চিঠিপত্র

ত্রাণ নিয়ে অনিয়ম, কঠোর ব্যবস্থা নিন

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এবারের ছুটি নিয়ে গত ২৬ মার্চ থেকে মোট সাত দফায় ছুটি বাড়ানো হলো। করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে ছুটির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বন্ধ হয়ে গেছে অনেকের আয়ের পথ। এ অবস্থায় কর্মহীন অসহায় দরিদ্র মানুষের জীবিকা নির্বাহ যেন বর্তমান সময়ে কঠিন না হয়ে পড়ে সেজন্য সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কিন্তু এই সব কর্মসূচির আওতায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অনিয়ম এবং দুর্নীতির খবর সংবাদমাধ্যমে আসছে। অনেকের নামের তালিকা ও ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ নিয়ে গেলেও, তারা জানে না কবে ত্রাণ পাবে। এছাড়া ত্রাণ বিতরণের তালিকা প্রনয়নে দলীয়করণ হওয়ায়, অনেকেই বাদ পড়ছে। বর্তমান সরকার সবসময়ই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার। এবারও এ দুযোর্গময় মুহূর্তে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এবং জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার পরেও, সরকারের কঠোর অবস্থানের সত্ত্বেও ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের যেসব খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে তা মোটেই স্বস্তিকর নয়। কর্মহীন মানুষগুলো পেটের টানে সংক্রমণের ঝুঁকির সত্ত্বেও ত্রাণের খোঁজে ছুটছেন পথে পথে। সারাদিন অপেক্ষা করেও দিন শেষে ত্রাণ না পেয়ে শূন্য হাতে অনেকে ফিরছেন ঘরে। প্রায় প্রতিটি দিন একটু সাহায্যের আশায় বসে বসে ক্ষন গুনছেন অসহায় এসব মানুষ। তাদের চাহিদা বেশি নয়। কোনোমতে দুই মুঠো খেয়ে বেঁচে থাকতে পারলেই হয়। মানুষের বিপদের দিনে যাদের ওপর ভরসা করা হবে, তারাই যদি অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় স্বস্তি পাবে। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিকেও যারা তোয়াক্কা না করে অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আজ জরুরি।

রাশিদুল ইসলাম

গৌরীপুরে চলাচলের নিত্যসঙ্গী কাদা

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুরাসীর চলার পথে নিত্য সঙ্গী কাদা। কাদা পিছু ছাড়ছে না গৌরীপুরের হতভাগা মানুষদের কাছ থেকে।

মাসের পর মাস, বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও গৌরীপুর বাজারের দিকে কোনো সরকারি হৃদয়বানের চোখ পড়ে না। নিরুপায় হয়ে কাদার উপর দিয়েই অনবরত পথ চলছেন গৌরীপুরের সাধারণ মানুষ।

শুকানো মৌসুমেই চলাচল করা যেখানে কঠিন, সেখানে বর্ষাকালে কিভাবে চলাচল করা যায়? স্বচোক্ষে না দেখলে বিশ্বাস করাটাই কঠিন হয়ে পড়বে। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে গৌরীপুরের কলাবাজার, সোনালী ব্যাংক রোড ও ওষুধপট্টি রোডে কিছু কাজ হওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু পোস্ট অফিস রোড, সিটি ব্যাংক রোড সুবল আফতাব স্কুল রোডের কাজগুলো বাকি রেখেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে মানুষের দুর্দশার শেষ নেই। বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই হাটু পানি জমে গিয়ে মানুষের চলাফেরায় মারাত্বক বিঘ্ন ঘটে। এছাড়া কাঁদার তো কোনো সীমা নেই। একজন অসুস্থ্য রোগিকে জরুরি ভিত্তিতে কোথাও নিতে গেলে বাধা হয়ে দাড়ায় কাদাযুক্ত রাস্তাগুলো। বৃদ্ধদের চলাচল করা তো বড়ই মুশকিল।

গৌরীপুর একটি ব্যবসাকেন্দ্রিক বাজার। যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকের যাতায়াত। এই বাজারে অসংখ্য ব্যাংকের শাখা রয়েছে। রয়েছে পোস্ট অফিস, ভূমি অফিস, পশু হাসপাতাল, স্কুল ও কলেজ। ব্যবসাকেন্দিক এই বাজারের পুরোপুরি উন্নয়ন দেখতে চায় গৌরীপুরের সাধারণ মানুষ।

এম এ রহমান,

গৌরীপুর, কুমিল্লা।

আরও খবর

বুধবার, ০৩ জুন ২০২০ , ২০ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১০ শাওয়াল ১৪৪১

