করোনা জয়ের এক গল্প

সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন প্রযোজক-অভিনেতা শহিদ আলমগীরের স্ত্রী সুরাইয়া মিশু। তবে কোনো হাসপাতালে যাননি তিনি। বাসায় থেকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তিনি করোনামুক্ত হয়েছেন বলে জনিয়েছেন। করোনায় কেউ আক্রান্ত হলে আশপাশের মানুষ সেটা ভালোভাবে নেয় না। যে কারণে বিষয়টি এত দিন কাউকে বুঝতে দেননি শহীদ আলমগীর। সুরাইয়া মিশু বলেন, ‘আসলে আত্মবিশ্বাস থাকলে ঘরে বসেই করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আমি গত ১৫ দিন ঘরে থেকে করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিজের চিকিৎসা করেছি। আমার স্বামী ২৪ ঘণ্টা পাশে থেকে আমার সেবা করেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সে আমার সেবা করেছে, যে কারণে সে আমার এত পাশে থেকেও করোনায় আক্রান্ত হয়নি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

মিশু বলেন, ‘আমি প্রচুর গরম পানি খেয়েছি। গলায় প্রচ- ব্যথা থাকায় কিছুটা শান্তিও পেয়েছি তখন। মালটার জুস আর লেবুর শরবত খাওয়া হয়েছে অনেক বেশি। আদা, এলাচ আর দারুচিনি গরম পানিতে জ্বাল দিয়ে খেয়েছি। আর প্রতিদিন গরম পানির ভাপ নিয়েছি কয়েকবার। বারান্দায় রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকেছি ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কিছু ওষুধও খেয়েছি। শহিদ আলমগীর বলেন, ‘আমি এই ১৫ দিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার সেবা করেছি। হ্যান্ড গ্লাভস, মুখে মাস্ক রেখেছি সব সময়। যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রেখেছি মিশুর সঙ্গে। ঘর পরিষ্কার রেখেছি, প্রতিদিন স্যাভলন দিয়ে ঘর মুছেছি। মিশু বাথরুম থেকে আসার পর প্রতিবার স্যাভলন দিয়ে তা পরিষ্কার করেছি। আর প্রতিদিন রাতে আমার পরনের কাপড় ও তার কাপড় গরম পানি দিয়ে ধুয়েছি। ২০ মিনিট পরপর আমরা দুজনেই স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করেছি। আমার ১৫ মাসের ছেলেকে পাশের রুমে রেখেছিলাম। আমি ধন্যবাদ দিতে চাই ডা. মুশতাক ভাই ও রতœা ভাবিকে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী স্ত্রীকে সেবা করে সুস্থ করেছি। আমরা সুস্থ আছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। মনোবল হারাবেন না। করোনায় আক্রান্ত হলেই মৃত্যু, বিষয়টি এমন নয়।

শুক্রবার, ০৫ জুন ২০২০ , ২২ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১২ শাওয়াল ১৪৪১

করোনা জয়ের এক গল্প

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন প্রযোজক-অভিনেতা শহিদ আলমগীরের স্ত্রী সুরাইয়া মিশু। তবে কোনো হাসপাতালে যাননি তিনি। বাসায় থেকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তিনি করোনামুক্ত হয়েছেন বলে জনিয়েছেন। করোনায় কেউ আক্রান্ত হলে আশপাশের মানুষ সেটা ভালোভাবে নেয় না। যে কারণে বিষয়টি এত দিন কাউকে বুঝতে দেননি শহীদ আলমগীর। সুরাইয়া মিশু বলেন, ‘আসলে আত্মবিশ্বাস থাকলে ঘরে বসেই করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আমি গত ১৫ দিন ঘরে থেকে করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করেছি। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিজের চিকিৎসা করেছি। আমার স্বামী ২৪ ঘণ্টা পাশে থেকে আমার সেবা করেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সে আমার সেবা করেছে, যে কারণে সে আমার এত পাশে থেকেও করোনায় আক্রান্ত হয়নি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

মিশু বলেন, ‘আমি প্রচুর গরম পানি খেয়েছি। গলায় প্রচ- ব্যথা থাকায় কিছুটা শান্তিও পেয়েছি তখন। মালটার জুস আর লেবুর শরবত খাওয়া হয়েছে অনেক বেশি। আদা, এলাচ আর দারুচিনি গরম পানিতে জ্বাল দিয়ে খেয়েছি। আর প্রতিদিন গরম পানির ভাপ নিয়েছি কয়েকবার। বারান্দায় রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকেছি ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কিছু ওষুধও খেয়েছি। শহিদ আলমগীর বলেন, ‘আমি এই ১৫ দিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার সেবা করেছি। হ্যান্ড গ্লাভস, মুখে মাস্ক রেখেছি সব সময়। যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রেখেছি মিশুর সঙ্গে। ঘর পরিষ্কার রেখেছি, প্রতিদিন স্যাভলন দিয়ে ঘর মুছেছি। মিশু বাথরুম থেকে আসার পর প্রতিবার স্যাভলন দিয়ে তা পরিষ্কার করেছি। আর প্রতিদিন রাতে আমার পরনের কাপড় ও তার কাপড় গরম পানি দিয়ে ধুয়েছি। ২০ মিনিট পরপর আমরা দুজনেই স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করেছি। আমার ১৫ মাসের ছেলেকে পাশের রুমে রেখেছিলাম। আমি ধন্যবাদ দিতে চাই ডা. মুশতাক ভাই ও রতœা ভাবিকে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী স্ত্রীকে সেবা করে সুস্থ করেছি। আমরা সুস্থ আছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। মনোবল হারাবেন না। করোনায় আক্রান্ত হলেই মৃত্যু, বিষয়টি এমন নয়।