প্রকৌশলী বদলি নিয়ে ইইডিতে তুলকালাম কাণ্ড

ঘুষ ও পিসি (পার্সেন্টেজ) এবং নানা অনিয়মের অভিযোগে কয়েকজন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়ে ‘তুলকালাম কাণ্ড’ ঘটছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে (ইইডি)। নানা রকম অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায়ে সম্প্রতি লালমনিরহাটের এক সহকারী প্রকৌশলীকে ঝালকাটি বদলির আদেশ জারি করলে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির চাপ ও হুমকিতে ওই আদেশ অকার্যকর রাখা হয়। এই আদেশ বাতিল করতে এখন উল্টো প্রধান প্রকৌশলীকেই সরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে, যাতে ইন্দন যোগাচ্ছে বিতর্কিত কয়েকজন ঠিকাদার। এ নিয়ে ইইডি’র ‘সিভিল ইঞ্জিনিয়ার’ ও ‘ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার’ সমিতি এবং বিতর্কিত ঠিকাদাররা মুখোমুখী অবস্থানে রয়েছেন। এদিকে দুই ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর ঘুষ ও কমিশন বাণিজ্যের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে ইইডির ঢাকা মেট্রোপলিটন আঞ্চলিক কার্যালয়। এ কার্যালয়ে ঠিকাদারি কাজ নিয়ন্ত্রণে দুই প্রকৌশলীর নেতৃত্বে শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে ওঠেছে, যারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। এখানেও নির্বাহী প্রকৌশলী জিন্মি কনিষ্ঠ প্রকৌশলীদের কাছে। ইইডির ঢাকা মেট্রোপলিটন আঞ্চলিক কার্যালয় নিয়ে ১৯ মার্চে দৈনিক সংবাদকে ‘ঘুষ ও কমিশন বাণিজ্যে স্থবির’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন ছাপা হলে বিতর্কিত দুই প্রকৌশলীকে বদলির উদ্যোগ নিয়েছিল প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়। কিন্তু ঠিকাদার ও ‘ডিপ্লোমা’ সমিতির চাপে তাদের বদলি আটকে যায়।

গত ১৮ মে ইইডি’র লালমনিরহাট অফিসের সহকারী প্রকৌশলী হাজেরুল ইসলামকে সংস্থার ঝালকাঠি অফিসে বদলির আদেশ জারি করেন প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতার। এরপর বদলির আদেশ বাতিল করতে ঠিকাদার ও একটি সমিতির পক্ষ্য থেকে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করা হয় প্রধান প্রকৌশলীর ওপর। বদলি ঠেকাতে সমিতির নেতারা শিক্ষা সচিবের সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন, কিন্তু তাদের সাক্ষাৎ দেননি সচিব।

এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতার সংবাদকে বলেছেন, ‘যতই চাপ সৃষ্টি করুক, আদেশ বাতিল হয়নি, হবেও না। বেশি চাপ দিলে হাজেরুলের বিরুদ্ধে জলজ্যান্ত যত প্রমাণ রয়েছে, তা মন্ত্রী ও সচিব মহোদয়ের কাছে দিয়ে দেব, তখন তার চাকরিই থাকবে না। এসব বিষয়ে আমি কাউকে ছাড় দেব না, সে সমিতি করুক আর যাই করুক।’

বুলবুল আখতার ইইডি’র রংপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মেনহাজুল হকের কাছে এক চিঠিতে বলেছেন, ‘সহকারী প্রকৌশলী হাজেরুল ইসলামের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট হাজেরখাতুন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের পরিমাণ বহি অনৈতিকভাবে সংগ্রহপূর্বক আদিতমারী উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী বরাবরে ইস্যু করে উক্ত কাজের বিল দাখিল করেছেন। এছাড়াও তিনি লালমনিরহাট সদর উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালনকালে উক্ত উপজেলায় কমপক্ষে ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের পরিমাণ লিপিবদ্ধ করার সময় অনেক আইটেম সিডিউলে উল্লেখিত দর পক্ষে উচ্চ দর লিপিবদ্ধ করে বিলের পরিমাণ বৃদ্ধি করত; ঠিকাদারকে অনৈতিকভাবে সুবিধা দেয়ার লক্ষ্যে বিল প্রেরণ করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী অভিযোগ দাখিল করেছেন।’

তদন্তে এই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে হাজেরুল ঠাকুরগাঁও সদরে কর্মরত থাকা অবস্থায় নানা অনিয়মের অভিযোগে তাকে লালমনিরহাটে বদলি করা হয়েছিল।

ঢাকা জোনেও শুদ্ধি অভিযান আসছে :

ঢাকা জোন অফিসে কর্মরত ওই সিন্ডিকেটের দু’জন প্রকৌশলী একটি সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে সম্প্রতি আরও বেপরোয়া হয়ে পরেন, যাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ ও মাদারীপুর। পরবর্তীতে একজনকে ঢাকার বাইরে বদলি করা হলেও অন্যজন বহাল তবিয়তেই আছেন।

এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতার বলেন, ‘তাদের একজনকে মুন্সিগঞ্জ জোনে বদলি করা হয়েছে। অনিয়ম করলে কাউকে রেহাই দেয়া হবে না।’

ডিপ্লোমা সমিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা সমিতি করুক, আর যাই করুক, আমার কিছু যাই আসে না। কিন্তু সব কাজে বাঁধা দিলে সেটাতো আমি টলারেট (সহ্য) করব না।’

ডিপ্লেমা সমিতির নির্বাচন সম্পর্কে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘মোয়াজ্জেম (মীর মুয়াজ্জেম হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী) ছিলেন নির্বাচন কমিশনার; সে কী করবে? তারাতো নির্বাচনের আগে সবাই মিলে যায়।’

জানা গেছে, ঠিকাদার ও প্রকৌশলী সিন্ডিকেটের কারণে সরকারি বাঙলা কলেজে হোস্টেল নির্মাণ কাজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) সংস্কার কাজ, ঢাকা কলেজে শিক্ষাভবন নির্মাণ, ভিকারুন নেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অবকাঠামো নির্মাণ কাজও স্থবির হয়ে পরেছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারেরও অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইইডির ঢাকা মেট্রোপলিটন আঞ্চলিক অফিসে একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর নেতৃত্বে ১৯ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজধানীর বিভিন্ন থাকায় কর্মরত আছেন। তাদের বেশির ভাগই অনেকটাই বেকার কর্মঘণ্টা অতিবাহিত করলেও ন্যূনতম পাঁচজন প্রকৌশলীর কব্জায় রয়েছে ইইডির ঢাকা অফিস। তারাই কমিশন আদায়ের কাজ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, ‘ইইডির বিষয় ও সমস্যাগুলোর ওপর নজর রাখা হচ্ছে। দুর্নীতি ও কমিশন খেয়ে কেউ রেহাই পাবে না।’

আরও খবর
একজনের বদলে অন্যজন হাজতে : দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
কোর্ট পরিচালনায় স্বাস্থ্যবিধি প্রণয়নের নির্দেশ চেয়ে রিট
রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তার মৃত্যু
সাদ এরশাদ ও সিটি মেয়র মুখোমুখি
যুক্তরাষ্ট্রে আটকে পড়াদের ফেরতে বিশেষ ফ্লাইট ৬ জুন
বিষধর সাপ ‘রাসেল ভাইপার’ কৃষকরা আতঙ্কের মাঝে ধান কাটছে
ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে কুমেকের যাত্রা শুরু
নতুন কারিকুলামে পাঠদান শুরু হচ্ছে আগামী শিক্ষাবর্ষে
বৃদ্ধকে নির্যাতনের ঘটনায় ৩ জন গ্রেফতার
এক কোটি তিন লাখ টাকা অতিরিক্ত বিল, সহকারী প্রকৌশলী সাসপেন্ড
ভৈরবে মানবপাচারকারী দলের ৩ দালাল গ্রেফতার
শাহজাদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
১৪ হতদরিদ্রের চাল চার বছর ধরে ভোগ করছে তিন ইউপি সদস্য
করোনায় আর্তমানবতার সেবায় ‘সময় ফাউন্ডেশন’

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুন ২০২০ , ২১ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১১ শাওয়াল ১৪৪১

প্রকৌশলী বদলি নিয়ে ইইডিতে তুলকালাম কাণ্ড

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ঘুষ ও পিসি (পার্সেন্টেজ) এবং নানা অনিয়মের অভিযোগে কয়েকজন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়ে ‘তুলকালাম কাণ্ড’ ঘটছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরে (ইইডি)। নানা রকম অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায়ে সম্প্রতি লালমনিরহাটের এক সহকারী প্রকৌশলীকে ঝালকাটি বদলির আদেশ জারি করলে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির চাপ ও হুমকিতে ওই আদেশ অকার্যকর রাখা হয়। এই আদেশ বাতিল করতে এখন উল্টো প্রধান প্রকৌশলীকেই সরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে, যাতে ইন্দন যোগাচ্ছে বিতর্কিত কয়েকজন ঠিকাদার। এ নিয়ে ইইডি’র ‘সিভিল ইঞ্জিনিয়ার’ ও ‘ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার’ সমিতি এবং বিতর্কিত ঠিকাদাররা মুখোমুখী অবস্থানে রয়েছেন। এদিকে দুই ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর ঘুষ ও কমিশন বাণিজ্যের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে ইইডির ঢাকা মেট্রোপলিটন আঞ্চলিক কার্যালয়। এ কার্যালয়ে ঠিকাদারি কাজ নিয়ন্ত্রণে দুই প্রকৌশলীর নেতৃত্বে শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে ওঠেছে, যারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। এখানেও নির্বাহী প্রকৌশলী জিন্মি কনিষ্ঠ প্রকৌশলীদের কাছে। ইইডির ঢাকা মেট্রোপলিটন আঞ্চলিক কার্যালয় নিয়ে ১৯ মার্চে দৈনিক সংবাদকে ‘ঘুষ ও কমিশন বাণিজ্যে স্থবির’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন ছাপা হলে বিতর্কিত দুই প্রকৌশলীকে বদলির উদ্যোগ নিয়েছিল প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়। কিন্তু ঠিকাদার ও ‘ডিপ্লোমা’ সমিতির চাপে তাদের বদলি আটকে যায়।

গত ১৮ মে ইইডি’র লালমনিরহাট অফিসের সহকারী প্রকৌশলী হাজেরুল ইসলামকে সংস্থার ঝালকাঠি অফিসে বদলির আদেশ জারি করেন প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতার। এরপর বদলির আদেশ বাতিল করতে ঠিকাদার ও একটি সমিতির পক্ষ্য থেকে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করা হয় প্রধান প্রকৌশলীর ওপর। বদলি ঠেকাতে সমিতির নেতারা শিক্ষা সচিবের সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন, কিন্তু তাদের সাক্ষাৎ দেননি সচিব।

এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতার সংবাদকে বলেছেন, ‘যতই চাপ সৃষ্টি করুক, আদেশ বাতিল হয়নি, হবেও না। বেশি চাপ দিলে হাজেরুলের বিরুদ্ধে জলজ্যান্ত যত প্রমাণ রয়েছে, তা মন্ত্রী ও সচিব মহোদয়ের কাছে দিয়ে দেব, তখন তার চাকরিই থাকবে না। এসব বিষয়ে আমি কাউকে ছাড় দেব না, সে সমিতি করুক আর যাই করুক।’

বুলবুল আখতার ইইডি’র রংপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মেনহাজুল হকের কাছে এক চিঠিতে বলেছেন, ‘সহকারী প্রকৌশলী হাজেরুল ইসলামের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট হাজেরখাতুন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের পরিমাণ বহি অনৈতিকভাবে সংগ্রহপূর্বক আদিতমারী উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী বরাবরে ইস্যু করে উক্ত কাজের বিল দাখিল করেছেন। এছাড়াও তিনি লালমনিরহাট সদর উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালনকালে উক্ত উপজেলায় কমপক্ষে ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের পরিমাণ লিপিবদ্ধ করার সময় অনেক আইটেম সিডিউলে উল্লেখিত দর পক্ষে উচ্চ দর লিপিবদ্ধ করে বিলের পরিমাণ বৃদ্ধি করত; ঠিকাদারকে অনৈতিকভাবে সুবিধা দেয়ার লক্ষ্যে বিল প্রেরণ করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী অভিযোগ দাখিল করেছেন।’

তদন্তে এই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে হাজেরুল ঠাকুরগাঁও সদরে কর্মরত থাকা অবস্থায় নানা অনিয়মের অভিযোগে তাকে লালমনিরহাটে বদলি করা হয়েছিল।

ঢাকা জোনেও শুদ্ধি অভিযান আসছে :

ঢাকা জোন অফিসে কর্মরত ওই সিন্ডিকেটের দু’জন প্রকৌশলী একটি সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে সম্প্রতি আরও বেপরোয়া হয়ে পরেন, যাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ ও মাদারীপুর। পরবর্তীতে একজনকে ঢাকার বাইরে বদলি করা হলেও অন্যজন বহাল তবিয়তেই আছেন।

এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আখতার বলেন, ‘তাদের একজনকে মুন্সিগঞ্জ জোনে বদলি করা হয়েছে। অনিয়ম করলে কাউকে রেহাই দেয়া হবে না।’

ডিপ্লোমা সমিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা সমিতি করুক, আর যাই করুক, আমার কিছু যাই আসে না। কিন্তু সব কাজে বাঁধা দিলে সেটাতো আমি টলারেট (সহ্য) করব না।’

ডিপ্লেমা সমিতির নির্বাচন সম্পর্কে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘মোয়াজ্জেম (মীর মুয়াজ্জেম হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী) ছিলেন নির্বাচন কমিশনার; সে কী করবে? তারাতো নির্বাচনের আগে সবাই মিলে যায়।’

জানা গেছে, ঠিকাদার ও প্রকৌশলী সিন্ডিকেটের কারণে সরকারি বাঙলা কলেজে হোস্টেল নির্মাণ কাজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) সংস্কার কাজ, ঢাকা কলেজে শিক্ষাভবন নির্মাণ, ভিকারুন নেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অবকাঠামো নির্মাণ কাজও স্থবির হয়ে পরেছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারেরও অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইইডির ঢাকা মেট্রোপলিটন আঞ্চলিক অফিসে একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর নেতৃত্বে ১৯ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজধানীর বিভিন্ন থাকায় কর্মরত আছেন। তাদের বেশির ভাগই অনেকটাই বেকার কর্মঘণ্টা অতিবাহিত করলেও ন্যূনতম পাঁচজন প্রকৌশলীর কব্জায় রয়েছে ইইডির ঢাকা অফিস। তারাই কমিশন আদায়ের কাজ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদকে বলেন, ‘ইইডির বিষয় ও সমস্যাগুলোর ওপর নজর রাখা হচ্ছে। দুর্নীতি ও কমিশন খেয়ে কেউ রেহাই পাবে না।’