উৎসে কর ০.২৫ শতাংশ রাখার অনুরোধ বিজিএমইএ’র

পোশাক খাতে উৎসে কর ০.২৫ শতাংশ রাখার অনুরোধ করেছে দেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের সমিটি বিজিএমইএ। গত বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন। বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মহামারীর কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা ও তৈরি পোশাক খাতের সহায়তায় সরকারের পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করলেও রপ্তানি মূল্যের উপর উৎসে কর ০.২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ০.৫ শতাংশ করায় কিছুটা নাখোশ পোশাক মালিকরা। তারা উৎসে কর ০.২৫ শতাংশ রাখার অনুরোধ করেন।

বিজিএমইএর এক বিবৃতিতে বলা হয়, যখন সমগ্র বিশ্ব করোনাভাইরাস মহামারীতে টালমাটাল। জনজীবন পর্যন্ত বিপর্যস্ত। ঠিক সে রকম এক অভূতপূর্ব সংকটের মধ্যে থেকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিজের দ্বিতীয় এবং দেশের ৪৯তম বাজেট ঘোষণা করলেন। বাজেট প্রস্তাবনায় তৈরি পোশাক শিল্প খাতে রপ্তানির বিপরীতে যে নগদ সহায়তাগুলো চালু আছে সেগুলো অব্যাহত রাখার এবং পাশাপাশি অতিরিক্ত ১ শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তাও অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গতবছর পোশাক শিল্পের আবেদনের প্রেক্ষিতে উৎসে কর কমিয়ে ০.২৫ শতাংশ হারে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল। শিল্পের এই কঠিন সময়ে উৎসে কর ০.২৫ শতাংশ হারে আরও ৫ বছর অব্যাহত রাখতে অর্থমন্ত্রীর প্রতি বিজিএমইএ বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী রপ্তানিমুখী শিল্পের পণ্য মূল্যের উপর উৎসে কর হার ০.২৫ শতাংশ বাড়িয়ে নতুন অর্থবছরে ০.৫০ শতাংশ হারে কাটার প্রস্তাব করেন। যদিও আয়কর অধ্যাদেশে এক শতাংশ হারে উৎসে করহার কর্তনের কথা বলা আছে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক। তিনি বলেন, বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই, বাজেট প্রস্তাবনায় আর্টিফিশিয়াল ফাইবার উৎপাদনকে কর হ্রাসের জন্য। যদিও রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের চাহিদার কারণে গত কয়েক দশকে আমাদের পশ্চাদসংযোগ শিল্প খাতটি উল্লেখযোগ্যভাবে বিকশিত হয়েছে, তবুও প্রাথমিক বস্ত্র খাত উৎপাদনের ক্ষেত্রে ম্যানমেড ফাইবার, পলিয়েস্টার, ভেজিটেবল ফাইবার ও অ্যানিমেল ফাইবার উৎপাদনে না গিয়ে কটন ফাইবার (প্রাকৃতিক তন্তু) উৎপাদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে।

শনিবার, ১৩ জুন ২০২০ , ৩০ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ২০ শাওয়াল ১৪৪১

উৎসে কর ০.২৫ শতাংশ রাখার অনুরোধ বিজিএমইএ’র

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

পোশাক খাতে উৎসে কর ০.২৫ শতাংশ রাখার অনুরোধ করেছে দেশের পোশাক রপ্তানিকারকদের সমিটি বিজিএমইএ। গত বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন। বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মহামারীর কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা ও তৈরি পোশাক খাতের সহায়তায় সরকারের পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করলেও রপ্তানি মূল্যের উপর উৎসে কর ০.২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ০.৫ শতাংশ করায় কিছুটা নাখোশ পোশাক মালিকরা। তারা উৎসে কর ০.২৫ শতাংশ রাখার অনুরোধ করেন।

বিজিএমইএর এক বিবৃতিতে বলা হয়, যখন সমগ্র বিশ্ব করোনাভাইরাস মহামারীতে টালমাটাল। জনজীবন পর্যন্ত বিপর্যস্ত। ঠিক সে রকম এক অভূতপূর্ব সংকটের মধ্যে থেকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিজের দ্বিতীয় এবং দেশের ৪৯তম বাজেট ঘোষণা করলেন। বাজেট প্রস্তাবনায় তৈরি পোশাক শিল্প খাতে রপ্তানির বিপরীতে যে নগদ সহায়তাগুলো চালু আছে সেগুলো অব্যাহত রাখার এবং পাশাপাশি অতিরিক্ত ১ শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তাও অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গতবছর পোশাক শিল্পের আবেদনের প্রেক্ষিতে উৎসে কর কমিয়ে ০.২৫ শতাংশ হারে পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল। শিল্পের এই কঠিন সময়ে উৎসে কর ০.২৫ শতাংশ হারে আরও ৫ বছর অব্যাহত রাখতে অর্থমন্ত্রীর প্রতি বিজিএমইএ বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী রপ্তানিমুখী শিল্পের পণ্য মূল্যের উপর উৎসে কর হার ০.২৫ শতাংশ বাড়িয়ে নতুন অর্থবছরে ০.৫০ শতাংশ হারে কাটার প্রস্তাব করেন। যদিও আয়কর অধ্যাদেশে এক শতাংশ হারে উৎসে করহার কর্তনের কথা বলা আছে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক। তিনি বলেন, বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই, বাজেট প্রস্তাবনায় আর্টিফিশিয়াল ফাইবার উৎপাদনকে কর হ্রাসের জন্য। যদিও রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের চাহিদার কারণে গত কয়েক দশকে আমাদের পশ্চাদসংযোগ শিল্প খাতটি উল্লেখযোগ্যভাবে বিকশিত হয়েছে, তবুও প্রাথমিক বস্ত্র খাত উৎপাদনের ক্ষেত্রে ম্যানমেড ফাইবার, পলিয়েস্টার, ভেজিটেবল ফাইবার ও অ্যানিমেল ফাইবার উৎপাদনে না গিয়ে কটন ফাইবার (প্রাকৃতিক তন্তু) উৎপাদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে।