এএসপির বিরুদ্ধে ভ্রুণ হত্যা ও নারী নির্যাতন মামলা স্ত্রীর

পুলিশের এক সহকারী পুলিশ সুপারের (এএসপি) বিরুদ্ধে ভ্রূণ হত্যা, নারী নির্যাতন, যৌতুকের অভিযোগ তুলে রমান থানায় মামলা করেছেন স্ত্রী। গত বছরের জুলাইয়ের ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে গতকাল রমনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও শ্বশুর শাশুড়িকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান জানান, এএসপি নাসমুস সাকিবের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী আইনজীবীর মাধ্যমে একটি অভিযোগ করেছে। অভিযোগটি এহাজার হিসেবে গ্রহণ করার পক্রিয়া চলছে। মামলা তদন্ত করা হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এএসপি নাজমুস সাকিব র‌্যাব সদর দফতরে কর্মরত।

রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পর বাদী থানায় এসে মামলা করেছেন। অভিযোগে বাদী তার স্বামী নাজমুস সাকিব, শ্বশুর সফিউল্লাাহ তালুকদার (৬০), শাশুড়ি খালেদা সুলতানাকে (৫২) অভিযুক্ত করেছেন। মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হবে।

অভিযোগে বলা হয়, নাজমুস সাকিবের (৩৪) সঙ্গে ইশরাত রহমানের ২০১৭ সালে মার্চে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর মো. সফিউল্লাহ তালুকদার (৬০), শাশুড়ি খালেদা সুলতানা (৫২) তাদের যৌতুকলোভী এবং অত্যাচারী মনোভাব প্রকাশ করতে থাকেন। আসামিরা বিভিন্ন সময় ইশরাতকে তার বাবার কাছ থেকে নগদ টাকা এনে দিতে চাপ দিতে থাকেন। টাকা না দিলে সব আসামি মিলে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। নির্যাতনের ভয়ে তিনি তার বাবার কাছ থেকে প্রায়ই নগদ টাকা এনে আসামিদের দিতেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, ১২ লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় আসামিরা ইশরাতের ওপর নির্যাতন চালাতে থাকেন। ওই সময় ইশরাত গর্ভবতী হলে তার ওপর আসামিদের নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তারা তালাকের ভয় দেখিয়ে ইশরাতকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন। ইশরাত রাজি না হলে তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ইশরাতের স্বামী নাজমুস সাকিব তালাকের ভয় দেখিয়ে গর্ভপাত করান। বাদী ইশরাতের অভিযোগে আরও বলেন, ‘নাজমুস সাকিবের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আমাদের যেসব ব্যক্তিগত স্থিরচিত্র ও ভিডিও আদান-প্রদান হতো, সেগুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে ভাইরাল করার হুমকি দিচ্ছেন তিনি। আমি ও আমার পরিবার প্রতি মুহূর্তে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘ভিকটিম তার পক্ষে আইনি লড়াই করার জন্য আমাকে অনুরোধ করেন। ভিক্টিমের বাবা আশঙ্কা করেছেন, আসামি পুলিশ হওয়ায় ন্যায়বিচার পাবেন কিনা! আমি আশ্বস্ত করেছি, ব্যক্তিগত অপরাধের জন্য আসামি নিজে দায়ী। এখানে পুলিশ ডিপার্টমেন্ট তাকে কোন রকম অবৈধ সহযোগিতা করবে না বরং ভিকটিমকে ন্যায়বিচার পেতে সহায়তা করবে।’

আরও খবর
মানুষকে সুরক্ষা দিতে সরকার প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
সমালোচনার পরিবর্তে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান কাদেরের
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব
করোনায় চট্টগ্রামে ডাক্তার, আ’লীগ নেতাসহ ৬ জনের মৃত্যু
উন্নত বিশ্বকে দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণের আহ্বান বাংলাদেশের
করোনা রোগী ভর্তির উদ্যোগ
করোনা উপশমে ম্যালেরিয়ার ওষুধ ব্যবহার করা যাবে ডব্লিউএইচও
আইসোলেশনে মৃত্যুর ঘটনায় মামলা
কাউন্সিলর নির্যাতনের প্রতিবাদে মেয়রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ
গোপালগঞ্জে আরও ২ মানবপাচারকারী গ্রেফতার
তরুণী ধর্ষণ মামলায় ২ জন গ্রেফতার
নদী ভাঙনে আশ্রয়কেন্দ্র হুমকির মুখে

