কোটালীপাড়া পৌরসভায় ড্রেনেজ সুবিধা নেই! দুর্ভোগ চরমে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার উপজেলার পৌর শহরে সড়কগুলোতে কোন ড্রেন সিস্টেম নেই। এতে পৌর নাগরিকদের নানা ধরনের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। শহরের সড়ক পাশ ধরে বাড়ি ঘর নির্মাণ করা হলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে নাগরিকদের পড়তে হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোট্ট শহর কোটালীপাড়া পৌরসভা। ১৯৯৭ সালে মাত্র ২.৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তন নিয়ে গড়ে তোলা হয় কোটালীপাড়া পৌরসভা। তবে মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী প্রস্তাবিত আয়তন ১১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বাগান উত্তরপাড় পৌর বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কটির পশ্চিম পাশের অধিকাংশ জায়গায় নিচু জলাভুমি গত কয়েক বছরে বালু দ্বারা ভরাট করে নতুন নতুন আবাসিক এলাকা হিসেবে বসতি গড়ে উঠছে। পূর্ব পাশে আগে থেকেই বাড়িঘর থাকায় ওই সড়কটির দুই পাশেই এখন ড্রেন নির্মাণ করা সময়ের দাবি হয়ে ওঠেছে। একই অবস্থা পশ্চিম পাড়সহ পুরো পৌরশহরের ৯টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ বড় ও ছোট সড়কগুলো। গত কয়েক এক দশকে কোটালীপাড়া পৌর শহরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষেরা এসে জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করার ফলে এখন পুরো পৌরশহরের সড়কগুলোর দুই পাশে আধুনিক মানের ড্রেন নির্মাণ করা প্রয়োজন।

বাগান উত্তরপাড়ের বাসিন্দা রঞ্জন কুমার বলেন, আমরা কয়েক বছর আগে রাস্তার কাছেই একটি জমি কিনে রেখেছি। কিন্তু সড়কে ড্রেন না থাকায় ওখানে বাড়ি করতে সাহস পাচ্ছি না। কারণ বাড়ি করলে বাড়ির ব্যবহৃত পানি ফেলানোর কোন স্থান নেই। তাই বাগান উত্তরপাড় থেকে পাড়কোনা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে ড্রেন নির্মাণ করা একান্ত প্রয়োজন।

একই ধরনের কথা বললেন পৌর নাগরিক গোপাল চন্দ্র। তিনি বলেন, আমরা হাসিনার লোক। কিন্তু কই আমার কোটালীপাড়ায় তো উন্নত কোন সুযোগ সুবিধা দেখি না। অন্য ছোট ছোট নেতার শহরগুলো কত উন্নত করে তৈরি করছে আর আমাগো কোটালীপাড়া তার ধারে কাছেও নাই। কোটালীপাড়া দেখলে কেউ বলবে না এটা প্রধানমন্ত্রীর শহর।-একই ধরনের কথা বললেন আরো বেশ কয়েকজন নাগরিক।

কোটালীপাড়া উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী রিপনচন্দ্র মল্লিক বলেন, আমাদের কোটালীপাড়া উপজেলারবাসী সংসদীয় প্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রী নিজে কিন্তু তিনি অনেক বছর ধরে ক্ষমতায় থাকলেও তার নিজ নির্বাচনী উপজেলার পৌর শহরের সড়কগুলোতে এখনও উন্নত ও আধুনিকমানের ড্রেন সিস্টেম তৈরি করতে পারেনি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। আমরা দাবি করছি, কোটালীপাড়ায় আগামী দুইশ বছরের বেশি টেকসই ও উন্নতমানের ড্রেন সিস্টেম নির্মাণ করা হোক। নাগরিকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এখানে উন্নতমানের ড্রেন নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে কোটালীপাড়া পৌর মেয়র কামাল হোসেন শেখ পৌর সড়কে ড্রেন নির্মাণ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কোটালীপাড়ায় আধনিক মানের ড্রেন নির্মাণের পরিকল্পনা আমাদের আছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’

image

গোপালগঞ্জ : পৌর এলাকার এই সড়কের দুই পাশে ড্রেন নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর -সংবাদ

আরও খবর
নলছিটিতে করোনা উপসর্গে মৃত্যু দুই
১০ জেলায় একদিনে করোনা শনাক্ত ৮০
১২৬৬ বস্তা সর. চাল জব্দ : ২ গুদাম সিলগালা