চিঠিপত্র

ত্রাণ নিয়ে অনিয়ম, কঠোর ব্যবস্থা নিন

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এবারের ছুটি নিয়ে গত ২৬ মার্চ থেকে মোট সাত দফায় ছুটি বাড়ানো হলো। করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে ছুটির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বন্ধ হয়ে গেছে অনেকের আয়ের পথ। এ অবস্থায় কর্মহীন অসহায় দরিদ্র মানুষের জীবিকা নির্বাহ যেন বর্তমান সময়ে কঠিন না হয়ে পড়ে সেজন্য সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কিন্তু এই সব কর্মসূচির আওতায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অনিয়ম এবং দুর্নীতির খবর সংবাদমাধ্যমে আসছে। অনেকের নামের তালিকা ও ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ নিয়ে গেলেও, তারা জানে না কবে ত্রাণ পাবে। এছাড়া ত্রাণ বিতরণের তালিকা প্রনয়নে দলীয়করণ হওয়ায়, অনেকেই বাদ পড়ছে। বর্তমান সরকার সবসময়ই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার। এবারও এ দুযোর্গময় মুহূর্তে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এবং জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার পরেও, সরকারের কঠোর অবস্থানের সত্ত্বেও ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের যেসব খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে তা মোটেই স্বস্তিকর নয়। কর্মহীন মানুষগুলো পেটের টানে সংক্রমণের ঝুঁকির সত্ত্বেও ত্রাণের খোঁজে ছুটছেন পথে পথে। সারাদিন অপেক্ষা করেও দিন শেষে ত্রাণ না পেয়ে শূন্য হাতে অনেকে ফিরছেন ঘরে। প্রায় প্রতিটি দিন একটু সাহায্যের আশায় বসে বসে ক্ষন গুনছেন অসহায় এসব মানুষ। তাদের চাহিদা বেশি নয়। কোনোমতে দুই মুঠো খেয়ে বেঁচে থাকতে পারলেই হয়। মানুষের বিপদের দিনে যাদের ওপর ভরসা করা হবে, তারাই যদি অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় স্বস্তি পাবে। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিকেও যারা তোয়াক্কা না করে অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আজ জরুরি।

রাশিদুল ইসলাম

গৌরীপুরে চলাচলের নিত্যসঙ্গী কাদা

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুরাসীর চলার পথে নিত্য সঙ্গী কাদা। কাদা পিছু ছাড়ছে না গৌরীপুরের হতভাগা মানুষদের কাছ থেকে।

মাসের পর মাস, বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও গৌরীপুর বাজারের দিকে কোনো সরকারি হৃদয়বানের চোখ পড়ে না। নিরুপায় হয়ে কাদার উপর দিয়েই অনবরত পথ চলছেন গৌরীপুরের সাধারণ মানুষ।

শুকানো মৌসুমেই চলাচল করা যেখানে কঠিন, সেখানে বর্ষাকালে কিভাবে চলাচল করা যায়? স্বচোক্ষে না দেখলে বিশ্বাস করাটাই কঠিন হয়ে পড়বে। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে গৌরীপুরের কলাবাজার, সোনালী ব্যাংক রোড ও ওষুধপট্টি রোডে কিছু কাজ হওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু পোস্ট অফিস রোড, সিটি ব্যাংক রোড সুবল আফতাব স্কুল রোডের কাজগুলো বাকি রেখেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে মানুষের দুর্দশার শেষ নেই। বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই হাটু পানি জমে গিয়ে মানুষের চলাফেরায় মারাত্বক বিঘ্ন ঘটে। এছাড়া কাঁদার তো কোনো সীমা নেই। একজন অসুস্থ্য রোগিকে জরুরি ভিত্তিতে কোথাও নিতে গেলে বাধা হয়ে দাড়ায় কাদাযুক্ত রাস্তাগুলো। বৃদ্ধদের চলাচল করা তো বড়ই মুশকিল।

গৌরীপুর একটি ব্যবসাকেন্দ্রিক বাজার। যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকের যাতায়াত। এই বাজারে অসংখ্য ব্যাংকের শাখা রয়েছে। রয়েছে পোস্ট অফিস, ভূমি অফিস, পশু হাসপাতাল, স্কুল ও কলেজ। ব্যবসাকেন্দিক এই বাজারের পুরোপুরি উন্নয়ন দেখতে চায় গৌরীপুরের সাধারণ মানুষ।

এম এ রহমান,

গৌরীপুর, কুমিল্লা।