শুক্রবার, ০৫ জুন ২০২০ , ২২ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১২ শাওয়াল ১৪৪১

এএসপির বিরুদ্ধে ভ্রুণ হত্যা ও নারী নির্যাতন মামলা স্ত্রীর

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

পুলিশের এক সহকারী পুলিশ সুপারের (এএসপি) বিরুদ্ধে ভ্রূণ হত্যা, নারী নির্যাতন, যৌতুকের অভিযোগ তুলে রমান থানায় মামলা করেছেন স্ত্রী। গত বছরের জুলাইয়ের ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে গতকাল রমনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও শ্বশুর শাশুড়িকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান জানান, এএসপি নাসমুস সাকিবের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী আইনজীবীর মাধ্যমে একটি অভিযোগ করেছে। অভিযোগটি এহাজার হিসেবে গ্রহণ করার পক্রিয়া চলছে। মামলা তদন্ত করা হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এএসপি নাজমুস সাকিব র‌্যাব সদর দফতরে কর্মরত।

রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পর বাদী থানায় এসে মামলা করেছেন। অভিযোগে বাদী তার স্বামী নাজমুস সাকিব, শ্বশুর সফিউল্লাাহ তালুকদার (৬০), শাশুড়ি খালেদা সুলতানাকে (৫২) অভিযুক্ত করেছেন। মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হবে।

অভিযোগে বলা হয়, নাজমুস সাকিবের (৩৪) সঙ্গে ইশরাত রহমানের ২০১৭ সালে মার্চে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর মো. সফিউল্লাহ তালুকদার (৬০), শাশুড়ি খালেদা সুলতানা (৫২) তাদের যৌতুকলোভী এবং অত্যাচারী মনোভাব প্রকাশ করতে থাকেন। আসামিরা বিভিন্ন সময় ইশরাতকে তার বাবার কাছ থেকে নগদ টাকা এনে দিতে চাপ দিতে থাকেন। টাকা না দিলে সব আসামি মিলে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। নির্যাতনের ভয়ে তিনি তার বাবার কাছ থেকে প্রায়ই নগদ টাকা এনে আসামিদের দিতেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, ১২ লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় আসামিরা ইশরাতের ওপর নির্যাতন চালাতে থাকেন। ওই সময় ইশরাত গর্ভবতী হলে তার ওপর আসামিদের নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তারা তালাকের ভয় দেখিয়ে ইশরাতকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন। ইশরাত রাজি না হলে তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ইশরাতের স্বামী নাজমুস সাকিব তালাকের ভয় দেখিয়ে গর্ভপাত করান। বাদী ইশরাতের অভিযোগে আরও বলেন, ‘নাজমুস সাকিবের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে আমাদের যেসব ব্যক্তিগত স্থিরচিত্র ও ভিডিও আদান-প্রদান হতো, সেগুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে ভাইরাল করার হুমকি দিচ্ছেন তিনি। আমি ও আমার পরিবার প্রতি মুহূর্তে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘ভিকটিম তার পক্ষে আইনি লড়াই করার জন্য আমাকে অনুরোধ করেন। ভিক্টিমের বাবা আশঙ্কা করেছেন, আসামি পুলিশ হওয়ায় ন্যায়বিচার পাবেন কিনা! আমি আশ্বস্ত করেছি, ব্যক্তিগত অপরাধের জন্য আসামি নিজে দায়ী। এখানে পুলিশ ডিপার্টমেন্ট তাকে কোন রকম অবৈধ সহযোগিতা করবে না বরং ভিকটিমকে ন্যায়বিচার পেতে সহায়তা করবে।’