করোনাভাইরাস শিশু শ্রমকে দীর্ঘায়িত করেছে

বর্তমানে সারাবিশ্বে প্রায় ১৫২ মিলিয়ন শিশু বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। এদের মধ্যে প্রায় ৭২ মিলিয়ন শিশু বিপদজ্জনক কাজের সঙ্গে জড়িত। বিশ্ব নেতারা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, করোনাভাইরাস আরও লাখো শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজের দিকে ঠেলে দিবে। এমনকি এখন যারা শ্রমের সঙ্গে জড়িত, তারাও এখন বেশ ঝুঁকির মধ্যে আছে এবং আগের চেয়ে আরও বেশি সময় কাজ করতে হচ্ছে। গতকাল বিশ্ব শিশুশ্রম বিরোধী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে আয়োজিত বিভিন্ন আলোচনা সভা ও প্রচারাভিযানে এসব তথ্য উঠে আসে উঠে আসে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) লক্ষ্য পূরণের জন্য ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম নির্মূল করার আহ্বানের মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়। এবারের বিশ্ব শিশু শ্রম বিরোধী দিবস ২০২০ শিশু শ্রমের কারণে বিভিন্ন প্রভাবকে গুরুত্ব দিয়ে পালিত হয়। বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযথভাবে পালিত হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগ ও আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক ব্যুরোর সহযোগিতায় উইনরক ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় অবস্থিত শুঁটকি মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে শিশু শ্রম হ্রাস এবং গ্রহণযোগ্য কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করছে। এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে শিশু শ্রম পরিস্থিতি উন্নত করতে অন্যান্য নাগরিক সমাজ ও সংস্থাগুলোকেও জড়িত করার কাজ করছে। মিডিয়া ও যোগাযোগের অংশীদার হিসেবে ক্লাইম্ব প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি) এই প্রচেষ্টায় অবদান রাখছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ২০১৫ সালের জরিপ অনুসারে, বাংলাদেশে প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন শিশু বিভিন্ন প্রকার শ্রমের সঙ্গে জড়িত আছে যদিও বাংলাদেশ শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন অব্যাহত রয়েছে।

শনিবার, ১৩ জুন ২০২০ , ৩০ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ২০ শাওয়াল ১৪৪১

করোনাভাইরাস শিশু শ্রমকে দীর্ঘায়িত করেছে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

বর্তমানে সারাবিশ্বে প্রায় ১৫২ মিলিয়ন শিশু বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। এদের মধ্যে প্রায় ৭২ মিলিয়ন শিশু বিপদজ্জনক কাজের সঙ্গে জড়িত। বিশ্ব নেতারা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, করোনাভাইরাস আরও লাখো শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজের দিকে ঠেলে দিবে। এমনকি এখন যারা শ্রমের সঙ্গে জড়িত, তারাও এখন বেশ ঝুঁকির মধ্যে আছে এবং আগের চেয়ে আরও বেশি সময় কাজ করতে হচ্ছে। গতকাল বিশ্ব শিশুশ্রম বিরোধী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে আয়োজিত বিভিন্ন আলোচনা সভা ও প্রচারাভিযানে এসব তথ্য উঠে আসে উঠে আসে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) লক্ষ্য পূরণের জন্য ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম নির্মূল করার আহ্বানের মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়। এবারের বিশ্ব শিশু শ্রম বিরোধী দিবস ২০২০ শিশু শ্রমের কারণে বিভিন্ন প্রভাবকে গুরুত্ব দিয়ে পালিত হয়। বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযথভাবে পালিত হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগ ও আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক ব্যুরোর সহযোগিতায় উইনরক ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় অবস্থিত শুঁটকি মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে শিশু শ্রম হ্রাস এবং গ্রহণযোগ্য কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করছে। এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে শিশু শ্রম পরিস্থিতি উন্নত করতে অন্যান্য নাগরিক সমাজ ও সংস্থাগুলোকেও জড়িত করার কাজ করছে। মিডিয়া ও যোগাযোগের অংশীদার হিসেবে ক্লাইম্ব প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি) এই প্রচেষ্টায় অবদান রাখছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ২০১৫ সালের জরিপ অনুসারে, বাংলাদেশে প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন শিশু বিভিন্ন প্রকার শ্রমের সঙ্গে জড়িত আছে যদিও বাংলাদেশ শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন অব্যাহত রয়েছে।