বিক্ষোভ দমনে সেনা মোতায়েনের বিরোধিতায় মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকা-কে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলমান বিক্ষোভ দমনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সেনা মোতায়েনের হুমকির বিরোধিতা করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার। বিবিসি।

ব্রিটিশ এ সংবাদ মাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে মিনেসোটার মিনেপোলিসে শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তার হাটুর চাপে দমবন্ধ হয়ে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা উত্তাল সহিংস বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে এসপার এমন মন্তব্য করলেন। গত বুধবার ট্রাম্প এ হুমকি দেয়ার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী এসপার বলেছেন, বর্ণবাদী অন্যায়, অবিচার এবং ফ্লয়েডের মৃত্যু নিয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া উত্তেজনা নিরসনে সেনা মোতায়েন করাকে তিনি সমর্থন করেন না।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনে দেয়া এক বক্তব্যে এদিন এসপার বলেন, ‘একমাত্র শেষ উপায় হিসাবেই সক্রিয় দায়িত্বে থাকা সামরিক বাহিনীকে আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর ভূমিকায় নামানোর বিকল্প পথ অবলম্বন করা উচিত। পরিস্থিতি খুবই গুরুতর এবং ভয়াবহ হলেই কেবল তা করা যেতে পারে। এখন আমরা সে রকম কোন পরিস্থিতিতে পড়িনি।’

ফলে ‘ইনসারেকশন অ্যাক্ট’ (যে ফেডারেল আইনে প্রেসিডেন্ট সেনা মোতায়েনের ক্ষমতা রাখেন) এর শরণাপন্ন হওয়াটা সমর্থন করেন না বলেই জানিয়েছেন এসপার।

এ সময় ফ্লয়েড হত্যাকে তিনি এক ‘ভয়ঙ্কর অপরাধ’ বলেও উল্লেখ করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এসপার বলেন, ‘তাকে (ফ্লয়েড) হত্যা করার জন্য ওই দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা কর্মকর্তাদের জবাবহিদিতার মুখে দাঁড় করানো উচিত। এ এক মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা বহুবারই এর পুনরাবৃত্তি দেখে আসছি।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই দিন আগেই বিক্ষোভ দমনে সেনা নামানোর হুমকি দেন। বড় বড় শহরগুলোতে লাগাতার সহিংস বিক্ষোভ ও লুটপাট ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ বন্ধের অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি।

অঙ্গরাজ্যের গভর্নররা ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনে রাজি না হলে ট্রাম্প নিজেই সেনাবাহিনী মোতায়েন করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন,‘যদি কোন শহর বা অঙ্গরাজ্য বাসিন্দাদের জানমালের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে আমিই যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী মোতায়েন করে তাদের হয়ে দ্রুত সমাধান এনে দেব।’

এর বিপরীতে গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার দেশের নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকারকে সমর্থন করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এই অধিকার এবং স্বাধীনতাই আমাদের দেশের বিশেষত্ব। আমেরিকার সেনা সদস্যরা এই অধিকার এবং স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে মরতেও ইচ্ছুক।’

শনিবার, ০৬ জুন ২০২০ , ২৩ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১৩ শাওয়াল ১৪৪১

বিক্ষোভ দমনে সেনা মোতায়েনের বিরোধিতায় মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী

সংবাদ ডেস্ক |

জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকা-কে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলমান বিক্ষোভ দমনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সেনা মোতায়েনের হুমকির বিরোধিতা করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার। বিবিসি।

ব্রিটিশ এ সংবাদ মাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে মিনেসোটার মিনেপোলিসে শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তার হাটুর চাপে দমবন্ধ হয়ে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা উত্তাল সহিংস বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে এসপার এমন মন্তব্য করলেন। গত বুধবার ট্রাম্প এ হুমকি দেয়ার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী এসপার বলেছেন, বর্ণবাদী অন্যায়, অবিচার এবং ফ্লয়েডের মৃত্যু নিয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া উত্তেজনা নিরসনে সেনা মোতায়েন করাকে তিনি সমর্থন করেন না।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনে দেয়া এক বক্তব্যে এদিন এসপার বলেন, ‘একমাত্র শেষ উপায় হিসাবেই সক্রিয় দায়িত্বে থাকা সামরিক বাহিনীকে আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর ভূমিকায় নামানোর বিকল্প পথ অবলম্বন করা উচিত। পরিস্থিতি খুবই গুরুতর এবং ভয়াবহ হলেই কেবল তা করা যেতে পারে। এখন আমরা সে রকম কোন পরিস্থিতিতে পড়িনি।’

ফলে ‘ইনসারেকশন অ্যাক্ট’ (যে ফেডারেল আইনে প্রেসিডেন্ট সেনা মোতায়েনের ক্ষমতা রাখেন) এর শরণাপন্ন হওয়াটা সমর্থন করেন না বলেই জানিয়েছেন এসপার।

এ সময় ফ্লয়েড হত্যাকে তিনি এক ‘ভয়ঙ্কর অপরাধ’ বলেও উল্লেখ করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এসপার বলেন, ‘তাকে (ফ্লয়েড) হত্যা করার জন্য ওই দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা কর্মকর্তাদের জবাবহিদিতার মুখে দাঁড় করানো উচিত। এ এক মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা বহুবারই এর পুনরাবৃত্তি দেখে আসছি।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই দিন আগেই বিক্ষোভ দমনে সেনা নামানোর হুমকি দেন। বড় বড় শহরগুলোতে লাগাতার সহিংস বিক্ষোভ ও লুটপাট ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ বন্ধের অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি।

অঙ্গরাজ্যের গভর্নররা ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনে রাজি না হলে ট্রাম্প নিজেই সেনাবাহিনী মোতায়েন করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন,‘যদি কোন শহর বা অঙ্গরাজ্য বাসিন্দাদের জানমালের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে আমিই যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী মোতায়েন করে তাদের হয়ে দ্রুত সমাধান এনে দেব।’

এর বিপরীতে গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার দেশের নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকারকে সমর্থন করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এই অধিকার এবং স্বাধীনতাই আমাদের দেশের বিশেষত্ব। আমেরিকার সেনা সদস্যরা এই অধিকার এবং স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে মরতেও ইচ্ছুক।’