আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সরকারের সমালোচনা করাকে ‘রুটিন ওয়ার্কে’ পরিণত না করতে বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, অভিন্ন শত্রু করোনার বিরুদ্ধে দ্বিমত পোষণ না করে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। এখন ঐক্যবদ্ধ থাকাই সংকট সমাধানের সবচেয়ে বড় শক্তি। এতে লড়াইয়ের ময়দানে থাকা যোদ্ধারা মনে শক্তি পাবেন। গতকাল রাজধানীতে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম এবং সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহরিয়ার হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বিমত-বহুমত গণতান্ত্রিক সমাজের অলঙ্কার। বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জাতীয় দুর্যোগে সমালোচনা, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি না ছড়াতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহনগুলোকে পরিচালনা করার জন্য শ্রমিক ও মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদাসীনতা করোনা সংকটকে আরও ঘনীভূত করতে পারে। কিছু কিছু গণপরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারী এসব পরিবহনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে তিনি বিআরটিএ, হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশ লাইনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানান। এ সংকটকালে জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতা-কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনগণকে সচেতনতায় উদ্বুদ্ধ করতে আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অভিযোগ আছে, অনেক হাসপাতাল করোনা রোগীকে উপেক্ষা করছে। যথাযথ সেবা ও যত্ন দিচ্ছে না। এ সংকটে হাসপাতালে উপেক্ষিত হলে রোগীরা যাবে কোথায়? এসব হাসপাতালকে এ বিষয়ে আরও মানবিক হতে হবে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের উদ্দেশে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ ও সংস্কার কাজে গুণগতমান বজায় রেখে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। জনগণের অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বর্ষা শুরুর আগে চলমান সড়ক সংস্কার কাজ শেষ করার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকদের যথা সময়ে বেতন পরিশোধে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।
শুক্রবার, ০৫ জুন ২০২০ , ২২ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১২ শাওয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সরকারের সমালোচনা করাকে ‘রুটিন ওয়ার্কে’ পরিণত না করতে বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, অভিন্ন শত্রু করোনার বিরুদ্ধে দ্বিমত পোষণ না করে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। এখন ঐক্যবদ্ধ থাকাই সংকট সমাধানের সবচেয়ে বড় শক্তি। এতে লড়াইয়ের ময়দানে থাকা যোদ্ধারা মনে শক্তি পাবেন। গতকাল রাজধানীতে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম এবং সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহরিয়ার হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বিমত-বহুমত গণতান্ত্রিক সমাজের অলঙ্কার। বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জাতীয় দুর্যোগে সমালোচনা, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি না ছড়াতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহনগুলোকে পরিচালনা করার জন্য শ্রমিক ও মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাস্থ্যবিধির প্রতি উদাসীনতা করোনা সংকটকে আরও ঘনীভূত করতে পারে। কিছু কিছু গণপরিবহন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারী এসব পরিবহনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে তিনি বিআরটিএ, হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশ লাইনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানান। এ সংকটকালে জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতা-কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনগণকে সচেতনতায় উদ্বুদ্ধ করতে আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অভিযোগ আছে, অনেক হাসপাতাল করোনা রোগীকে উপেক্ষা করছে। যথাযথ সেবা ও যত্ন দিচ্ছে না। এ সংকটে হাসপাতালে উপেক্ষিত হলে রোগীরা যাবে কোথায়? এসব হাসপাতালকে এ বিষয়ে আরও মানবিক হতে হবে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীদের উদ্দেশে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ ও সংস্কার কাজে গুণগতমান বজায় রেখে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। জনগণের অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বর্ষা শুরুর আগে চলমান সড়ক সংস্কার কাজ শেষ করার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকদের যথা সময়ে বেতন পরিশোধে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।