করোনায় চট্টগ্রামে ডাক্তার, আ’লীগ নেতাসহ ৬ জনের মৃত্যু

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে করোনা উপসর্গে সংক্রামিত হয়ে একের পর এক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে মানুষ। চিকিৎসক, পুলিশ, আওয়ামী লীগ নেতা, কাউন্সিলরসহ সাধারণ মানুষের মৃত্যুর মিছিল দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে।

করোনা উপসর্গ নিয়ে গতকাল ভোরে ও সকালে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দুই আওয়ামী লীগ নেতা। এই দুই আওয়ামী লীগ নেতা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম এবং মোহরা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. রফিকুল আলম।

গতকাল ভোর ৫টায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুরুল আলম এবং সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রফিকুল আলম। দুই জনই করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে তাদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আলম ও রফিকুল আলম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তারা করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এদিকে দুই নেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

অন্যদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত আরেকজন চিকিৎসকসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত দু’জন চিকিৎসকের মৃত্যু হলো। এছাড়া করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও একজন চিকিৎসক।

গতকাল সকালে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত চিকিৎসক চমেক হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ছিলেন।

চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত ২৬ মে চিকিৎসকের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ওইদিনই তিনি হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি হন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত বুধবার তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। গতকাল সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমাদের আরেক সহকর্মী আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। ঈদের পরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। বৃস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামে মেরিন সিটি মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এহসানুল করিম করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে তাদের মৃত্যু হয়। এরা হলেন- নগরীর পাঁচলাইক এলাকার হাফসা বেগম (৫০) ও নগরীর জামালখান এলাকার সেলিনা আফরোজ (৫৬)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রব জানান, আমাদের হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ২ জন করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার হাফসা বেগম (৫০)। তিনি গত মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। করোনাভাইরাসর (কোভিড-১৯)-এর পাশাপাশি রক্ত চাপ ও ডায়াবেটিস রোগে ভোগছিলেন তিনি। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। গতকাল ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

অন্যজন নগরীর জামালখান এলাকার সেলিনা আফরোজ (৫৬)। তিনি গত ২৯ মে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগেও ভোগছিলেন তিনি। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। গতকাল সকাল ৭টার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে অবশেষে বাসায় মারা গেলেন টেরী বাজারের এক ব্যবসায়ী। গতকাল রাত ১টায় নগরীর ঘাটফরহাদবেগস্থ বাসায় মারা যান। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) উপসর্গ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা।

মারা যাওয়া ওই ব্যবসায়ী হলেন আলহাজ আবদুল মান্নান। তিনি ফ্যাশন হাউজ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও টেরী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা ছিলেন।

মৃত আবদুল মান্নানের ছোট ভাই আবদুল হান্নান জানান, গত বুধবার নগরীর ডেল্টা হাসপাতাল ও পার্কভিউ হাসপাতালসহ একাধিক হাসপাতালে গিয়ে আমার ভাইকে ভর্তি করাতে পারিনি। আমার ভাইয়ের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর উপসর্গ শ্বাসকষ্ট ও সর্দি কাশিতে ভোগছিলেন। যে হাসপাতালে যাই প্রথমে বলেছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষায় করিয়ে নিয়ে আসেন। সারাদিন চেষ্টা করেও হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারেনি আমার ভাইকে। আমরা পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সকালে ঢাকায় নিয়ে যাব। কিন্তু রাত ১টার দিকে আমার ভাই মারা যান।

এদিকে সমিতির উপদেষ্টা আলহাজ আবদুল মান্নানকে চট্টগ্রামের কোন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি অভিযোগ করে টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আবদুল মান্নান জানান, এইভাবে বিনা চিকিৎসায় প্রতিদিন চট্টগ্রামে মানুষ মারা যাচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বিচার দিলাম। প্রধানমন্ত্রী বিচার করবেন।

আরও খবর
মানুষকে সুরক্ষা দিতে সরকার প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
সমালোচনার পরিবর্তে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান কাদেরের
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব
উন্নত বিশ্বকে দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণের আহ্বান বাংলাদেশের
করোনা রোগী ভর্তির উদ্যোগ
করোনা উপশমে ম্যালেরিয়ার ওষুধ ব্যবহার করা যাবে ডব্লিউএইচও
আইসোলেশনে মৃত্যুর ঘটনায় মামলা
কাউন্সিলর নির্যাতনের প্রতিবাদে মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ
গোপালগঞ্জে আরও ২ মানবপাচারকারী গ্রেফতার
তরুণী ধর্ষণ মামলায় ২ জন গ্রেফতার
নদী ভাঙনে আশ্রয়কেন্দ্র হুমকির মুখে
এএসপির বিরুদ্ধে ভ্রুণ হত্যা ও নারী নির্যাতন মামলা স্ত্রীর

শুক্রবার, ০৫ জুন ২০২০ , ২২ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১২ শাওয়াল ১৪৪১

করোনায় চট্টগ্রামে ডাক্তার, আ’লীগ নেতাসহ ৬ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রাম ব্যুরো

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে করোনা উপসর্গে সংক্রামিত হয়ে একের পর এক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে মানুষ। চিকিৎসক, পুলিশ, আওয়ামী লীগ নেতা, কাউন্সিলরসহ সাধারণ মানুষের মৃত্যুর মিছিল দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে।

করোনা উপসর্গ নিয়ে গতকাল ভোরে ও সকালে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দুই আওয়ামী লীগ নেতা। এই দুই আওয়ামী লীগ নেতা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম এবং মোহরা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. রফিকুল আলম।

গতকাল ভোর ৫টায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুরুল আলম এবং সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রফিকুল আলম। দুই জনই করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে তাদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আলম ও রফিকুল আলম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তারা করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এদিকে দুই নেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

অন্যদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত আরেকজন চিকিৎসকসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত দু’জন চিকিৎসকের মৃত্যু হলো। এছাড়া করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও একজন চিকিৎসক।

গতকাল সকালে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত চিকিৎসক চমেক হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ছিলেন।

চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত ২৬ মে চিকিৎসকের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ওইদিনই তিনি হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি হন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত বুধবার তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। গতকাল সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমাদের আরেক সহকর্মী আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। ঈদের পরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। বৃস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামে মেরিন সিটি মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এহসানুল করিম করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে তাদের মৃত্যু হয়। এরা হলেন- নগরীর পাঁচলাইক এলাকার হাফসা বেগম (৫০) ও নগরীর জামালখান এলাকার সেলিনা আফরোজ (৫৬)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবদুর রব জানান, আমাদের হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ২ জন করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার হাফসা বেগম (৫০)। তিনি গত মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। করোনাভাইরাসর (কোভিড-১৯)-এর পাশাপাশি রক্ত চাপ ও ডায়াবেটিস রোগে ভোগছিলেন তিনি। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। গতকাল ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

অন্যজন নগরীর জামালখান এলাকার সেলিনা আফরোজ (৫৬)। তিনি গত ২৯ মে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগেও ভোগছিলেন তিনি। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। গতকাল সকাল ৭টার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে অবশেষে বাসায় মারা গেলেন টেরী বাজারের এক ব্যবসায়ী। গতকাল রাত ১টায় নগরীর ঘাটফরহাদবেগস্থ বাসায় মারা যান। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) উপসর্গ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা।

মারা যাওয়া ওই ব্যবসায়ী হলেন আলহাজ আবদুল মান্নান। তিনি ফ্যাশন হাউজ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও টেরী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা ছিলেন।

মৃত আবদুল মান্নানের ছোট ভাই আবদুল হান্নান জানান, গত বুধবার নগরীর ডেল্টা হাসপাতাল ও পার্কভিউ হাসপাতালসহ একাধিক হাসপাতালে গিয়ে আমার ভাইকে ভর্তি করাতে পারিনি। আমার ভাইয়ের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর উপসর্গ শ্বাসকষ্ট ও সর্দি কাশিতে ভোগছিলেন। যে হাসপাতালে যাই প্রথমে বলেছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষায় করিয়ে নিয়ে আসেন। সারাদিন চেষ্টা করেও হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারেনি আমার ভাইকে। আমরা পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সকালে ঢাকায় নিয়ে যাব। কিন্তু রাত ১টার দিকে আমার ভাই মারা যান।

এদিকে সমিতির উপদেষ্টা আলহাজ আবদুল মান্নানকে চট্টগ্রামের কোন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি অভিযোগ করে টেরীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আবদুল মান্নান জানান, এইভাবে বিনা চিকিৎসায় প্রতিদিন চট্টগ্রামে মানুষ মারা যাচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বিচার দিলাম। প্রধানমন্ত্রী বিচার করবেন।