দীর্ঘ ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত রোববার লেনদন শুরু হয়। ওইদিন উত্থান হলেও পরের তিন কার্যদিবসের মতো গতকালও পতনে শেষ হয়েছে লেনদেন। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব সূচক কমেছে। কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেনও। ডিএসইতে গতকাল ১৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গতকাল ডিএসইতে মাত্র ৪২ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে যা ১৩ বছর ১ মাস ১১ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০০৭ সালের ২৪ এপ্রিল গতকালকের চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল। ওই দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার। মূলত গতকাল ব্লক মার্কেটে লেনদেন কমে যাওয়ার কারণে মোট লেনদেনও এত কম হয়েছে। এর আগের চার কার্যদিবস ব্লক মার্কেটে লেনদেনের পরিমাণ বেশি হওয়ায় মোট লেনদেন শতকোটি টাকার উপরে ছিল। গতকাল প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৫৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯১৬ পয়েন্টে, ১৩২১ পয়েন্টে এবং ৭৮২ পয়েন্টে।

গতকাল ডিএসইতে ৪২ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে যা আগের দিন থেকে ১০৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৫২ কোটি ৬৩ লাখ টাকার।

ডিএসইতে গতকাল ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১১টির বা ৩ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ৩৬টির বা ১২ শতাংশের এবং ২৬২টির বা ৮৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৩৭ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ১০৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৯টির আর ৭৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে মাত্র ৪ কোটি ৫৯ লাভ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১৭টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির সাড়ে ৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। জানা গেছে, ব্লকে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর ৩৩ লাখ ৯৯ হাজার ২৭৫টি শেয়ার ২৪ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৬ কোটি ৬২ লাখ ৭৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ২ কোটি ১ লাখ ৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে রেনেটার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৩ লাখ ১৫ হাজার টাকার স্কয়ার ফার্মার এবং ৯০ লাখ ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো সিনথেটিক্সের।

এছাড়া এবি ব্যাংকের ১৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার, একটিভ ফাইনের ১০ লাখ ৯১ হাজার টাকার, আনোয়ারা গ্যালভানাইজিংয়ের ৬ লাখ ১৭ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ৫ লাখ ৪ হাজার টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ৫৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ১০ লাখ ৬৮ হাজার টাকার, আইএফআইসি ব্যাংকের ২৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ওয়াইম্যাক্সের ৪৪ লাখ ৭ হাজার টাকার, অলিম্পিকের ২৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকার, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১০ লাখ ৮১ হাজার টাকার, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকার, সিলভা ফার্মার ১০ লাখ ২০ হাজার টাকার এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ২৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।