করোনাভাইরাসে, রোগ উপশমে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরো-কুইনের পরীক্ষামূলক ব্যবহার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। প্রথমে না করলেও এখন ওষুধটি ব্যবহার করার কথা বলছে সংস্থাটি। ডব্লিএইচও’র মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় হাইড্র-ক্সিক্লোরোকুইনের পরীক্ষা মূলক ব্যবহারে বাধা নেই।
করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীর চিকিৎসায় কোনো ওষুধ না থাকার কারণে বিদ্যমান নানা ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা, যার ফলে বিভিন্ন দেশে পরীক্ষা-মূলক প্রয়োগ শুরু হয় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের। কিন্তু গত ২৫ মে ডবিউএইচও এই ট্যাবলেটটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার বন্ধ রাখতে বলেছিল। এই ওষুধ সেবনে অনেকের হৃদস্পন্দনে গুরুতর অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফডিএ-ও সতর্কবার্তা দিয়েছিল। তবে এই সতর্কবার্তাগুলো এসেছিল খ্যাতনামা দুই মেডিকেল জার্নাল ল্যানচেট ও নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে। ওই প্রতিবেদন যে সংস্থার ডেটার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল, সেই সার্জিস্পেয়ারকে নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক।
দৈনিক গার্ডিয়ান বলেছে, ডব্লিএইচওর গবেষক দল যাচাই করে দেখেছে যে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সেবনে কোভিড-১৯ রোগীদের ঝুঁকিতে পড়ার কোন প্রমাণ নেই। যুক্তরাষ্টের সংস্থার এই ডাটার কোন নির্ভরযোগ্যতাই নেই। আর সংস্থাটির কর্মকা-ও প্রশ্নবিদ্ধ।
গেব্রিয়েসুস বলেছিলেন, কোভিড-১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের প্রয়োগ কতটা নিরাপদ, তার পর্যালোচনা চলছে, তার আগ পর্যন্ত বিশ্ব সংস্থার নির্বাহীরা এই ওষুধটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় বিশ্বে অনুমোদিত অন্য যেসব ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে, তা চলবে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কর্মসূচির প্রধান ডা. মাইক রায়ান বলেছিলেন, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার স্থগিত রাখার এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংক্রমণের গতি কমে যাওয়ায় যেসব দেশ বিধি-নিষেধ শিথিল করেছে, সেখানে পুনরায় করোনাভাইরাসের বিস্তারের ঝুঁকি রয়েছে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে তিনি নিয়মিতই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সেবন করছেন।
শুক্রবার, ০৫ জুন ২০২০ , ২২ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১২ শাওয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
করোনাভাইরাসে, রোগ উপশমে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরো-কুইনের পরীক্ষামূলক ব্যবহার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। প্রথমে না করলেও এখন ওষুধটি ব্যবহার করার কথা বলছে সংস্থাটি। ডব্লিএইচও’র মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় হাইড্র-ক্সিক্লোরোকুইনের পরীক্ষা মূলক ব্যবহারে বাধা নেই।
করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীর চিকিৎসায় কোনো ওষুধ না থাকার কারণে বিদ্যমান নানা ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা, যার ফলে বিভিন্ন দেশে পরীক্ষা-মূলক প্রয়োগ শুরু হয় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের। কিন্তু গত ২৫ মে ডবিউএইচও এই ট্যাবলেটটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার বন্ধ রাখতে বলেছিল। এই ওষুধ সেবনে অনেকের হৃদস্পন্দনে গুরুতর অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফডিএ-ও সতর্কবার্তা দিয়েছিল। তবে এই সতর্কবার্তাগুলো এসেছিল খ্যাতনামা দুই মেডিকেল জার্নাল ল্যানচেট ও নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে। ওই প্রতিবেদন যে সংস্থার ডেটার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল, সেই সার্জিস্পেয়ারকে নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক।
দৈনিক গার্ডিয়ান বলেছে, ডব্লিএইচওর গবেষক দল যাচাই করে দেখেছে যে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সেবনে কোভিড-১৯ রোগীদের ঝুঁকিতে পড়ার কোন প্রমাণ নেই। যুক্তরাষ্টের সংস্থার এই ডাটার কোন নির্ভরযোগ্যতাই নেই। আর সংস্থাটির কর্মকা-ও প্রশ্নবিদ্ধ।
গেব্রিয়েসুস বলেছিলেন, কোভিড-১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের প্রয়োগ কতটা নিরাপদ, তার পর্যালোচনা চলছে, তার আগ পর্যন্ত বিশ্ব সংস্থার নির্বাহীরা এই ওষুধটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় বিশ্বে অনুমোদিত অন্য যেসব ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে, তা চলবে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কর্মসূচির প্রধান ডা. মাইক রায়ান বলেছিলেন, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার স্থগিত রাখার এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংক্রমণের গতি কমে যাওয়ায় যেসব দেশ বিধি-নিষেধ শিথিল করেছে, সেখানে পুনরায় করোনাভাইরাসের বিস্তারের ঝুঁকি রয়েছে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে তিনি নিয়মিতই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সেবন করছেন।