আবেদন করেছিলেন চার লাখ ১২ হাজার ৫৩২ জন প্রার্থী। এর আগে ২০১৮ সালের গত ১১ সেপ্টেম্বর ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। গত বছরের ডিসেম্বরে নেয়া হয় ৪১তম বিসিএসের প্রার্থীদের আবেদন। এই বিসিএসে মোট দুই হাজার ১৬৬ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দেয়া হবে। একমাস ধরে প্রার্থীদের আবেদন নেয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী এখন পিএসসি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করবে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এই কার্যক্রমও স্থগিত আছে।

আরও খবর
হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ তথ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালানোর অনুরোধ কাদেরের
কারাগারগুলোর অবস্থা জানাতে আদালতের নির্দেশ
করোনায় আক্রান্ত নাসিম আইসিইউতে
সিটি করপোরেশনে দুর্নীতির লেশমাত্র রাখব না
নটরডেমসহ চার কলেজে ভর্তি চলবে
করোনাজয়ী দশ পুলিশ সদস্যকে ফুল দিয়ে বরণ
দুর্নীতি ঘটলেই আইনি ব্যবস্থা দুদক চেয়ারম্যান
অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন
নিত্যপণ্যের চালানের সঙ্গে রাজধানীতে আসছে ইয়াবা
স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আসছে ঢাবি শিক্ষার্থীরা
বিনা ভাড়ায় আম-লিচু পরিবহন করবে ডাক বিভাগ
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ গণফোরাম

বুধবার, ০৩ জুন ২০২০ , ২০ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১০ শাওয়াল ১৪৪১

করোনায় আটকে গেছে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার ১৩ পরীক্ষা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

কারণে আটকে গেছে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের পরীক্ষা। এ পর্যন্ত তিনটি বিসিএস ও ১০টি নন-ক্যাডারসহ মোট ১৩টি পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গেছে। এসব পরীক্ষার আয়োজন নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কোন পরীক্ষার আয়োজন করতে চায় না পিএসসি কর্তৃপক্ষ।

গত ১৬ মার্চ এক ঘোষণায় চলমান সব পরীক্ষা ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে পিএসসি। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় স্থগিতাদেশ আর প্রত্যাহার করা হয়নি। তবে বৃহত্তর স্বার্থে সংস্থাটি ঝুঁকি নিয়েই চিকিৎসক ও সিনিয়র নার্স নিয়োগের সুপারিশ করেছে। বর্তমানে তিনটি বিসিএস পরীক্ষার কার্যক্রম নিয়ে এগোচ্ছে পিএসসি। এগুলো হচ্ছে- ৩৮, ৪০ ও ৪১তম বিসিএস। ৩৮তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ফলাফল প্রকাশের কথা মার্চের শেষের দিকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের সব পরীক্ষার শিডিউল ভেস্তে গেছে। মার্চ মাসে ৮ থেকে ১০টি নন-ক্যাডার পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিল। কয়েকটি বিসিএস পরীক্ষা প্রক্রিয়াধীন আছে। করোনায় আমাদের কাজে কিছুটা ধীরগতি এসেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা দ্রুততার সঙ্গে সব কাজ এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করব। পরীক্ষার ফলাফল তৈরির সঙ্গে খাতা দেখাসহ আরও কিছু কাজ আছে। এতে বাইরের বিশেষজ্ঞরা সম্পৃক্ত। অনেককেই পিএসসিতে আসা-যাওয়া করতে হয়। আমরা তাদের কাউকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না। তাই একটু সময় নিতে হচ্ছে। বাস্তবতা সবাইকে মানতে হবে।

পিএসসির একজন সদস্য বলেন, ৩৮তম বিসিএসের ফল প্রকাশের জন্য সবকিছুই প্রায় গুছিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু করোনায় আটকে গেছে ফলাফল ঘোষণা। বিদ্যমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের সুযোগ নেই।

পিএসসি সূত্র জানায়, ৩৯তম বিসিএস ছিল বিশেষ। এই বিসিএসের মাধ্যমে চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়। ৪০তম বিসিএসটা সাধারণ। গত বছরের মে মাসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিয়ে ইতোমধ্যে এই বিসিএসের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ২০ হাজার ২৭৭ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। তবে আবেদন করেছিলেন চার লাখ ১২ হাজার ৫৩২ জন প্রার্থী। এর আগে ২০১৮ সালের গত ১১ সেপ্টেম্বর ৪০তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। গত বছরের ডিসেম্বরে নেয়া হয় ৪১তম বিসিএসের প্রার্থীদের আবেদন। এই বিসিএসে মোট দুই হাজার ১৬৬ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দেয়া হবে। একমাস ধরে প্রার্থীদের আবেদন নেয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী এখন পিএসসি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করবে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এই কার্যক্রমও স্থগিত আছে।