প্রায় প্রতিবছরই বাজেট প্রস্তাবের পর চাল ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। তবে গতকাল এমন ঘটনা ঘটেনি। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। অর্থাৎ বাজেটের প্রভাব পড়েনি। গতকাল কোন কোন পণ্যের দাম ৫-১০ টাকা বেড়েছে। তেমনি আবার কোনটার দাম কমেছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এই সামান্য দাম হ্রাস-বৃদ্ধির সঙ্গে বাজেটের কোন সম্পর্ক নেই। ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টি থাকায় সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে।
জাতীয় সংসদে গত বৃহস্পতিবার ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চাল, আটা, আলু, পিয়াজ, রসুন ইত্যাদি স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। একইভাবে তিনি রসুন ও চিনি আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন। তবে বাজারে এসব পণ্যের দামের কোন প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। রাজধানীর চাল ব্যবসায়ীরা বলেছেন, চালের দাম বেশ কিছু দিন যাবত কমেছে। তবে বাজেটের কারণে নতুন করে চালের দাম কমেনি। অন্যদিকে শুল্ক আরোপ করায় পিয়াজের দাম বাড়ার কথা থাকলেও দেশি ও আমদানি করা দুই ধরনের পিয়াজের দামই কমেছে। খুচরা পিয়াজ ব্যবসায়ীরা বলেছেন, কিছুদিন আগে ভারত থেকে পিয়াজ এসেছে। দেশি পিয়াজও পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। আর রোজা ও ঈদ চলে যাওয়ার কারণে পিয়াজের চাহিদাও আগের মতো নেই। এ কারণে পিয়াজের দাম কমেছে।
এদিকে বাজার আরও ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে বড় ও মাঝারি মানের মসুর ডালের দাম। তবে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে ছোট দানার মসুর ডালের দাম। কমার তালিকায় আছে আদা ও রসুনের দামও। কেজিতে ২০ টাকা কমে রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা করে। কেজিতে ১০-২০ টাকা কমে প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ১৪০-১৫০ টাকা। দাম কমার তালিকায় আছে জিরা, সয়াবিন তেল ও লবঙ্গ। আমদানি করা পিয়াজের দাম কমে এখন ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে আলুর দামও। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আলুর দাম গত বুধবার থেকেই কমেছে।
বাজারে সবজি ভরপুর থাকলেও গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে সবজির দাম বেড়ে গেছে। কেজিতে ১০ থেকে বেড়ে পটল, ঝিঙা, চিচিঙ্গা-ধন্দুল ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি টমেটো ১০ টাকা বেড়ে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে, ঢেঁড়স, কচুর লতি, বেগুন ৪০-৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের দাম। বর্তমানে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৪০-১৫০ টাকা, হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২৫ টাকা।
শনিবার, ১৩ জুন ২০২০ , ৩০ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ২০ শাওয়াল ১৪৪১
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |
প্রায় প্রতিবছরই বাজেট প্রস্তাবের পর চাল ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। তবে গতকাল এমন ঘটনা ঘটেনি। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। অর্থাৎ বাজেটের প্রভাব পড়েনি। গতকাল কোন কোন পণ্যের দাম ৫-১০ টাকা বেড়েছে। তেমনি আবার কোনটার দাম কমেছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এই সামান্য দাম হ্রাস-বৃদ্ধির সঙ্গে বাজেটের কোন সম্পর্ক নেই। ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টি থাকায় সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে।
জাতীয় সংসদে গত বৃহস্পতিবার ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চাল, আটা, আলু, পিয়াজ, রসুন ইত্যাদি স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। একইভাবে তিনি রসুন ও চিনি আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন। তবে বাজারে এসব পণ্যের দামের কোন প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। রাজধানীর চাল ব্যবসায়ীরা বলেছেন, চালের দাম বেশ কিছু দিন যাবত কমেছে। তবে বাজেটের কারণে নতুন করে চালের দাম কমেনি। অন্যদিকে শুল্ক আরোপ করায় পিয়াজের দাম বাড়ার কথা থাকলেও দেশি ও আমদানি করা দুই ধরনের পিয়াজের দামই কমেছে। খুচরা পিয়াজ ব্যবসায়ীরা বলেছেন, কিছুদিন আগে ভারত থেকে পিয়াজ এসেছে। দেশি পিয়াজও পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। আর রোজা ও ঈদ চলে যাওয়ার কারণে পিয়াজের চাহিদাও আগের মতো নেই। এ কারণে পিয়াজের দাম কমেছে।
এদিকে বাজার আরও ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে বড় ও মাঝারি মানের মসুর ডালের দাম। তবে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে ছোট দানার মসুর ডালের দাম। কমার তালিকায় আছে আদা ও রসুনের দামও। কেজিতে ২০ টাকা কমে রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা করে। কেজিতে ১০-২০ টাকা কমে প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ১৪০-১৫০ টাকা। দাম কমার তালিকায় আছে জিরা, সয়াবিন তেল ও লবঙ্গ। আমদানি করা পিয়াজের দাম কমে এখন ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় কমেছে আলুর দামও। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আলুর দাম গত বুধবার থেকেই কমেছে।
বাজারে সবজি ভরপুর থাকলেও গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে সবজির দাম বেড়ে গেছে। কেজিতে ১০ থেকে বেড়ে পটল, ঝিঙা, চিচিঙ্গা-ধন্দুল ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি টমেটো ১০ টাকা বেড়ে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে, ঢেঁড়স, কচুর লতি, বেগুন ৪০-৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের দাম। বর্তমানে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৪০-১৫০ টাকা, হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২৫ টাকা।