আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ের পার্লামেন্টে পাস হয়েছে বিতর্কিত চীনা জাতীয় সঙ্গীত বিল। নতুন এ আইনে চীনা জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা দ-নীয় অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে। রয়টার্স।
চীন কয়েক দিন আগেই হংকংকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মধ্যেও বিতর্কিত এ নিরাপত্তা আইন পাস করেছে। তার রেশ না কাটতেই পাস হল এ জাতীয় সঙ্গীত বিল। নতুন এ আইনে হংকংয়ে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে চীনা জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শিখানো এবং এর ইতিহাস পড়ানোর নির্দেশ রয়েছে। একইসঙ্গে কেউ জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করলে তার তিন বছরের কারাদ- ও প্রায় সাড়ে (৬ হাজার ৪৫০) ডলার জরিমানা করার বিধানও রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার গণতন্ত্রপন্থি এমপি’দের বিরোধিতার মধ্যেও ৪১ ভোটে বিলটি পাস হয়। সমালোচকরা এ বিলকে আধা-স্বায়ত্তশাসিত হংকংয়ে চীনের আধিপত্য বিস্তারের আরেক পদক্ষেপ হিসাবেই দেখছেন।
হংকংবাসীদের অনেকেই একে চীনের ইচ্ছা হংকংয়ের ওপর চাপিয়ে দেয়া এবং ‘এক দেশ, দুই পদ্ধতি’ নীতি ক্ষুণ্ন করার পদক্ষেপ হিসাবে দেখছেন।
সম্প্রতি কয়েক বছরে হংকংয়ের খেলাধুলায় বিশেষ করে ফুটবল খেলার আগে চীনা জাতীয় সঙ্গীতের বদলে গণতন্ত্রপন্থিদের ‘গ্লোরি টু হংকং’ গাওয়া হয়ে এসেছে। হংকংজুড়ে বহু মানুষের কাছে জাতীয় সঙ্গীত হয়ে উঠেছে এ গানটি।
হংকংবাসীরা তিয়েনআনমেন স্কয়ারে ১৯৮৯ সালের বিক্ষোভ দমনাভিযানের বর্ষপূর্তি পালনের দিনই পাস হল চীনা জাতীয় সঙ্গীত আইনটি।
পুলিশ চলতি বছর করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কার কথা বলে দিবসটি পালনে মোমবাতি মিছিল নিষিদ্ধ করেছে। এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার মানুষ মিছিলে জড়ো হয়। এমন পরিস্থিতির মধ্যে হংকং পার্লামেন্টে চীনা জাতীয় সঙ্গীত বিল নিয়ে ভোটাভুটি শুরুর আগে দিয়ে প্রতিবাদে সরব হন দুই গণতন্ত্রপন্থি আইনপ্রণেতা। তিয়েনআনমেন স্কয়ার অভিযানসহ হংকংয়ে চীনের নিয়ন্ত্রণ বাড়তে থাকা নিয়ে প্রতিবাদ করেন তারা। পরে নিরাপত্তারক্ষী এসে তাদের ধরে নিয়ে যায়।
শনিবার, ০৬ জুন ২০২০ , ২৩ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১৩ শাওয়াল ১৪৪১
সংবাদ ডেস্ক |
আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ের পার্লামেন্টে পাস হয়েছে বিতর্কিত চীনা জাতীয় সঙ্গীত বিল। নতুন এ আইনে চীনা জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা দ-নীয় অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে। রয়টার্স।
চীন কয়েক দিন আগেই হংকংকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মধ্যেও বিতর্কিত এ নিরাপত্তা আইন পাস করেছে। তার রেশ না কাটতেই পাস হল এ জাতীয় সঙ্গীত বিল। নতুন এ আইনে হংকংয়ে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে চীনা জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শিখানো এবং এর ইতিহাস পড়ানোর নির্দেশ রয়েছে। একইসঙ্গে কেউ জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করলে তার তিন বছরের কারাদ- ও প্রায় সাড়ে (৬ হাজার ৪৫০) ডলার জরিমানা করার বিধানও রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার গণতন্ত্রপন্থি এমপি’দের বিরোধিতার মধ্যেও ৪১ ভোটে বিলটি পাস হয়। সমালোচকরা এ বিলকে আধা-স্বায়ত্তশাসিত হংকংয়ে চীনের আধিপত্য বিস্তারের আরেক পদক্ষেপ হিসাবেই দেখছেন।
হংকংবাসীদের অনেকেই একে চীনের ইচ্ছা হংকংয়ের ওপর চাপিয়ে দেয়া এবং ‘এক দেশ, দুই পদ্ধতি’ নীতি ক্ষুণ্ন করার পদক্ষেপ হিসাবে দেখছেন।
সম্প্রতি কয়েক বছরে হংকংয়ের খেলাধুলায় বিশেষ করে ফুটবল খেলার আগে চীনা জাতীয় সঙ্গীতের বদলে গণতন্ত্রপন্থিদের ‘গ্লোরি টু হংকং’ গাওয়া হয়ে এসেছে। হংকংজুড়ে বহু মানুষের কাছে জাতীয় সঙ্গীত হয়ে উঠেছে এ গানটি।
হংকংবাসীরা তিয়েনআনমেন স্কয়ারে ১৯৮৯ সালের বিক্ষোভ দমনাভিযানের বর্ষপূর্তি পালনের দিনই পাস হল চীনা জাতীয় সঙ্গীত আইনটি।
পুলিশ চলতি বছর করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কার কথা বলে দিবসটি পালনে মোমবাতি মিছিল নিষিদ্ধ করেছে। এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার মানুষ মিছিলে জড়ো হয়। এমন পরিস্থিতির মধ্যে হংকং পার্লামেন্টে চীনা জাতীয় সঙ্গীত বিল নিয়ে ভোটাভুটি শুরুর আগে দিয়ে প্রতিবাদে সরব হন দুই গণতন্ত্রপন্থি আইনপ্রণেতা। তিয়েনআনমেন স্কয়ার অভিযানসহ হংকংয়ে চীনের নিয়ন্ত্রণ বাড়তে থাকা নিয়ে প্রতিবাদ করেন তারা। পরে নিরাপত্তারক্ষী এসে তাদের ধরে নিয়ে যায়।