রংপুর সিটি করপোরেশনের ১২নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল আলম রতনকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে সিটি করপোরেশনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেছে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।
এ ঘটনার জন্য সিটি মেয়র মোস্তাফার ভাই আনিস ও তার লোকজনদের দায়ি করেছে তারা। কাউন্সিলররা রোববার পর্যন্ত আলটিমেটাম ঘোষণা করে বলেছে এই সময়ের মধ্যে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
এর আগে রংপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা করপোরেশনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মাহবুবার রহমান টিটু, ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুবার রহমান মজ্ঞু, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায়, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিবলু, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ফেরদৌসি বেগম। সমাবেশে কাউন্সিলররা অভিযোগ করেন মোস্তাফিজার রহমান মেয়র নির্বাচিত হবার পর করপোরেশনকে পারিববারিক ও দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। করপোশেনের উন্নয়ন কাজের বেশির ভাগ ঠিকাদারি তার ভাই আনিস ও তার দলীয় ক্যাডাররা নিয়ন্ত্রণ করে। তারা কাউকেই টেন্ডার ড্রপ করতে দেয়না। এছাড়াও সার্বক্ষণিক বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মেয়রের আশপাশে ও তার ভাই আনিসের বর্ডিগার্ড হিসেবে অবস্থান করে। গতকাল করপোরেশনের ১৫টি গ্রুপের টেন্ডার দাখিলের তারিখ ছিল এরমধ্যে এক নম্বর গ্রুপটি মেয়রের ভাই আনিস তার ক্যাডার বাহিনী কন্ট্রোল করছিল কাউকেই ওই গ্রুপ টেন্ডার দাখিল করতে না দেয়ায় ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সির্ল রবিউল আবেদীন রতন প্রতিবাদ করলে মেয়রের ভাই আনিসের ক্যাডাররা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এরপর তারা কাউন্সিলরদের সম্পর্কে অশালীন ও আপত্তিকর গালাগাল দেয়।
কাউন্সিলররা অভিযোগ করেন মেয়র নিজেও যেমন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তেমনি কাউন্সিলররাও জনগণের ভোটে নির্বাচিত। এভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের লাঞ্ছিত করা হলে তা সহ্য করা হবে না। এ ঘটনায় দায়ীদের রোববারের মধ্যে মেয়র ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করার ঘোষণা দেয়া হয়। সার্বিক বিষয়ে কথা বলার জন্য সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমানের সঙ্গে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সঙ্গে তার ভাই আনিসের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেছেন তার নাম জড়িয়ে আমাকে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আসলে কিছু কাউন্সিলর আনডিউ অ্যাডভানটেজ চেয়ে না পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার, ০৫ জুন ২০২০ , ২২ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১২ শাওয়াল ১৪৪১
জেলা বার্তা পরিবেশক, রংপুর
রংপুর সিটি করপোরেশনের ১২নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবিউল আলম রতনকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে সিটি করপোরেশনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেছে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।
এ ঘটনার জন্য সিটি মেয়র মোস্তাফার ভাই আনিস ও তার লোকজনদের দায়ি করেছে তারা। কাউন্সিলররা রোববার পর্যন্ত আলটিমেটাম ঘোষণা করে বলেছে এই সময়ের মধ্যে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
এর আগে রংপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা করপোরেশনের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মাহবুবার রহমান টিটু, ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুবার রহমান মজ্ঞু, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায়, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিবলু, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ফেরদৌসি বেগম। সমাবেশে কাউন্সিলররা অভিযোগ করেন মোস্তাফিজার রহমান মেয়র নির্বাচিত হবার পর করপোরেশনকে পারিববারিক ও দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। করপোশেনের উন্নয়ন কাজের বেশির ভাগ ঠিকাদারি তার ভাই আনিস ও তার দলীয় ক্যাডাররা নিয়ন্ত্রণ করে। তারা কাউকেই টেন্ডার ড্রপ করতে দেয়না। এছাড়াও সার্বক্ষণিক বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মেয়রের আশপাশে ও তার ভাই আনিসের বর্ডিগার্ড হিসেবে অবস্থান করে। গতকাল করপোরেশনের ১৫টি গ্রুপের টেন্ডার দাখিলের তারিখ ছিল এরমধ্যে এক নম্বর গ্রুপটি মেয়রের ভাই আনিস তার ক্যাডার বাহিনী কন্ট্রোল করছিল কাউকেই ওই গ্রুপ টেন্ডার দাখিল করতে না দেয়ায় ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সির্ল রবিউল আবেদীন রতন প্রতিবাদ করলে মেয়রের ভাই আনিসের ক্যাডাররা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এরপর তারা কাউন্সিলরদের সম্পর্কে অশালীন ও আপত্তিকর গালাগাল দেয়।
কাউন্সিলররা অভিযোগ করেন মেয়র নিজেও যেমন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তেমনি কাউন্সিলররাও জনগণের ভোটে নির্বাচিত। এভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের লাঞ্ছিত করা হলে তা সহ্য করা হবে না। এ ঘটনায় দায়ীদের রোববারের মধ্যে মেয়র ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করার ঘোষণা দেয়া হয়। সার্বিক বিষয়ে কথা বলার জন্য সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমানের সঙ্গে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সঙ্গে তার ভাই আনিসের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেছেন তার নাম জড়িয়ে আমাকে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আসলে কিছু কাউন্সিলর আনডিউ অ্যাডভানটেজ চেয়ে না পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।