বদলগাছীতে সেচপাম্প ঘরে দুই নারীর মরদেহ

নওগাঁর বদলগাছীতে মিনি গভীর নলকূপ ঘরে আটকে রেখে দুই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলা সদর ইউনিয়নের চাংলা গ্রামের ডাঙ্গির বিলে আহসান হাবিব কোয়েলের ব্যক্তিগত মিনি গভীর নলকূপের ঘরে। তথ্য সংগ্রহকালে জানা যায়, গভীর নলকূপ ঘরের পাশে জমিতে শসার ক্ষেত রয়েছে। গভীর নলকুপ অপারেটর শাহাদাত হোসেন ভুট্টু গত বৃহস্পতিবার সকালে শসার জমি পরিচর্চা করতে যায়। এসময় গভীর নলকূপের ঘরের দরজা খোলা দেখতে পায়। ভিতরে দেখতে পায় দুটি মহিলার লাশ পড়ে আছে। এ সময় তার আর্তচিৎকারে গ্রামের লোকজন ছুটে আসে। খবর পেয়ে বদলগাছী থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহাদেবপুর-বদলগাছী সার্কেল আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে পরিদর্শনের পর রাজশাহী সিআইডি ক্রাইমসিন ইউনিটকে অবগত করলে পুলিশ পরিদর্শক মো. আবু তালেব এর নেতৃত্বে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম দুপুর ১ টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল করে এবং আলামত সংগ্রহ করে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ভোটার আইডি কার্ড উদ্ধার করে পুলিশ। সে সূত্র থেকে জানা যায় উদ্ধারকৃত লাশের একজনের নাম সাথী (২২)। সে কোলা ইউপির পার আধাইপুর গ্রামের আবদুল কাদিরের স্ত্রী। পরে আবদুল কাদিরকে খবর দিলে থানায় এসে তার স্বামী স্ত্রীর লাশ শনাক্ত করে।

থানায় আবদুল কাদির জানায়, সে একজন কাঠ মিস্ত্রি। কোলা বাজারে নজরুল ওরফে লজুর বাসায় ভাড়া থাকে। অপর মহিলার নাম পরিনা বেগম(৩০) তার স্বামীর নাম নজরুল ইসলাম গ্রাম তেঁতুলিয়া। তারা একই বাসায় ভাড়া থাকে। গত বুধবার বিকালে তার স্ত্রী সাথী পরিনার সঙ্গে বেড়াতে যায়। তারপর আজ খবর পায় তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। মৃতের বাসা থেকে চাংলা গ্রামের গভীর নলকূপ প্রায় ১০ কিমি দূরে। গভীর নলকূপ থেকে দুটি মহিলার লাশ উদ্ধার হওয়ায় প্রাথমিক অবস্থায় এলাকাবাসীর ধারণা ছিল কোনো অশ্লীল উদ্দেশ্যে তাদেরকে এনে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু লাশের সুরতহাল রিপোর্টে সে ধরসের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। বদলগাছী থানার অফিসার ইনর্চাজ চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদসহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহাদেবপুর-বদলগাছী সার্কেল আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম জানান, তারা প্রাথমিক অবস্থায় ধারণা করেছিল ধর্ষনের কোনো ঘটনা হতে পারে। কিন্তু সুরতহাল রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে তার কোনো প্রমাণ মিলেনি। অন্য কোনো কারণে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার, ০৬ জুন ২০২০ , ২৩ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১৩ শাওয়াল ১৪৪১

বদলগাছীতে সেচপাম্প ঘরে দুই নারীর মরদেহ

প্রতিনিধি, বদলগাছী (নওগাঁ)

নওগাঁর বদলগাছীতে মিনি গভীর নলকূপ ঘরে আটকে রেখে দুই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলা সদর ইউনিয়নের চাংলা গ্রামের ডাঙ্গির বিলে আহসান হাবিব কোয়েলের ব্যক্তিগত মিনি গভীর নলকূপের ঘরে। তথ্য সংগ্রহকালে জানা যায়, গভীর নলকূপ ঘরের পাশে জমিতে শসার ক্ষেত রয়েছে। গভীর নলকুপ অপারেটর শাহাদাত হোসেন ভুট্টু গত বৃহস্পতিবার সকালে শসার জমি পরিচর্চা করতে যায়। এসময় গভীর নলকূপের ঘরের দরজা খোলা দেখতে পায়। ভিতরে দেখতে পায় দুটি মহিলার লাশ পড়ে আছে। এ সময় তার আর্তচিৎকারে গ্রামের লোকজন ছুটে আসে। খবর পেয়ে বদলগাছী থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহাদেবপুর-বদলগাছী সার্কেল আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে পরিদর্শনের পর রাজশাহী সিআইডি ক্রাইমসিন ইউনিটকে অবগত করলে পুলিশ পরিদর্শক মো. আবু তালেব এর নেতৃত্বে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম দুপুর ১ টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল করে এবং আলামত সংগ্রহ করে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ভোটার আইডি কার্ড উদ্ধার করে পুলিশ। সে সূত্র থেকে জানা যায় উদ্ধারকৃত লাশের একজনের নাম সাথী (২২)। সে কোলা ইউপির পার আধাইপুর গ্রামের আবদুল কাদিরের স্ত্রী। পরে আবদুল কাদিরকে খবর দিলে থানায় এসে তার স্বামী স্ত্রীর লাশ শনাক্ত করে।

থানায় আবদুল কাদির জানায়, সে একজন কাঠ মিস্ত্রি। কোলা বাজারে নজরুল ওরফে লজুর বাসায় ভাড়া থাকে। অপর মহিলার নাম পরিনা বেগম(৩০) তার স্বামীর নাম নজরুল ইসলাম গ্রাম তেঁতুলিয়া। তারা একই বাসায় ভাড়া থাকে। গত বুধবার বিকালে তার স্ত্রী সাথী পরিনার সঙ্গে বেড়াতে যায়। তারপর আজ খবর পায় তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। মৃতের বাসা থেকে চাংলা গ্রামের গভীর নলকূপ প্রায় ১০ কিমি দূরে। গভীর নলকূপ থেকে দুটি মহিলার লাশ উদ্ধার হওয়ায় প্রাথমিক অবস্থায় এলাকাবাসীর ধারণা ছিল কোনো অশ্লীল উদ্দেশ্যে তাদেরকে এনে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু লাশের সুরতহাল রিপোর্টে সে ধরসের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। বদলগাছী থানার অফিসার ইনর্চাজ চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদসহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহাদেবপুর-বদলগাছী সার্কেল আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম জানান, তারা প্রাথমিক অবস্থায় ধারণা করেছিল ধর্ষনের কোনো ঘটনা হতে পারে। কিন্তু সুরতহাল রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে তার কোনো প্রমাণ মিলেনি। অন্য কোনো কারণে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে।