করোনা রোগী ভর্তির উদ্যোগ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্বব্দ্যিালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনা রোগী ভর্তি করা হবে। এ লক্ষ্যে ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চলতি মাসে ভার্সিটির কেবিন ব্লকে এ রোগী ভর্তি করার সব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভিসি প্রফেসর ডা. কনককান্তি বড়ুয়া গতকাল রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও এক হাজার নন কোভিড রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকেই বহিঃবিভাগে রোগীরা চিকিৎসা করতে যায়। একই গেট দিয়ে করোনা রোগী কেবিন ব্লকে বহন করে নিলে অন্য রোগীদের ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।

ভার্সিটি সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতার ভবনে দেশের একমাত্র ফিভার ক্লিনিক হিসেবে দেশজুড়ে সুনাম অর্জন করেছে। সেখানে প্রতিদিন শত শত রোগী সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসা নিচ্ছে। এরপর রোগীর চাপ সামলানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। অবশেষে অনলাইনের মাধ্যমে নাম ঠিকানা মোবাইল নম্বর দিয়ে (এপয়েন্টমেন্ট) তালিকাভূক্ত করে রোগী দেখা শুরু করে। সেখানেও গতকাল পর্যন্ত বহু রোগীর চিকিৎসা ও টেস্ট করেছেন। এখন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে করোনা রোগীর ভর্তির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভার্সিটির কেবিন ব্লকে প্রায় ২শ’ সিটে রোগীর চিকিৎসা ও আইসিইউর ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য কাজ করছেন। বিশেষজ্ঞ টিম করোনা রোগীর ভর্তি ও চিকিৎসা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। শীঘ্রই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

অনেক বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেন, ভার্সিাটতে কোভিড ও নন কোভিড রোগী এক সঙ্গে চিকিৎসা করলে অসংক্রামণ রোগে আক্রান্ত রোগীরা ভয় পাবে। সেখানে বহু রোগী চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য যায়। দিনে প্রায় এক হাজার রোগীর চিকিৎসা করানো হয়। অনেকেই অপারেশন করার জন্য ভর্তি হয়। নতুন করে করোনা রোগী ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করলে সমস্যাও হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে রোগী ভর্তি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তার, নার্স কর্মকর্তা, কর্মচারী এমনকি ভার্সিটির ভিসি, প্রো-ভিসির কারও আবাসনের কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা রাজধানীসহ আশপাশ এলাকায় বসবাস করছেন। তারা ইচ্ছা করলে দ্রুত কর্মস্থলে যাওয়া কষ্টটকর হয়ে পড়েছে। এরপর যানবাহনের ব্যবস্থাও অপ্রতুল। অথচ তাদেরকে পালাক্রমে বেতার ভবনে ডিউটি করতে হচ্ছে। এ নিয়ে অনেকেই টেনশনে আছেন। ইতোমধ্যে বেতাল ভবনে দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্নভাবে ২০ জনের বেশি ডাক্তার, কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকেই চাকরি বাঁচাতে ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডিউটি করতে যান। তাদের কোয়ারেন্টিনেরও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই।

আরও খবর
মানুষকে সুরক্ষা দিতে সরকার প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
সমালোচনার পরিবর্তে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান কাদেরের
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব
করোনায় চট্টগ্রামে ডাক্তার, আ’লীগ নেতাসহ ৬ জনের মৃত্যু
উন্নত বিশ্বকে দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণের আহ্বান বাংলাদেশের
করোনা উপশমে ম্যালেরিয়ার ওষুধ ব্যবহার করা যাবে ডব্লিউএইচও
আইসোলেশনে মৃত্যুর ঘটনায় মামলা
কাউন্সিলর নির্যাতনের প্রতিবাদে মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ
গোপালগঞ্জে আরও ২ মানবপাচারকারী গ্রেফতার
তরুণী ধর্ষণ মামলায় ২ জন গ্রেফতার
নদী ভাঙনে আশ্রয়কেন্দ্র হুমকির মুখে
এএসপির বিরুদ্ধে ভ্রুণ হত্যা ও নারী নির্যাতন মামলা স্ত্রীর

শুক্রবার, ০৫ জুন ২০২০ , ২২ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১২ শাওয়াল ১৪৪১

বিএসএমএমইউতে

করোনা রোগী ভর্তির উদ্যোগ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্বব্দ্যিালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনা রোগী ভর্তি করা হবে। এ লক্ষ্যে ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চলতি মাসে ভার্সিটির কেবিন ব্লকে এ রোগী ভর্তি করার সব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভিসি প্রফেসর ডা. কনককান্তি বড়ুয়া গতকাল রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও এক হাজার নন কোভিড রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকেই বহিঃবিভাগে রোগীরা চিকিৎসা করতে যায়। একই গেট দিয়ে করোনা রোগী কেবিন ব্লকে বহন করে নিলে অন্য রোগীদের ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।

ভার্সিটি সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতার ভবনে দেশের একমাত্র ফিভার ক্লিনিক হিসেবে দেশজুড়ে সুনাম অর্জন করেছে। সেখানে প্রতিদিন শত শত রোগী সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসা নিচ্ছে। এরপর রোগীর চাপ সামলানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। অবশেষে অনলাইনের মাধ্যমে নাম ঠিকানা মোবাইল নম্বর দিয়ে (এপয়েন্টমেন্ট) তালিকাভূক্ত করে রোগী দেখা শুরু করে। সেখানেও গতকাল পর্যন্ত বহু রোগীর চিকিৎসা ও টেস্ট করেছেন। এখন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে করোনা রোগীর ভর্তির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভার্সিটির কেবিন ব্লকে প্রায় ২শ’ সিটে রোগীর চিকিৎসা ও আইসিইউর ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য কাজ করছেন। বিশেষজ্ঞ টিম করোনা রোগীর ভর্তি ও চিকিৎসা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। শীঘ্রই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

অনেক বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেন, ভার্সিাটতে কোভিড ও নন কোভিড রোগী এক সঙ্গে চিকিৎসা করলে অসংক্রামণ রোগে আক্রান্ত রোগীরা ভয় পাবে। সেখানে বহু রোগী চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য যায়। দিনে প্রায় এক হাজার রোগীর চিকিৎসা করানো হয়। অনেকেই অপারেশন করার জন্য ভর্তি হয়। নতুন করে করোনা রোগী ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করলে সমস্যাও হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে রোগী ভর্তি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তার, নার্স কর্মকর্তা, কর্মচারী এমনকি ভার্সিটির ভিসি, প্রো-ভিসির কারও আবাসনের কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা রাজধানীসহ আশপাশ এলাকায় বসবাস করছেন। তারা ইচ্ছা করলে দ্রুত কর্মস্থলে যাওয়া কষ্টটকর হয়ে পড়েছে। এরপর যানবাহনের ব্যবস্থাও অপ্রতুল। অথচ তাদেরকে পালাক্রমে বেতার ভবনে ডিউটি করতে হচ্ছে। এ নিয়ে অনেকেই টেনশনে আছেন। ইতোমধ্যে বেতাল ভবনে দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্নভাবে ২০ জনের বেশি ডাক্তার, কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকেই চাকরি বাঁচাতে ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডিউটি করতে যান। তাদের কোয়ারেন্টিনেরও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই।