নির্ভীক করোনা যোদ্ধা স্বাস্থ্যকর্মী সরোয়ার

বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই)পদে কর্মরত সরোয়ার হোসেন সন্দেহজনক করোনা রোগীর স্যাম্পল গ্রহণ করে ইতোমধ্যে করোনা যোদ্ধা হিসেবে প্রচার পেয়েছেন। পঞ্চাশোর্ধ এ মানুষটি বাগেরহাটের যেকোন স্থানে করোনা স্যাম্পল সংগ্রহের প্রয়োজন পড়লে সেখানেই তার টিম নিয়ে ছুটে গিয়ে কাজটি সম্পন্ন করেন। বিশ^ব্যাপী আতঙ্কিত করোনা সংক্রমণের এই সঙ্কটময় সময়ে তার এই কর্তব্য কাজের সাহসিকতার বিষয়ে জানতে চাইলে সরোয়ার হোসেন এ প্রতিবেদক কে হাস্যোজ্জলভাবে বলেন- সৃষ্টির সেরা মানুষের স্বাস্থ্যসেবার এই মহৎ পেশায় চাকরি করছি দীর্ঘ বছর। দেশের এই সঙ্কটময় সময়ে কর্মস্থল হিসাবে বাগেরহাটে মানুষের সেবা করার সুযোগই আমাকে সাহস যোগায়। মানুষকে সচেতন করতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী হিসেবে নিজের সুরক্ষার প্রতি সচেতন থেকেই তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনের চেষ্টা করেন বলে তিনি জানান। সরোয়ার হোসেন নামের এই করোনা যোদ্ধা করোনা প্রতিরোধে এবং সুরক্ষা পেতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার বকসী সরোয়ার হোসেনের কর্তব্য কাজের সুনাম করে বলেন, করোনা সন্দেহজনক রোগীর স্যাম্পল গ্রহণের কাজে সরোয়ার হোসেনের নির্ভয়ে দায়িত্বপালন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের করোনা প্রতিরোধ সংগ্রামের জন্য অনেক বড় সহযোগিতা। করোনার এই সঙ্কটময় সময়ে তার নিরলস পরিশ্রম ও সাহসিকতা স্বাস্থ্য বিভাগের সকল সেবাকর্মীকে করোনা প্রতিরোধ কাজে অনুপ্রাণিত করছে।

সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন বলেন, করোনা ইস্যুর শুরু থেকে সরোয়ার হোসেন করোনা সন্দেহভাজনের নমুনা সংগ্রহ করছেন নির্ভয়ে। তার কর্তব্যকাজ প্রশংসার দাবি রাখে।

সোমবার, ০৮ জুন ২০২০ , ২৫ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১৫ শাওয়াল ১৪৪১

নির্ভীক করোনা যোদ্ধা স্বাস্থ্যকর্মী সরোয়ার

প্রতিনিধি, বাগেরহাট

image

বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই)পদে কর্মরত সরোয়ার হোসেন সন্দেহজনক করোনা রোগীর স্যাম্পল গ্রহণ করে ইতোমধ্যে করোনা যোদ্ধা হিসেবে প্রচার পেয়েছেন। পঞ্চাশোর্ধ এ মানুষটি বাগেরহাটের যেকোন স্থানে করোনা স্যাম্পল সংগ্রহের প্রয়োজন পড়লে সেখানেই তার টিম নিয়ে ছুটে গিয়ে কাজটি সম্পন্ন করেন। বিশ^ব্যাপী আতঙ্কিত করোনা সংক্রমণের এই সঙ্কটময় সময়ে তার এই কর্তব্য কাজের সাহসিকতার বিষয়ে জানতে চাইলে সরোয়ার হোসেন এ প্রতিবেদক কে হাস্যোজ্জলভাবে বলেন- সৃষ্টির সেরা মানুষের স্বাস্থ্যসেবার এই মহৎ পেশায় চাকরি করছি দীর্ঘ বছর। দেশের এই সঙ্কটময় সময়ে কর্মস্থল হিসাবে বাগেরহাটে মানুষের সেবা করার সুযোগই আমাকে সাহস যোগায়। মানুষকে সচেতন করতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী হিসেবে নিজের সুরক্ষার প্রতি সচেতন থেকেই তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালনের চেষ্টা করেন বলে তিনি জানান। সরোয়ার হোসেন নামের এই করোনা যোদ্ধা করোনা প্রতিরোধে এবং সুরক্ষা পেতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার বকসী সরোয়ার হোসেনের কর্তব্য কাজের সুনাম করে বলেন, করোনা সন্দেহজনক রোগীর স্যাম্পল গ্রহণের কাজে সরোয়ার হোসেনের নির্ভয়ে দায়িত্বপালন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের করোনা প্রতিরোধ সংগ্রামের জন্য অনেক বড় সহযোগিতা। করোনার এই সঙ্কটময় সময়ে তার নিরলস পরিশ্রম ও সাহসিকতা স্বাস্থ্য বিভাগের সকল সেবাকর্মীকে করোনা প্রতিরোধ কাজে অনুপ্রাণিত করছে।

সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন বলেন, করোনা ইস্যুর শুরু থেকে সরোয়ার হোসেন করোনা সন্দেহভাজনের নমুনা সংগ্রহ করছেন নির্ভয়ে। তার কর্তব্যকাজ প্রশংসার দাবি রাখে।