কুড়িগ্রামে

নদী ভাঙনে আশ্রয়কেন্দ্র হুমকির মুখে

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত আশ্রয়কেন্দ্র ব্রহ্মপূত্র নদের ভাঙনের মুখে পড়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মাণকৃত ৩০টি ব্যারাকের মধ্যে ৪টি ব্যারাক গতবছর নদীগর্ভে চলে যায়। চলতি বছর ভাঙন আরও তীব্রতর হলে স্থানীয় প্রশাসন আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজনের সহযোগিতায় ৩টি ব্যারাক খুলে সড়িয়ে নেয়। বর্তমানে সেখানে ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতা চেয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আতঙ্কিত আশ্রয়কেন্দ্র অধিবাসীদের দাবি দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার।

চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হানিফা রঞ্জু জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ খাউরিয়া প্রকল্প-২ এর অধিনে দেড়শ পরিবারের আশ্রয়ের জন্য ৩০টি ব্যারাক নির্মাণ করে দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয় প্রকল্পের মাধ্যমে। এজন্য ৫১৯ মে টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয় মাটি ভরাটের জন্য। পরে কোটি টাকা ব্যয়ে সেখানে ৩০টি ব্যারাক নির্মাণ করে দেয় সেনাবাহিনী। ২০১৯ অর্থবছরে সেনাবাহিনী হস্তান্তর করে দেয়ার পর সেখানে ১৫০টি পরিবার আশ্রয় নেয়। হস্তান্তরের একমাস পরেই প্রথমে ৪টি ব্যারাক ব্রহ্মপূত্রের ভাঙনে বিলিন হয়ে যায়। চলতি বছরের মে মাসে ভাঙনের মুখে সড়িয়ে ফেলা হয় আরও ৩টি ব্যারাক। চিলমারী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৩টি ব্যারাকসহ ৭টি ব্যারাক বিনষ্ট হওয়ার কথা থাকলেও এই চেয়ারম্যান জানালেন বর্তমানে এখানে ২১টি ব্যারাক রয়েছে। যাতে ১০৫টি পরিবার বসবাস করে।

এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এডব্লিউএম রায়হান শাহ্ জানান, আশ্রয়কেন্দ্রটি গত বছর থেকে ভাঙনের মুখে রয়েছে। ভাঙন রোধে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছ থেকে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, আমি ভাঙন কবলিত আশ্রয়কেন্দ্রটি দেখেছি। আপাতত ভাঙন ঠেকাতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে আজ (গতকাল) কর্মকর্তাসহ কিছু জিও ব্যাগ পাঠাচ্ছি। তবে বড় ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া এটি রক্ষা করা দূরুহ ব্যাপার। এজন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কাছে উপস্থাপন করতে হবে।

image

কুড়িগ্রাম : চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ পরিবেষ্টিত নয়ারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ খাউরিয়া আশ্রয়কেন্দ্র এখন ভাঙনের মুখে -সংবাদ

আরও খবর
মানুষকে সুরক্ষা দিতে সরকার প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
সমালোচনার পরিবর্তে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান কাদেরের
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব
করোনায় চট্টগ্রামে ডাক্তার, আ’লীগ নেতাসহ ৬ জনের মৃত্যু
উন্নত বিশ্বকে দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণের আহ্বান বাংলাদেশের
করোনা রোগী ভর্তির উদ্যোগ
করোনা উপশমে ম্যালেরিয়ার ওষুধ ব্যবহার করা যাবে ডব্লিউএইচও
আইসোলেশনে মৃত্যুর ঘটনায় মামলা
কাউন্সিলর নির্যাতনের প্রতিবাদে মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ
গোপালগঞ্জে আরও ২ মানবপাচারকারী গ্রেফতার
তরুণী ধর্ষণ মামলায় ২ জন গ্রেফতার
এএসপির বিরুদ্ধে ভ্রুণ হত্যা ও নারী নির্যাতন মামলা স্ত্রীর

শুক্রবার, ০৫ জুন ২০২০ , ২২ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১২ শাওয়াল ১৪৪১

কুড়িগ্রামে

নদী ভাঙনে আশ্রয়কেন্দ্র হুমকির মুখে

প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম

image

কুড়িগ্রাম : চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ পরিবেষ্টিত নয়ারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ খাউরিয়া আশ্রয়কেন্দ্র এখন ভাঙনের মুখে -সংবাদ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত আশ্রয়কেন্দ্র ব্রহ্মপূত্র নদের ভাঙনের মুখে পড়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মাণকৃত ৩০টি ব্যারাকের মধ্যে ৪টি ব্যারাক গতবছর নদীগর্ভে চলে যায়। চলতি বছর ভাঙন আরও তীব্রতর হলে স্থানীয় প্রশাসন আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজনের সহযোগিতায় ৩টি ব্যারাক খুলে সড়িয়ে নেয়। বর্তমানে সেখানে ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতা চেয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আতঙ্কিত আশ্রয়কেন্দ্র অধিবাসীদের দাবি দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার।

চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হানিফা রঞ্জু জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ খাউরিয়া প্রকল্প-২ এর অধিনে দেড়শ পরিবারের আশ্রয়ের জন্য ৩০টি ব্যারাক নির্মাণ করে দেয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয় প্রকল্পের মাধ্যমে। এজন্য ৫১৯ মে টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয় মাটি ভরাটের জন্য। পরে কোটি টাকা ব্যয়ে সেখানে ৩০টি ব্যারাক নির্মাণ করে দেয় সেনাবাহিনী। ২০১৯ অর্থবছরে সেনাবাহিনী হস্তান্তর করে দেয়ার পর সেখানে ১৫০টি পরিবার আশ্রয় নেয়। হস্তান্তরের একমাস পরেই প্রথমে ৪টি ব্যারাক ব্রহ্মপূত্রের ভাঙনে বিলিন হয়ে যায়। চলতি বছরের মে মাসে ভাঙনের মুখে সড়িয়ে ফেলা হয় আরও ৩টি ব্যারাক। চিলমারী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৩টি ব্যারাকসহ ৭টি ব্যারাক বিনষ্ট হওয়ার কথা থাকলেও এই চেয়ারম্যান জানালেন বর্তমানে এখানে ২১টি ব্যারাক রয়েছে। যাতে ১০৫টি পরিবার বসবাস করে।

এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এডব্লিউএম রায়হান শাহ্ জানান, আশ্রয়কেন্দ্রটি গত বছর থেকে ভাঙনের মুখে রয়েছে। ভাঙন রোধে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছ থেকে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, আমি ভাঙন কবলিত আশ্রয়কেন্দ্রটি দেখেছি। আপাতত ভাঙন ঠেকাতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে আজ (গতকাল) কর্মকর্তাসহ কিছু জিও ব্যাগ পাঠাচ্ছি। তবে বড় ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া এটি রক্ষা করা দূরুহ ব্যাপার। এজন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কাছে উপস্থাপন করতে হবে।