বুধবার, ১০ জুন ২০২০ , ২৭ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১৭ শাওয়াল ১৪৪১

কোটালীপাড়া পৌরসভায় ড্রেনেজ সুবিধা নেই! দুর্ভোগ চরমে

রবীন্দ্রনাথ অধিকারী, গোপালগঞ্জ

image

গোপালগঞ্জ : পৌর এলাকার এই সড়কের দুই পাশে ড্রেন নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর -সংবাদ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার উপজেলার পৌর শহরে সড়কগুলোতে কোন ড্রেন সিস্টেম নেই। এতে পৌর নাগরিকদের নানা ধরনের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। শহরের সড়ক পাশ ধরে বাড়ি ঘর নির্মাণ করা হলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে নাগরিকদের পড়তে হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোট্ট শহর কোটালীপাড়া পৌরসভা। ১৯৯৭ সালে মাত্র ২.৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তন নিয়ে গড়ে তোলা হয় কোটালীপাড়া পৌরসভা। তবে মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী প্রস্তাবিত আয়তন ১১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বাগান উত্তরপাড় পৌর বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়কটির পশ্চিম পাশের অধিকাংশ জায়গায় নিচু জলাভুমি গত কয়েক বছরে বালু দ্বারা ভরাট করে নতুন নতুন আবাসিক এলাকা হিসেবে বসতি গড়ে উঠছে। পূর্ব পাশে আগে থেকেই বাড়িঘর থাকায় ওই সড়কটির দুই পাশেই এখন ড্রেন নির্মাণ করা সময়ের দাবি হয়ে ওঠেছে। একই অবস্থা পশ্চিম পাড়সহ পুরো পৌরশহরের ৯টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ বড় ও ছোট সড়কগুলো। গত কয়েক এক দশকে কোটালীপাড়া পৌর শহরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষেরা এসে জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করার ফলে এখন পুরো পৌরশহরের সড়কগুলোর দুই পাশে আধুনিক মানের ড্রেন নির্মাণ করা প্রয়োজন।

বাগান উত্তরপাড়ের বাসিন্দা রঞ্জন কুমার বলেন, আমরা কয়েক বছর আগে রাস্তার কাছেই একটি জমি কিনে রেখেছি। কিন্তু সড়কে ড্রেন না থাকায় ওখানে বাড়ি করতে সাহস পাচ্ছি না। কারণ বাড়ি করলে বাড়ির ব্যবহৃত পানি ফেলানোর কোন স্থান নেই। তাই বাগান উত্তরপাড় থেকে পাড়কোনা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে ড্রেন নির্মাণ করা একান্ত প্রয়োজন।

একই ধরনের কথা বললেন পৌর নাগরিক গোপাল চন্দ্র। তিনি বলেন, আমরা হাসিনার লোক। কিন্তু কই আমার কোটালীপাড়ায় তো উন্নত কোন সুযোগ সুবিধা দেখি না। অন্য ছোট ছোট নেতার শহরগুলো কত উন্নত করে তৈরি করছে আর আমাগো কোটালীপাড়া তার ধারে কাছেও নাই। কোটালীপাড়া দেখলে কেউ বলবে না এটা প্রধানমন্ত্রীর শহর।-একই ধরনের কথা বললেন আরো বেশ কয়েকজন নাগরিক।

কোটালীপাড়া উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী রিপনচন্দ্র মল্লিক বলেন, আমাদের কোটালীপাড়া উপজেলারবাসী সংসদীয় প্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রী নিজে কিন্তু তিনি অনেক বছর ধরে ক্ষমতায় থাকলেও তার নিজ নির্বাচনী উপজেলার পৌর শহরের সড়কগুলোতে এখনও উন্নত ও আধুনিকমানের ড্রেন সিস্টেম তৈরি করতে পারেনি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। আমরা দাবি করছি, কোটালীপাড়ায় আগামী দুইশ বছরের বেশি টেকসই ও উন্নতমানের ড্রেন সিস্টেম নির্মাণ করা হোক। নাগরিকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এখানে উন্নতমানের ড্রেন নির্মাণ করা খুবই প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে কোটালীপাড়া পৌর মেয়র কামাল হোসেন শেখ পৌর সড়কে ড্রেন নির্মাণ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কোটালীপাড়ায় আধনিক মানের ড্রেন নির্মাণের পরিকল্পনা আমাদের আছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি।’