দশমিনায় নদী ভাঙনের মুখে বেড়িবাঁধ মসজিদ

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় চলতি বর্ষা মৌসুমের কুরুতেই ৪টি ইউনিয়নে নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা বিলীন হচ্ছে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া, দশমিনা, রনগোপালদী এবং আলীপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে নদীর এই ভাঙন নতুন করে দেখা দিয়েছে। উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের আলীপুরা নদীতে ভাঙনের মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে। নদীর ভাঙনে স্লুইজগেট বাজার এবং হাজীরহাট ও বাঁশবাড়িয়ার বেড়িবাঁধ এখন হুমকির মুখে রয়েছে।

উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের আলীপুরা নদীতে হঠাৎ করেই নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট এলাকার আশেপাশের আবাদি-অনাবাদি ও বসতঘর নদীর ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে। বাঁশের অস্থায়ী পাইলিং দিয়েও নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। নদীর অব্যাহত ভাঙনে উপজেলার নদী তীর রক্ষা বাঁধের ৬ কিলোমিটারের মধ্যে ২ কিলোমিটার নদীর মধ্যে ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। অবশিষ্ট রক্ষাবাঁধ এখন হুমকির মুখে রয়েছে।

নদীর পানি বৃদ্ধি এবং প্রবল চাপের কারনে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আমফান’র আঘাতের পর থেকেই অত্র ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুর, পশ্চিম আলীপুর, চানপুরা, খলিশাখালী বিভিন্ন এলাকায় নদীর ভাঙনের মাত্রা তীব্র আকার ধারন করেছে। ভাঙন কবলিত এলাকার শত শত পরিবারের আবাদি-অনাবাদি জমি, বসতভিটা নদীতে হারিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার একমাত্র ২টি লঞ্চঘাট বাঁশবাড়িয়া এবং হাজীরহাট নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর ভাঙন ঠেকাতে কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। অত্র উপজেলায় নদীর ভাঙন ঠেকাতে কোন পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়নি। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও নদীর তীর ও সংলগ্ন এলাকা রক্ষার জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ও হাজীরহাট লঞ্চঘাটের উত্তর পাশের অংশে অচিরেই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে চরম হুমকির মুখে পড়বে নদী তীরবর্তী এলাকা। উপজেলার হাজার হাজার মানুষের অনাগত ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা প্রয়োজন। এই ব্যাপারে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, নদীর ভাঙন রোধ কল্পে ইতোমধ্যে ব্লক নির্মানের কাজ করা হচ্ছে। তবে ভাঙন কবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে ব্লক নির্মাণসহ বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন।

শনিবার, ০৬ জুন ২০২০ , ২৩ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১৩ শাওয়াল ১৪৪১

দশমিনায় নদী ভাঙনের মুখে বেড়িবাঁধ মসজিদ

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

image

দশমিনা (পটুয়াখালী) : এভাবেই ভাঙছে উপজেলা সদরের হাজীরহাট বেড়িবাঁধ -সংবাদ

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় চলতি বর্ষা মৌসুমের কুরুতেই ৪টি ইউনিয়নে নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা বিলীন হচ্ছে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া, দশমিনা, রনগোপালদী এবং আলীপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে নদীর এই ভাঙন নতুন করে দেখা দিয়েছে। উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের আলীপুরা নদীতে ভাঙনের মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে। নদীর ভাঙনে স্লুইজগেট বাজার এবং হাজীরহাট ও বাঁশবাড়িয়ার বেড়িবাঁধ এখন হুমকির মুখে রয়েছে।

উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের আলীপুরা নদীতে হঠাৎ করেই নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট এলাকার আশেপাশের আবাদি-অনাবাদি ও বসতঘর নদীর ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে। বাঁশের অস্থায়ী পাইলিং দিয়েও নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। নদীর অব্যাহত ভাঙনে উপজেলার নদী তীর রক্ষা বাঁধের ৬ কিলোমিটারের মধ্যে ২ কিলোমিটার নদীর মধ্যে ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। অবশিষ্ট রক্ষাবাঁধ এখন হুমকির মুখে রয়েছে।

নদীর পানি বৃদ্ধি এবং প্রবল চাপের কারনে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আমফান’র আঘাতের পর থেকেই অত্র ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুর, পশ্চিম আলীপুর, চানপুরা, খলিশাখালী বিভিন্ন এলাকায় নদীর ভাঙনের মাত্রা তীব্র আকার ধারন করেছে। ভাঙন কবলিত এলাকার শত শত পরিবারের আবাদি-অনাবাদি জমি, বসতভিটা নদীতে হারিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার একমাত্র ২টি লঞ্চঘাট বাঁশবাড়িয়া এবং হাজীরহাট নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর ভাঙন ঠেকাতে কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। অত্র উপজেলায় নদীর ভাঙন ঠেকাতে কোন পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়নি। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও নদীর তীর ও সংলগ্ন এলাকা রক্ষার জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ও হাজীরহাট লঞ্চঘাটের উত্তর পাশের অংশে অচিরেই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে চরম হুমকির মুখে পড়বে নদী তীরবর্তী এলাকা। উপজেলার হাজার হাজার মানুষের অনাগত ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করা প্রয়োজন। এই ব্যাপারে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, নদীর ভাঙন রোধ কল্পে ইতোমধ্যে ব্লক নির্মানের কাজ করা হচ্ছে। তবে ভাঙন কবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে ব্লক নির্মাণসহ বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন।