মিনেসোটায় টেনে নামানো হলো কলম্বাসের ভাস্কর্য

জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকা-কে ঘিরে চলমান বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী সেইন্ট পলে ইতালীয় অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাসের একটি ভাস্কর্যের মূলোৎপাটন করলেন বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনকারীরা। গত বুধবার মিনেসোটার কংগ্রেস ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। রয়টার্স।

বার্তা সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, এদিন এক দল আন্দোলনকারী ১০ ফুট উচ্চতার ব্রোঞ্জের ভাস্কর্যটি দড়ি দিয়ে টেনে এর গ্রানাইটের ভিত্তি থেকে ফেলে দেন। মিনেসোটাভিত্তিক স্থানীয় আদিবাসী আন্দোলনকারীরা এ কাজে নেতৃত্ব দেন। গত ২৫ মে মিনেসোটার মিনেপোলিস শহরে প্রকাশ্যে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার নির্যাতনে ৪৬ বছর বয়সী কৃষাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে উত্তাল বিক্ষোভ চলছে। পুলিশি নির্যাতন, বর্ণবাদ ও অসাম্যের বিরুদ্ধে এ প্রতিবাদ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হওয়া শহর মিনেপোলিস ও তার পাশের শহর সেইন্ট পলের (‘টুইন সিটিজ’ খ্যাত) বাসিন্দারাই গত বুধবার কলম্বাসের ভাস্কর্যের মূলোৎপাটন করেন। আলোকচিত্র সাংবাদিক ও টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসনরা এ ঘটনার ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন। এরপর ভিতের কাছে ভেঙে যাওয়া ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা।

এর আগের দিন মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডে কলম্বাসের একটি স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুর করে পাশের হ্রদে ফেলে দেয়া হয়। গত বুধবার ভোররাতে বস্টনে কলম্বাসের আরেকটি ভাস্কর্যের মাথা খুলে ভেঙে ফেলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্ল্যাক লাইভস মেটার’ আন্দোলনের পথ ধরে ঔপনিবেশিক আমলের নিপীড়কদের প্রত্যাখ্যান করার এ ঢেউ লেগেছে ইউরোপেও। গত রোববার ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল শহরে সপ্তদশ শতকের দাস ব্যবসায়ীর এডওয়ার্ড কোলস্টোনের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে সাগরে ফেলে দেয় বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস বারা থেকে ব্রিটিশ দাস ব্যবসায়ী রবার্ট মিলিগানের ভাস্কর্য সরানো হয়।

শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০ , ২৯ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১৯ শাওয়াল ১৪৪১

মিনেসোটায় টেনে নামানো হলো কলম্বাসের ভাস্কর্য

সংবাদ ডেস্ক |

জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকা-কে ঘিরে চলমান বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী সেইন্ট পলে ইতালীয় অভিযাত্রী ক্রিস্টোফার কলম্বাসের একটি ভাস্কর্যের মূলোৎপাটন করলেন বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনকারীরা। গত বুধবার মিনেসোটার কংগ্রেস ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। রয়টার্স।

বার্তা সংস্থাটি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, এদিন এক দল আন্দোলনকারী ১০ ফুট উচ্চতার ব্রোঞ্জের ভাস্কর্যটি দড়ি দিয়ে টেনে এর গ্রানাইটের ভিত্তি থেকে ফেলে দেন। মিনেসোটাভিত্তিক স্থানীয় আদিবাসী আন্দোলনকারীরা এ কাজে নেতৃত্ব দেন। গত ২৫ মে মিনেসোটার মিনেপোলিস শহরে প্রকাশ্যে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার নির্যাতনে ৪৬ বছর বয়সী কৃষাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে উত্তাল বিক্ষোভ চলছে। পুলিশি নির্যাতন, বর্ণবাদ ও অসাম্যের বিরুদ্ধে এ প্রতিবাদ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু হওয়া শহর মিনেপোলিস ও তার পাশের শহর সেইন্ট পলের (‘টুইন সিটিজ’ খ্যাত) বাসিন্দারাই গত বুধবার কলম্বাসের ভাস্কর্যের মূলোৎপাটন করেন। আলোকচিত্র সাংবাদিক ও টেলিভিশনের ক্যামেরা পারসনরা এ ঘটনার ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন। এরপর ভিতের কাছে ভেঙে যাওয়া ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা।

এর আগের দিন মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডে কলম্বাসের একটি স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুর করে পাশের হ্রদে ফেলে দেয়া হয়। গত বুধবার ভোররাতে বস্টনে কলম্বাসের আরেকটি ভাস্কর্যের মাথা খুলে ভেঙে ফেলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্ল্যাক লাইভস মেটার’ আন্দোলনের পথ ধরে ঔপনিবেশিক আমলের নিপীড়কদের প্রত্যাখ্যান করার এ ঢেউ লেগেছে ইউরোপেও। গত রোববার ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল শহরে সপ্তদশ শতকের দাস ব্যবসায়ীর এডওয়ার্ড কোলস্টোনের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে সাগরে ফেলে দেয় বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস বারা থেকে ব্রিটিশ দাস ব্যবসায়ী রবার্ট মিলিগানের ভাস্কর্য সরানো হয়।