অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হ্রাসে পুঁজিবাজারে আসতে নিরুৎসাহিত হওয়ার আশঙ্কা

আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যকার কর ব্যবধান বিদ্যমান ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। অথচ পুঁজিবাজারে কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করতে প্রতি বছরের বাজেট প্রস্তাবে স্টেকহোল্ডাররা তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করের ব্যবধান বাড়ানোর কথা বলে থাকেন। সেখানে এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে এ ব্যবধান কমানোর কারণে ভবিষ্যতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো আরও বেশি নিরুৎসাহিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রস্তাবিত বাজেটে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করের বিষয়ে বলা হয়েছে, বর্তমানে ব্যাংক, লিজিং কোম্পানি, বীমাসহ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফোন কোম্পানি এবং সিগারেট প্রস্তুতকারী কোম্পানি ব্যতীত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে করপোরেট করের হার ২৫ শতাংশ। আর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করপোরেট করের হার ৩৫ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে এটি কমিয়ে সাড়ে ৩২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার কথা বলেছেন। এক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর পরিশোধ করে পুঁজিবাজারে তিন বছরের জন্য এ অর্থ বিনিয়োগ করা হলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ সরকারের অন্য কোন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন করতে পারবে না। এ বছরের ১ জুলাই থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতারা পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন। তাছাড়া পুঁজিবাজার ছাড়াও ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতারা তাদের আয়কর রিটার্নে অপ্রদর্শিত জমি, বিল্ডিং, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্টের প্রতি বর্গমিটারের ওপর নির্দিষ্ট হারে এবং নগদ অর্থ, ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ড বা অন্য কোন সিকিউরিটিজের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর প্রদান সাপেক্ষে তা আয়কর রিটার্নে দেখাতে পারবেন। এক্ষেত্রে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ সরকারের অন্য কোন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন করতে পারবে না।

শনিবার, ১৩ জুন ২০২০ , ৩০ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ২০ শাওয়াল ১৪৪১

অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হ্রাসে পুঁজিবাজারে আসতে নিরুৎসাহিত হওয়ার আশঙ্কা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যকার কর ব্যবধান বিদ্যমান ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। অথচ পুঁজিবাজারে কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করতে প্রতি বছরের বাজেট প্রস্তাবে স্টেকহোল্ডাররা তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করের ব্যবধান বাড়ানোর কথা বলে থাকেন। সেখানে এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে এ ব্যবধান কমানোর কারণে ভবিষ্যতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো আরও বেশি নিরুৎসাহিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রস্তাবিত বাজেটে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করের বিষয়ে বলা হয়েছে, বর্তমানে ব্যাংক, লিজিং কোম্পানি, বীমাসহ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফোন কোম্পানি এবং সিগারেট প্রস্তুতকারী কোম্পানি ব্যতীত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে করপোরেট করের হার ২৫ শতাংশ। আর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করপোরেট করের হার ৩৫ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে এটি কমিয়ে সাড়ে ৩২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার কথা বলেছেন। এক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর পরিশোধ করে পুঁজিবাজারে তিন বছরের জন্য এ অর্থ বিনিয়োগ করা হলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ সরকারের অন্য কোন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন করতে পারবে না। এ বছরের ১ জুলাই থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতারা পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন। তাছাড়া পুঁজিবাজার ছাড়াও ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতারা তাদের আয়কর রিটার্নে অপ্রদর্শিত জমি, বিল্ডিং, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্টের প্রতি বর্গমিটারের ওপর নির্দিষ্ট হারে এবং নগদ অর্থ, ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ড বা অন্য কোন সিকিউরিটিজের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর প্রদান সাপেক্ষে তা আয়কর রিটার্নে দেখাতে পারবেন। এক্ষেত্রে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ সরকারের অন্য কোন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন করতে পারবে না।