মশক নিধন কার্যক্রম শুরু আজ থেকে

ডেঙ্গু রোগের বাহক অ্যডিস মশার প্রজনন মৌসুম চলছে। গত বছর এই রোগ রাজধানীর মত সারাদেশেই বিস্তার লাভ করেছিল। মশা মারতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকায় নতুন মেয়রের মুখ দেখা গেছে। তাই এবার বেশ আটঘাট বেঁধেই মাঠে নামছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে। জলাশয় পরিষ্কার ও নিয়মিত কীটনাশক ছিটানোসহ বিস্তর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। চলতি মৌসুমের মশা নিধন কার্যক্রম আজ থেকে শুরু করবে উত্তর সিটি করপোরেশন। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আগামীকাল অর্থাৎ রোববার থেকে শুরু হবে। প্রায় দুমাস ধরে এই কর্মযজ্ঞ চলবে বলে সিটি করপোরেশন সূত্র নিশ্চিত করেছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন প্রতিটি ওয়ার্ডে অ্যাডিস মশা নির্মূলের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে চিরুনি অভিযান। সেই লক্ষ্যে নগরবাসীদের সবাইকে সচেতন থাকতে প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। এরআগে অ্যাডিস মশা নিয়ন্ত্রণে গত ১০ মে থেকে ডিএনসিসি কর্তৃক পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ২৬ হাজার ৩ শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে ফের শুরু হচ্ছে চিরুনি অভিযান। এর আগে গত বুধবার ডিএনসিসির প্রথম করপোরেশন সভায় মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া মোকাবিলায় জোর দিয়ে বলেন, ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া যেন গত বছরের মতো ভয়াবহ রূপ নিতে না পারে সেইজন্য আমরা আগে থেকেই সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। ১০ মে থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। অ্যাডিস মশা নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে। কোথাও জমে থাকা পানি বা অ্যাডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে, সেটি যদি সরকারি প্রতিষ্ঠানও হয়, সেখানে আইন অনুযায়ী অর্থদণ্ড বা কারাদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। ১৬ মে থেকে পরিচ্ছন্নতা ও মশককর্মী দ্বারা ৫টি ওয়ার্ডে ঈদের আগ পর্যন্ত চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আগামী ৬ জুন থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান শুরু করা হবে। অন্তত আগস্ট পর্যন্ত প্রতিমাসে ১০ দিনব্যাপী চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে বিনামূল্যে ডিএনসিসি এলাকার ৫টি নগর মাতৃসদন ও ২২টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১১ মে থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে।

আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, মশক নিধন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য ইতোমধ্যে দুটি অ্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। একটি অ্যাপের মাধ্যমে ডিএনসিসি এলাকার অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়া সব বাড়ি বা স্থাপনার ছবিসহ তথ্য সংরক্ষণ করা হবে, যা পরবর্তীতে মনিটরিংয়ের কাজে ব্যবহৃত হবে। এছাড়া সমগ্র ডিএনসিসিকে ৪০০ মিটার বাই ৪০০ মিটার গ্রিডে ভাগ করা হবে। প্রতিটি গ্রিডের বসবাসরত একজন গৃহিনীকে মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হবে। একটি গ্রিডে কর্মরত মশককর্মীর কাজে ওই গ্রিডে বসবাসরত গৃহিনী সন্তুষ্ট কিনা ডিএনসিসির একটি অ্যাপের মাধ্যমে তিনি তা প্রকাশ করবেন। তার সন্তুষ্টির ওপর নির্ভর করবে মশক নিধন কর্মীদের বেতন ও অন্য সুবিধাদি। ওই অ্যাপের মাধ্যমে মেয়রসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোন এলাকার মশক নিধন কার্যক্রমের কী অবস্থা তাৎক্ষণিক জানতে পারবেন। জনগণকে মশকনিধন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতেই এ ব্যবস্থা চালু করা হবে।

উত্তরে পুরাতন হলেও দক্ষিণে নতুন মেয়র এসেছেন। মাত্র কয়েকদিন আগেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি। গতবছর মেয়রের চেয়ারে থাকা সাঈদ খোকন মশা মারতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই তার চেয়ার থেকে সরানো হয়। তাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নবনিযুক্ত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মশা মারার ওপর বেশ জোর দিয়েছেন। তাপস বলেছেন, মশক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে যেসব পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তার সঠিক বাস্তবায়নে কোন অজুহাত গ্রহণযোগ্য হবে না। আমি ২৪ ঘণ্টার মেয়র। যেকোন সময় যেকোন কার্যক্রম পরিদর্শনে যাবো। মশক নিধনে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের পরামর্শ নেয়া হবে যা ৭ জুন থেকে শুরু হবে কার্যক্রম। ১৪ জুন থেকে দক্ষিণ সিটির জলাশয়, লেক, খাল শনাক্ত করে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো শুরু হবে। এক সঙ্গে নর্দমা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমও চালানো হবে। ডিএসসিসি এলাকাধীন এসবের মালিক সিটি করপোরেশন।

দক্ষিণের কর্ম পরিকল্পনা মধ্যে রয়েছে, খোলা জলাশয় ব্যবস্থাপনার আওতায় করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলের জলাশয়ের কচুরিপানা/আবর্জনা পরিষ্কারকরণ। প্রতি বিঘা জলাশয়ে আনুমানিক ৩০০০-৩৫০০টি তেলাপিয়া এবং ২৫টি হাঁস চাষকরণ। জলাশয়ে নিয়মিত জাল চালনা করা। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাধ্যমে সব নর্দমা পরিষ্কারকরণ। রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় প্রতিদিন প্রতি ওয়ার্ডে আটজন মশককর্মীর মাধ্যমে সকাল ৯টা হতে ১টা পর্যন্ত লার্ভিসাইডিং এবং প্রতিদিন প্রতি ওয়ার্ডে ১০ জন মশককর্মীর মাধ্যমে দুপুর আড়াইটা হতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ফগিং কার্যক্রম চালানো। সোর্স রিডাকশন কার্যক্রমের আওতায় অনলাইনে নগরবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতি ওয়ার্ডে তিনজন মশককর্মীর মাধ্যমে নাগরিকদের বাসা-কর্মস্থল প্রাঙ্গণে অ্যাডিসের প্রজননস্থল ধংস কার্যক্রম ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কার্যক্রম ইত্যাদি।

আরও খবর
পরিবেশ সংরক্ষণে যত্নবান হলে ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেয়া সহজ হতো : তথ্যমন্ত্রী
বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. গোলাম কিবরিয়ার মৃত্যু
আম পরিবহনে ‘ম্যাংগো’ স্পেশাল ট্রেন
মানবিক সহায়তায় ৯ হাজার টন চাল ও ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ
স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী কেনাকাটায় অনিয়ম খতিয়ে দেখা হচ্ছে দুদক চেয়ারম্যান
মন্দায় টিকে থাকতে কৃষিখাতের ওপর জোর দিতে হবে মির্জা ফখরুল
চেয়ারম্যান রাঢ়ী গ্রেফতার
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তা তালিকায় বিত্তশালীদের নাম
জেলেরা নেই জেলে তালিকায়
গোয়েন্দা পুলিশের ওপর হামলা, ৮ আসামি ছিনতাই
হোটেল-মোটেল খোলার প্রস্তুতি
স্নানযাত্রা উৎসব পালিত
সাত দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ
করোনা পরিস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠান, তিন জনকে জরিমানা
কক্সবাজার ‘রেড জোনে’ আবারও লকডাউন

শনিবার, ০৬ জুন ২০২০ , ২৩ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১৩ শাওয়াল ১৪৪১

ঢাকার দুই সিটিতে

মশক নিধন কার্যক্রম শুরু আজ থেকে

ইমদাদুল হাসান রাতুল

ডেঙ্গু রোগের বাহক অ্যডিস মশার প্রজনন মৌসুম চলছে। গত বছর এই রোগ রাজধানীর মত সারাদেশেই বিস্তার লাভ করেছিল। মশা মারতে ব্যর্থ হওয়ায় ঢাকায় নতুন মেয়রের মুখ দেখা গেছে। তাই এবার বেশ আটঘাট বেঁধেই মাঠে নামছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে। জলাশয় পরিষ্কার ও নিয়মিত কীটনাশক ছিটানোসহ বিস্তর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। চলতি মৌসুমের মশা নিধন কার্যক্রম আজ থেকে শুরু করবে উত্তর সিটি করপোরেশন। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আগামীকাল অর্থাৎ রোববার থেকে শুরু হবে। প্রায় দুমাস ধরে এই কর্মযজ্ঞ চলবে বলে সিটি করপোরেশন সূত্র নিশ্চিত করেছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন প্রতিটি ওয়ার্ডে অ্যাডিস মশা নির্মূলের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে চিরুনি অভিযান। সেই লক্ষ্যে নগরবাসীদের সবাইকে সচেতন থাকতে প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। এরআগে অ্যাডিস মশা নিয়ন্ত্রণে গত ১০ মে থেকে ডিএনসিসি কর্তৃক পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ২৬ হাজার ৩ শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে ফের শুরু হচ্ছে চিরুনি অভিযান। এর আগে গত বুধবার ডিএনসিসির প্রথম করপোরেশন সভায় মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া মোকাবিলায় জোর দিয়ে বলেন, ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া যেন গত বছরের মতো ভয়াবহ রূপ নিতে না পারে সেইজন্য আমরা আগে থেকেই সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। ১০ মে থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। অ্যাডিস মশা নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে। কোথাও জমে থাকা পানি বা অ্যাডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে, সেটি যদি সরকারি প্রতিষ্ঠানও হয়, সেখানে আইন অনুযায়ী অর্থদণ্ড বা কারাদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। ১৬ মে থেকে পরিচ্ছন্নতা ও মশককর্মী দ্বারা ৫টি ওয়ার্ডে ঈদের আগ পর্যন্ত চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আগামী ৬ জুন থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান শুরু করা হবে। অন্তত আগস্ট পর্যন্ত প্রতিমাসে ১০ দিনব্যাপী চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে বিনামূল্যে ডিএনসিসি এলাকার ৫টি নগর মাতৃসদন ও ২২টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১১ মে থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে।

আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, মশক নিধন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য ইতোমধ্যে দুটি অ্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। একটি অ্যাপের মাধ্যমে ডিএনসিসি এলাকার অ্যাডিস মশার লার্ভা পাওয়া সব বাড়ি বা স্থাপনার ছবিসহ তথ্য সংরক্ষণ করা হবে, যা পরবর্তীতে মনিটরিংয়ের কাজে ব্যবহৃত হবে। এছাড়া সমগ্র ডিএনসিসিকে ৪০০ মিটার বাই ৪০০ মিটার গ্রিডে ভাগ করা হবে। প্রতিটি গ্রিডের বসবাসরত একজন গৃহিনীকে মনিটরিংয়ের দায়িত্ব দেয়া হবে। একটি গ্রিডে কর্মরত মশককর্মীর কাজে ওই গ্রিডে বসবাসরত গৃহিনী সন্তুষ্ট কিনা ডিএনসিসির একটি অ্যাপের মাধ্যমে তিনি তা প্রকাশ করবেন। তার সন্তুষ্টির ওপর নির্ভর করবে মশক নিধন কর্মীদের বেতন ও অন্য সুবিধাদি। ওই অ্যাপের মাধ্যমে মেয়রসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোন এলাকার মশক নিধন কার্যক্রমের কী অবস্থা তাৎক্ষণিক জানতে পারবেন। জনগণকে মশকনিধন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতেই এ ব্যবস্থা চালু করা হবে।

উত্তরে পুরাতন হলেও দক্ষিণে নতুন মেয়র এসেছেন। মাত্র কয়েকদিন আগেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি। গতবছর মেয়রের চেয়ারে থাকা সাঈদ খোকন মশা মারতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই তার চেয়ার থেকে সরানো হয়। তাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নবনিযুক্ত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মশা মারার ওপর বেশ জোর দিয়েছেন। তাপস বলেছেন, মশক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে যেসব পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তার সঠিক বাস্তবায়নে কোন অজুহাত গ্রহণযোগ্য হবে না। আমি ২৪ ঘণ্টার মেয়র। যেকোন সময় যেকোন কার্যক্রম পরিদর্শনে যাবো। মশক নিধনে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের পরামর্শ নেয়া হবে যা ৭ জুন থেকে শুরু হবে কার্যক্রম। ১৪ জুন থেকে দক্ষিণ সিটির জলাশয়, লেক, খাল শনাক্ত করে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো শুরু হবে। এক সঙ্গে নর্দমা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমও চালানো হবে। ডিএসসিসি এলাকাধীন এসবের মালিক সিটি করপোরেশন।

দক্ষিণের কর্ম পরিকল্পনা মধ্যে রয়েছে, খোলা জলাশয় ব্যবস্থাপনার আওতায় করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলের জলাশয়ের কচুরিপানা/আবর্জনা পরিষ্কারকরণ। প্রতি বিঘা জলাশয়ে আনুমানিক ৩০০০-৩৫০০টি তেলাপিয়া এবং ২৫টি হাঁস চাষকরণ। জলাশয়ে নিয়মিত জাল চালনা করা। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাধ্যমে সব নর্দমা পরিষ্কারকরণ। রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় প্রতিদিন প্রতি ওয়ার্ডে আটজন মশককর্মীর মাধ্যমে সকাল ৯টা হতে ১টা পর্যন্ত লার্ভিসাইডিং এবং প্রতিদিন প্রতি ওয়ার্ডে ১০ জন মশককর্মীর মাধ্যমে দুপুর আড়াইটা হতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ফগিং কার্যক্রম চালানো। সোর্স রিডাকশন কার্যক্রমের আওতায় অনলাইনে নগরবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতি ওয়ার্ডে তিনজন মশককর্মীর মাধ্যমে নাগরিকদের বাসা-কর্মস্থল প্রাঙ্গণে অ্যাডিসের প্রজননস্থল ধংস কার্যক্রম ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কার্যক্রম ইত্যাদি।