করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করে গণফোরাম। গতকাল গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিলম্বে ও শিথিলতার মধ্য দিয়ে যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল তার প্রভাবে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এলেও সরকার ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রভাব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সরকারের অব্যবস্থাপনার ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। যারা রাষ্ট্রের ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়েছেন তাদের ক্রমাগত ব্যর্থতার জন্য একদিন জবাব দিতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য সরকারকে এখনই যথাসম্ভব পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, যখন সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে- এরকম একটি পরিস্থিতিতে জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে সরকারি ছুটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জনমনে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকন্ঠা সৃষ্টি করেছে। পর্যাপ্ত পরীক্ষার অভাব এবং স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার ফলে পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত খারাপের দিকে যাচ্ছে। ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের যথাযথ সুরক্ষা উপকরণ প্রদানের ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে শীঘ্রই বেরিয়ে আসতে হবে। সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়লে স্বাস্থ্য খাতের ওপর যে চাপ সৃষ্টি হবে সরকার সেটি কীভাবে মোকাবিলা করবে জনগণ জানতে চায়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সরকারের দেয়া তথ্যে জনগণের কোন আস্থা নেই। করোনাভাইরাস সঙ্কটে সরকারি ত্রাণের সামান্য অংশই দুস্থদের কাছে পৌঁছাচ্ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। দুর্নীতি ও অদক্ষতার ফলে সরকারি সাহায্যের সামান্য অংশই গরিব ও ঝুঁকিগ্রস্থ মানুষের কাছে পৌঁছেছে।
বুধবার, ০৩ জুন ২০২০ , ২০ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১০ শাওয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করে গণফোরাম। গতকাল গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিলম্বে ও শিথিলতার মধ্য দিয়ে যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল তার প্রভাবে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এলেও সরকার ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রভাব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সরকারের অব্যবস্থাপনার ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। যারা রাষ্ট্রের ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিয়েছেন তাদের ক্রমাগত ব্যর্থতার জন্য একদিন জবাব দিতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য সরকারকে এখনই যথাসম্ভব পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, যখন সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে- এরকম একটি পরিস্থিতিতে জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে সরকারি ছুটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জনমনে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকন্ঠা সৃষ্টি করেছে। পর্যাপ্ত পরীক্ষার অভাব এবং স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার ফলে পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত খারাপের দিকে যাচ্ছে। ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের যথাযথ সুরক্ষা উপকরণ প্রদানের ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে শীঘ্রই বেরিয়ে আসতে হবে। সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়লে স্বাস্থ্য খাতের ওপর যে চাপ সৃষ্টি হবে সরকার সেটি কীভাবে মোকাবিলা করবে জনগণ জানতে চায়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সরকারের দেয়া তথ্যে জনগণের কোন আস্থা নেই। করোনাভাইরাস সঙ্কটে সরকারি ত্রাণের সামান্য অংশই দুস্থদের কাছে পৌঁছাচ্ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। দুর্নীতি ও অদক্ষতার ফলে সরকারি সাহায্যের সামান্য অংশই গরিব ও ঝুঁকিগ্রস্থ মানুষের কাছে পৌঁছেছে।