পাচারকারীদের গুলিতে লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ভৈরবের ৬ জন নিহত ও ৩ জন আহত হওয়ার ঘটনায় র্যাব মানব পাচারকারী দলের তিন দালালকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল ভোররাতে শম্ভুগঞ্জ এলাকার মৃত আবদুল আহাদ মিয়ার ছেলে মো. হেলাল মিয়া হেলু (৪৫), তাতারকান্দি গ্রামের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে মো. খবির উদ্দিন (৪২) ও লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়া সরকারের ছেলে শহিদ মিয়াকে (৬১) গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের।
গত ২৮ মে লিবিয়ার মিজদা এলাকায় পাচারকারীদের গুলিতে ২৬ বাংলাদেশি নিহত ও ১১ জন আহত হন। এদের মধ্যে ভৈরবের মোহাম্মদ আলী (২৫), মাহবুবুর রহমান (২১), রাজন চন্দ্র দাস (২৭), শাকিব মিয়া (১৮), সাদ্দাম হোসেন আকাশ (২৫) ও শাকিল (২০) নামে ৬ জন নিহত হন। আহত হন সৌরভ আহমেদ সোহাগ (২২), মো. সজল মিয়া (২০) এবং মো. জানু মিয়া (২৭)। র্যাব কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভৈরবের তানজিল, মানিক ও জাফর লিবিয়ায় থেকে মানব পাচারের কাজ করেন। আর ভৈরবে তাদের হয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ করে টাকা নিয়ে কলকাতার মাধ্যমে লিবিয়ায় মানুষ পাচার করেন শহীদ, হিরা, খবির, হযরত আলী, জুবুর আলী, মিন্টু, তানজিলের ভাতিজা নাজমুল ও জাফরের স্ত্রী রূপা আক্তার। ভিকটিমদের লিবিয়া থেকে ইউরোপ পাচার বাবাদ আরও ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা করে নেয়া হয়। এক্ষেত্রে বিদেশি দালালরাও যুক্ত হয়। এছাড়া ভিকটিমদের লিবিয়ায় নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করে দেশের স্বজনদের কাছে নির্যাতনের ভিডিও দৃশ্য পাঠিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদাও দাবি করা হয়। টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। দালাল খবির গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কুলিয়ারচরের কাশিমনগরের আবদুল মোতালিবের ছেলে বোরহান উদ্দিনকে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে লিবিয়ায় পাঠান। সেখানে একটি চক্র ১০ মে নির্যাতন করে স্ত্রীর কাছে ভিডিও পাঠিয়ে ২৯ মে ১০ হাজার ইউরো দাবি করে। না হয় মেরে ফেলার হমকি দেয়। চক্রটি ৮ বাংলাদেশিকে লিবিয়ায় পাঠিয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব জানতে পেরেছে।
ভৈরবের সাদ্দাম হোসেন আকাশ নিহতের ঘটনায় তার বড়ভাই মোবারক হোসেন গত রোববার ভৈরব থানায় ৭ ব্যক্তি শ্রীনগর গ্রামের তানজিরুল, তার বড়ভাই বাচ্চু মিয়া, ভাতিজা নাজমুল, মৌটুপি গ্রামের জবুর আলী, লক্ষ্মীপুর গ্রামের জাফর, শম্ভুপুর গ্রামের স্বপন এবং গোছামারা গ্রামের মিন্টু মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এদের মধ্যে সিআইডি বাচ্চু মিয়াকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে ৫দিনের রিমান্ডে নিয়েছে। র্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃতদের বিষয়ে মামলা প্রকৃয়াধীন আছে বলে জানিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তা রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের।
বৃহস্পতিবার, ০৪ জুন ২০২০ , ২১ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১১ শাওয়াল ১৪৪১
জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ
পাচারকারীদের গুলিতে লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ভৈরবের ৬ জন নিহত ও ৩ জন আহত হওয়ার ঘটনায় র্যাব মানব পাচারকারী দলের তিন দালালকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল ভোররাতে শম্ভুগঞ্জ এলাকার মৃত আবদুল আহাদ মিয়ার ছেলে মো. হেলাল মিয়া হেলু (৪৫), তাতারকান্দি গ্রামের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে মো. খবির উদ্দিন (৪২) ও লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়া সরকারের ছেলে শহিদ মিয়াকে (৬১) গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের।
গত ২৮ মে লিবিয়ার মিজদা এলাকায় পাচারকারীদের গুলিতে ২৬ বাংলাদেশি নিহত ও ১১ জন আহত হন। এদের মধ্যে ভৈরবের মোহাম্মদ আলী (২৫), মাহবুবুর রহমান (২১), রাজন চন্দ্র দাস (২৭), শাকিব মিয়া (১৮), সাদ্দাম হোসেন আকাশ (২৫) ও শাকিল (২০) নামে ৬ জন নিহত হন। আহত হন সৌরভ আহমেদ সোহাগ (২২), মো. সজল মিয়া (২০) এবং মো. জানু মিয়া (২৭)। র্যাব কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভৈরবের তানজিল, মানিক ও জাফর লিবিয়ায় থেকে মানব পাচারের কাজ করেন। আর ভৈরবে তাদের হয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ করে টাকা নিয়ে কলকাতার মাধ্যমে লিবিয়ায় মানুষ পাচার করেন শহীদ, হিরা, খবির, হযরত আলী, জুবুর আলী, মিন্টু, তানজিলের ভাতিজা নাজমুল ও জাফরের স্ত্রী রূপা আক্তার। ভিকটিমদের লিবিয়া থেকে ইউরোপ পাচার বাবাদ আরও ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ টাকা করে নেয়া হয়। এক্ষেত্রে বিদেশি দালালরাও যুক্ত হয়। এছাড়া ভিকটিমদের লিবিয়ায় নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করে দেশের স্বজনদের কাছে নির্যাতনের ভিডিও দৃশ্য পাঠিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদাও দাবি করা হয়। টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। দালাল খবির গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কুলিয়ারচরের কাশিমনগরের আবদুল মোতালিবের ছেলে বোরহান উদ্দিনকে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে লিবিয়ায় পাঠান। সেখানে একটি চক্র ১০ মে নির্যাতন করে স্ত্রীর কাছে ভিডিও পাঠিয়ে ২৯ মে ১০ হাজার ইউরো দাবি করে। না হয় মেরে ফেলার হমকি দেয়। চক্রটি ৮ বাংলাদেশিকে লিবিয়ায় পাঠিয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব জানতে পেরেছে।
ভৈরবের সাদ্দাম হোসেন আকাশ নিহতের ঘটনায় তার বড়ভাই মোবারক হোসেন গত রোববার ভৈরব থানায় ৭ ব্যক্তি শ্রীনগর গ্রামের তানজিরুল, তার বড়ভাই বাচ্চু মিয়া, ভাতিজা নাজমুল, মৌটুপি গ্রামের জবুর আলী, লক্ষ্মীপুর গ্রামের জাফর, শম্ভুপুর গ্রামের স্বপন এবং গোছামারা গ্রামের মিন্টু মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এদের মধ্যে সিআইডি বাচ্চু মিয়াকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে ৫দিনের রিমান্ডে নিয়েছে। র্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃতদের বিষয়ে মামলা প্রকৃয়াধীন আছে বলে জানিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তা রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের।