সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি শুরু

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমতি না থাকায় দীর্ঘদিন সড়কপথে বন্ধ ছিল ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি থাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতির আর অপক্ষো না করে সড়কপথে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্যসামগ্রী পাঠালো বাংলাদেশে। ফলে ৭০ দিন পর ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করল বাংলাদেশে। পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার মহদিপুর সীমান্ত দিয়ে ৮৬টি ট্রাক গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রবেশ করে।

ভারত সরকার স্থলবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অনুমতি দিয়েছে ২৪ এপ্রিল। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় রপ্তানিকারকরা বাংলাদেশে কোন সামগ্রী পাঠাতে পারেনি বলে জানান ওই ব্যবসায়ী। ভারত সরকার বারবার চিঠি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে স্থলবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শুরুর অনুমতি দেয়ার অনুরোধ করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। ভারত সরকার ছাড়াও বেশকিছু বণিক সভাও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বাণিজ্যের অনুমতি দিতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু এতদিন কারো কথাই কানে তোলেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি স্থলবন্দর-মহদিপুর, চ্যাংড়াবান্ধা, ফুলবাড়ী, হিলি, ঘোজাডাঙ্গা এবং পেট্রাপোল দিয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার কোটি ইন্ডিয়ান রুপির ব্যবসা হয়।

শনিবার, ০৬ জুন ২০২০ , ২৩ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১৩ শাওয়াল ১৪৪১

সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি শুরু

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমতি না থাকায় দীর্ঘদিন সড়কপথে বন্ধ ছিল ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি থাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতির আর অপক্ষো না করে সড়কপথে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্যসামগ্রী পাঠালো বাংলাদেশে। ফলে ৭০ দিন পর ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করল বাংলাদেশে। পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার মহদিপুর সীমান্ত দিয়ে ৮৬টি ট্রাক গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রবেশ করে।

ভারত সরকার স্থলবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অনুমতি দিয়েছে ২৪ এপ্রিল। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় রপ্তানিকারকরা বাংলাদেশে কোন সামগ্রী পাঠাতে পারেনি বলে জানান ওই ব্যবসায়ী। ভারত সরকার বারবার চিঠি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে স্থলবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শুরুর অনুমতি দেয়ার অনুরোধ করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। ভারত সরকার ছাড়াও বেশকিছু বণিক সভাও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বাণিজ্যের অনুমতি দিতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু এতদিন কারো কথাই কানে তোলেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি স্থলবন্দর-মহদিপুর, চ্যাংড়াবান্ধা, ফুলবাড়ী, হিলি, ঘোজাডাঙ্গা এবং পেট্রাপোল দিয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার কোটি ইন্ডিয়ান রুপির ব্যবসা হয়।