করোনা সংকটে আর্ত-মানবতার সেবায় সময়োপযোগী বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজের নানা শ্রেণীপেশার মানুষের নজর কেড়েছে একদল তরুণের সংগঠন ‘সময় ফাউন্ডেশন’। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অবৈতনিক স্কুল পরিচালনা, গরিব-দুঃখী ও অসহায়দের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা, রমজানে এতিম এবং পথশিশুদের মাঝে ইফতার ও ঈদ উপহার বিতরণসহ সমাজের অবহেলিতদের জন্য নানা সহযোগিতা করে আসছে নিভৃতে। তবে করোনাকালে লকডাউনের শুরু থেকে ফাউন্ডেশনের সক্রিয় তরুণদেও স্বেচ্ছাশ্রম বিভিন্ন মহলে প্রসংশিত হয়েছে। সংগঠনের তরুণরা এ পর্যন্ত কর্মহীন ২০ হাজার মানুষের মাঝে বিতরণ করেছে রান্না করা খাবার। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মী থেকে শুরু করে বস্তিবাসী, রাস্তার শ্রমজীবী মানুষ সবার কাছে ফাউন্ডেশনের কর্মীরা ছুটে গেছেন খাবারের প্যাকেট নিয়ে। এছাড়াও ৩ হাজার পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জরুরি খাবারের প্যাকেট।
সভাপতি ইমরান চৌধুরী বলেন, ঢাকা, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, নরসিংদী, নাটোর, লালমনিরহাটসহ ১৫টি জেলায় ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম চলছে। খাদ্যসামগ্রী বিতরণের পাশপাশি লকডাউনে ঘরবন্দী মানুষকে জরুরি চিকিৎসা পরামর্শ দিতে ১৯ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে চালু করা হয়েছে ‘টেলিসেবা’। সহ-সভাপতি শরিফ বলেন, ‘ঈদের আনন্দ ছড়াই, খুশি বাড়াই’- এই প্রতিপাদ্যে ঈদের দিন ১১০০ মানুষের মাঝে মুখরোচক খাবার ও পথশিশুদের মাঝে নতুন বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ বলেন, সদস্যরা নিজেদের উপার্জনের একটি নির্দিষ্ট অংশ ফাউন্ডেশনের ফান্ডে জমা রাখছেন। কাজ চলছে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে। এছাড়া দেশ বিদেশে ছড়িয়ে থাকা পরিচিত মানুষ ও বন্ধুমহলের কাছ থেকেও তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে। সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আগামীতে অবহেলিত শিশুদের জন্য একটি কারিগড়ি ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠার কথাও জানান তিনি। সমাজের সব শ্রেণীপেশার তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আসুন যে যার জায়গা থেকে সুন্দর মন নিয়ে কাজ করি আমরা, গড়ে তুলি আমাদের সবার স্বপ্নের সোনার বাংলা।
আজকের ‘সময় ফাউন্ডেশন’ এর তরুণরা সমাজসেবার এরকম প্লাটফর্মের স্বপ্ন দেখেছিলেন এক যুগ আগে। ভাবনাটা প্রথমে আসে দু’জন তরুণ- বর্তমান সভাপতি ইমরান চৌধুরী এবং পরিচালক রেজওয়ান শাহনেওয়াজ সুজিতের মাথা থেকে। এ বিষয়ে সুজিত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমরা কয়েকজন ‘সময় ক্লাব’ নামে একটা সংগঠনের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় আইলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করেছি। বিভিন্ন সময় অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, রোজার মাসে ইফতার বিতরণ, ঈদে নতুন কাপড় বিতরণ, বিনামূল্যে দাঁত ও চোখের চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হত ওই ক্লাবের মাধ্যমে। কর্মজীবনে এসে উপার্জনের একটি অংশ দিয়ে সমাজসেবাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে কয়েকজনে মিলে প্রতিষ্ঠা করেছি ‘সময় ফাউন্ডেশন (www.shomoyfoundation.org)’।
বৃহস্পতিবার, ০৪ জুন ২০২০ , ২১ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১১ শাওয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
করোনা সংকটে আর্ত-মানবতার সেবায় সময়োপযোগী বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে সমাজের নানা শ্রেণীপেশার মানুষের নজর কেড়েছে একদল তরুণের সংগঠন ‘সময় ফাউন্ডেশন’। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অবৈতনিক স্কুল পরিচালনা, গরিব-দুঃখী ও অসহায়দের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা, রমজানে এতিম এবং পথশিশুদের মাঝে ইফতার ও ঈদ উপহার বিতরণসহ সমাজের অবহেলিতদের জন্য নানা সহযোগিতা করে আসছে নিভৃতে। তবে করোনাকালে লকডাউনের শুরু থেকে ফাউন্ডেশনের সক্রিয় তরুণদেও স্বেচ্ছাশ্রম বিভিন্ন মহলে প্রসংশিত হয়েছে। সংগঠনের তরুণরা এ পর্যন্ত কর্মহীন ২০ হাজার মানুষের মাঝে বিতরণ করেছে রান্না করা খাবার। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মী থেকে শুরু করে বস্তিবাসী, রাস্তার শ্রমজীবী মানুষ সবার কাছে ফাউন্ডেশনের কর্মীরা ছুটে গেছেন খাবারের প্যাকেট নিয়ে। এছাড়াও ৩ হাজার পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জরুরি খাবারের প্যাকেট।
সভাপতি ইমরান চৌধুরী বলেন, ঢাকা, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, নরসিংদী, নাটোর, লালমনিরহাটসহ ১৫টি জেলায় ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম চলছে। খাদ্যসামগ্রী বিতরণের পাশপাশি লকডাউনে ঘরবন্দী মানুষকে জরুরি চিকিৎসা পরামর্শ দিতে ১৯ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে চালু করা হয়েছে ‘টেলিসেবা’। সহ-সভাপতি শরিফ বলেন, ‘ঈদের আনন্দ ছড়াই, খুশি বাড়াই’- এই প্রতিপাদ্যে ঈদের দিন ১১০০ মানুষের মাঝে মুখরোচক খাবার ও পথশিশুদের মাঝে নতুন বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ বলেন, সদস্যরা নিজেদের উপার্জনের একটি নির্দিষ্ট অংশ ফাউন্ডেশনের ফান্ডে জমা রাখছেন। কাজ চলছে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে। এছাড়া দেশ বিদেশে ছড়িয়ে থাকা পরিচিত মানুষ ও বন্ধুমহলের কাছ থেকেও তহবিল সংগ্রহ করা হচ্ছে। সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আগামীতে অবহেলিত শিশুদের জন্য একটি কারিগড়ি ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠার কথাও জানান তিনি। সমাজের সব শ্রেণীপেশার তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আসুন যে যার জায়গা থেকে সুন্দর মন নিয়ে কাজ করি আমরা, গড়ে তুলি আমাদের সবার স্বপ্নের সোনার বাংলা।
আজকের ‘সময় ফাউন্ডেশন’ এর তরুণরা সমাজসেবার এরকম প্লাটফর্মের স্বপ্ন দেখেছিলেন এক যুগ আগে। ভাবনাটা প্রথমে আসে দু’জন তরুণ- বর্তমান সভাপতি ইমরান চৌধুরী এবং পরিচালক রেজওয়ান শাহনেওয়াজ সুজিতের মাথা থেকে। এ বিষয়ে সুজিত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমরা কয়েকজন ‘সময় ক্লাব’ নামে একটা সংগঠনের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় আইলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করেছি। বিভিন্ন সময় অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, রোজার মাসে ইফতার বিতরণ, ঈদে নতুন কাপড় বিতরণ, বিনামূল্যে দাঁত ও চোখের চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হত ওই ক্লাবের মাধ্যমে। কর্মজীবনে এসে উপার্জনের একটি অংশ দিয়ে সমাজসেবাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে কয়েকজনে মিলে প্রতিষ্ঠা করেছি ‘সময় ফাউন্ডেশন (www.shomoyfoundation.org)’।