হোটেল-মোটেল খোলার প্রস্তুতি

স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কার্মশালা

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় করোনান সংক্রমণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে আগামী দিনে কিভাবে হোটেল-মোটেল খোলা রাখা যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। এ উদ্যেগে স্বাগত জানিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত সেবা দিয়ে পর্যটন শিল্পকে রক্ষা করার আহ্বান জানান পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী।

পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় করোনা সংক্রমণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে হোটেল-মোটেল মালিক ও কর্মচারীদের অনলাইন ভিত্তিক ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ আহবান জানান জেলা প্রশাসক। গতকাল বেলা এগারোটায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে আবাসিক হোটেল গ্রেভার ইন’র হলরুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদুজ্জামান সোহেলের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক, কুয়াকাটা পৌর মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা, কলাপাড়া উপজেলা সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা জগতবন্ধু মন্ডল, হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম মোতালেব শরীফ। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দুই শতাধিক মোটেল মালিক ও কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চিন্ময় হাওলাদার। আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলোতে পর্যটক এবং হোটেল স্টাফদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিতকরণ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন ওয়াহিদুজ্জামান সোহেল। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন রুমান ইমতিয়াজ তুষার। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) জাবেদ আহম্মেদ এবং ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের অনলাইন ভার্চুয়ালে সংযুক্ত থেকে প্রশিক্ষণ কর্মশালা মনিটরিং করেন। এ সময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন

কর্মশালায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে আগামী দিনে কিভাবে হোটেল-মোটেল খোলা রাখা যায় সে বিষয়ে এই প্রথম স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে ব্যবসা পরিচালনার বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড হোটেল মালিক কর্মচারীদের ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক এধরনের প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোশিয়েশনের নেতাদের ধন্যবাদ জানান।

গত ১৯ মার্চ থেকে জেলা প্রশাসন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতকে লকডাউন ঘোষণা করে। এরপর থেকেই বন্ধ রয়েছে প্রায় ২ শতাধিক হোটেল-মোটেলসহ পর্যটনমুখী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আর কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এর সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক-মালিক।

আরও খবর
মশক নিধন কার্যক্রম শুরু আজ থেকে
পরিবেশ সংরক্ষণে যত্নবান হলে ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেয়া সহজ হতো : তথ্যমন্ত্রী
বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. গোলাম কিবরিয়ার মৃত্যু
আম পরিবহনে ‘ম্যাংগো’ স্পেশাল ট্রেন
মানবিক সহায়তায় ৯ হাজার টন চাল ও ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ
স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী কেনাকাটায় অনিয়ম খতিয়ে দেখা হচ্ছে দুদক চেয়ারম্যান
মন্দায় টিকে থাকতে কৃষিখাতের ওপর জোর দিতে হবে মির্জা ফখরুল
চেয়ারম্যান রাঢ়ী গ্রেফতার
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তা তালিকায় বিত্তশালীদের নাম
জেলেরা নেই জেলে তালিকায়
গোয়েন্দা পুলিশের ওপর হামলা, ৮ আসামি ছিনতাই
স্নানযাত্রা উৎসব পালিত
সাত দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ
করোনা পরিস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠান, তিন জনকে জরিমানা
কক্সবাজার ‘রেড জোনে’ আবারও লকডাউন

শনিবার, ০৬ জুন ২০২০ , ২৩ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১৩ শাওয়াল ১৪৪১

কুয়াকাটায়

হোটেল-মোটেল খোলার প্রস্তুতি

স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কার্মশালা

প্রতিনিধি, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় করোনান সংক্রমণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে আগামী দিনে কিভাবে হোটেল-মোটেল খোলা রাখা যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। এ উদ্যেগে স্বাগত জানিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত সেবা দিয়ে পর্যটন শিল্পকে রক্ষা করার আহ্বান জানান পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী।

পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় করোনা সংক্রমণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে হোটেল-মোটেল মালিক ও কর্মচারীদের অনলাইন ভিত্তিক ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ আহবান জানান জেলা প্রশাসক। গতকাল বেলা এগারোটায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে আবাসিক হোটেল গ্রেভার ইন’র হলরুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদুজ্জামান সোহেলের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক, কুয়াকাটা পৌর মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা, কলাপাড়া উপজেলা সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা জগতবন্ধু মন্ডল, হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম মোতালেব শরীফ। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দুই শতাধিক মোটেল মালিক ও কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চিন্ময় হাওলাদার। আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলোতে পর্যটক এবং হোটেল স্টাফদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিতকরণ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেন ওয়াহিদুজ্জামান সোহেল। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন রুমান ইমতিয়াজ তুষার। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) জাবেদ আহম্মেদ এবং ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের অনলাইন ভার্চুয়ালে সংযুক্ত থেকে প্রশিক্ষণ কর্মশালা মনিটরিং করেন। এ সময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন

কর্মশালায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে আগামী দিনে কিভাবে হোটেল-মোটেল খোলা রাখা যায় সে বিষয়ে এই প্রথম স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে ব্যবসা পরিচালনার বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড হোটেল মালিক কর্মচারীদের ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক এধরনের প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোশিয়েশনের নেতাদের ধন্যবাদ জানান।

গত ১৯ মার্চ থেকে জেলা প্রশাসন কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতকে লকডাউন ঘোষণা করে। এরপর থেকেই বন্ধ রয়েছে প্রায় ২ শতাধিক হোটেল-মোটেলসহ পর্যটনমুখী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আর কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এর সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক-মালিক।