রাজধানীর খিলক্ষেত থানার বনরূপা আবাসিক এলাকার এক তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. তুহিন (২৪) ও মো. সজিব শেখ (২২)। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ৩টি মুঠো ফোন উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড হেফাজতে আনা হয়। পরে তারা ঘটনার দ্বায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দেয়।
খিলক্ষেত থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন জানান, গত ২৮ মে বিকেলের দিকে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীসহ আরও কয়েকজন খিলক্ষেত থানার বনরূপা আবাসিক এলাকায় ঘুরতে যান। তারা সেখানে ছনক্ষেতে বসে গল্প করছিলেন। এক পর্যায়ে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী তাদের মিথ্যা কথা বলে পাশের একটি বাউন্ডারি করা নির্জন প্লটে নিয়ে যায় এবং তাদের কাছে থাকা ৩টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর দুষ্কৃতকারীদের একজন ভুক্তভোগী ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন ঘটনার পর দুর্বৃত্তরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরের দিন ভুক্তভোগী তরুণীর ভাই খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর পুলিশ বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার করতে অভিযান পরিচালনা শুরু করে।
খিলক্ষেত থানার ওসি আরও জানান, অভিযানকালে খিলক্ষেত থানার বটতলা ফকির বাড়ি এলাকা থেকে প্রথমে মো. তুহিনকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপর অভিযুক্ত মো. সজিব শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম গঠন করা হয়। পরে রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করার পর আদালতে হাজির করে রিমান্ড হেফাজতে আনা হয়। গতকাল তাদের রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে তারা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ জানায়, আসামিরা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তারা চুরি ছিনতাইসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত।
শুক্রবার, ০৫ জুন ২০২০ , ২২ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১২ শাওয়াল ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
রাজধানীর খিলক্ষেত থানার বনরূপা আবাসিক এলাকার এক তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. তুহিন (২৪) ও মো. সজিব শেখ (২২)। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে ৩টি মুঠো ফোন উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড হেফাজতে আনা হয়। পরে তারা ঘটনার দ্বায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দেয়।
খিলক্ষেত থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন জানান, গত ২৮ মে বিকেলের দিকে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীসহ আরও কয়েকজন খিলক্ষেত থানার বনরূপা আবাসিক এলাকায় ঘুরতে যান। তারা সেখানে ছনক্ষেতে বসে গল্প করছিলেন। এক পর্যায়ে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী তাদের মিথ্যা কথা বলে পাশের একটি বাউন্ডারি করা নির্জন প্লটে নিয়ে যায় এবং তাদের কাছে থাকা ৩টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর দুষ্কৃতকারীদের একজন ভুক্তভোগী ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন ঘটনার পর দুর্বৃত্তরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরের দিন ভুক্তভোগী তরুণীর ভাই খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর পুলিশ বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার করতে অভিযান পরিচালনা শুরু করে।
খিলক্ষেত থানার ওসি আরও জানান, অভিযানকালে খিলক্ষেত থানার বটতলা ফকির বাড়ি এলাকা থেকে প্রথমে মো. তুহিনকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে, নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপর অভিযুক্ত মো. সজিব শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম গঠন করা হয়। পরে রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করার পর আদালতে হাজির করে রিমান্ড হেফাজতে আনা হয়। গতকাল তাদের রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতে তারা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ জানায়, আসামিরা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তারা চুরি ছিনতাইসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত।