করোনাভাইরাস সংকটের এই সময়ে মাস্ককা- ও পিপিই ক্রয়সহ নানা বিতর্কের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামকে সরিয়ে দিয়েছে সরকার।
তাকে অনেকটা ‘ডাম্পিং পোস্ট’ পরিকল্পনা বিভাগের সচিব পদে বদলি করে গতকাল আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) আবদুল মান্নান। তিনি একসময় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ছিলেন। আবদুল মান্নান বিসিএস অষ্টম প্রশাসন ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি গত ২৭ জানুয়ারি সচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান হন।
মাস্ক ক্রয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে এর আগে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালককেও বদলি করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পিপিই নীতিমালা অনুযায়ী, রোগীর নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য এন-৯৫ মাস্ক পরা জরুরি। কিন্তু গত মার্চের শেষের দিকে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে যেসব মাস্ক সরবরাহ করা হয়, তার প্যাকেটে ‘এন-৯৫’ লেখা থাকলেও ভেতরে ছিল স্বল্প দামের সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক। নিম্নমানের এসব মাস্ক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা এ বিষয়ে মাস্ক সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো চিকিৎসকদের শাস্তি দেয়ার অভিযোগ উঠে।
রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে সরবরাহ করা মাস্কের প্যাকেটে সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক থাকায় হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী ওই মাস্কের মান সম্পর্কে জানতে চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালককে চিঠি দেন।
বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের ওই সময়কার পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদ উল্লাগ গত ২ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদফতরের ব্রিফিংয়ে স্বীকার করেন, ওই মাস্ক সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক ছিল। প্যাকেটের গায়ে জন্য এন-৯৫ লেখা হয়েছিল ‘ভুল করে’।
সরকারি হাসপাতালে কিভাবে ভুল মাস্ক গেল সে বিষয়ে পরে পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে একটি ব্যাখ্যা দেন সিএমএসডি পরিচালক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অপপ্রচারগুলিতে ইচ্ছাকৃতভাবে উপরোক্ত ব্যক্তিবর্গকে জড়িয়ে মিথ্যা রাজনৈতিক এবং চরিত্রগত রটনারও অবকাশ করা হচ্ছে।’
শুক্রবার, ০৫ জুন ২০২০ , ২২ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১২ শাওয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
করোনাভাইরাস সংকটের এই সময়ে মাস্ককা- ও পিপিই ক্রয়সহ নানা বিতর্কের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামকে সরিয়ে দিয়েছে সরকার।
তাকে অনেকটা ‘ডাম্পিং পোস্ট’ পরিকল্পনা বিভাগের সচিব পদে বদলি করে গতকাল আদেশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) আবদুল মান্নান। তিনি একসময় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ছিলেন। আবদুল মান্নান বিসিএস অষ্টম প্রশাসন ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি গত ২৭ জানুয়ারি সচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান হন।
মাস্ক ক্রয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে এর আগে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালককেও বদলি করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পিপিই নীতিমালা অনুযায়ী, রোগীর নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য এন-৯৫ মাস্ক পরা জরুরি। কিন্তু গত মার্চের শেষের দিকে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে যেসব মাস্ক সরবরাহ করা হয়, তার প্যাকেটে ‘এন-৯৫’ লেখা থাকলেও ভেতরে ছিল স্বল্প দামের সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক। নিম্নমানের এসব মাস্ক নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা এ বিষয়ে মাস্ক সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো চিকিৎসকদের শাস্তি দেয়ার অভিযোগ উঠে।
রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে সরবরাহ করা মাস্কের প্যাকেটে সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক থাকায় হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী ওই মাস্কের মান সম্পর্কে জানতে চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালককে চিঠি দেন।
বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের ওই সময়কার পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহিদ উল্লাগ গত ২ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদফতরের ব্রিফিংয়ে স্বীকার করেন, ওই মাস্ক সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক ছিল। প্যাকেটের গায়ে জন্য এন-৯৫ লেখা হয়েছিল ‘ভুল করে’।
সরকারি হাসপাতালে কিভাবে ভুল মাস্ক গেল সে বিষয়ে পরে পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে একটি ব্যাখ্যা দেন সিএমএসডি পরিচালক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অপপ্রচারগুলিতে ইচ্ছাকৃতভাবে উপরোক্ত ব্যক্তিবর্গকে জড়িয়ে মিথ্যা রাজনৈতিক এবং চরিত্রগত রটনারও অবকাশ করা হচ্ছে।’