ব্রিফকেস হান্নান বাহিনীর কাহিনী, স্ত্রী পারভীনেরও রয়েছে নিজস্ব গ্রুপ

পুরনো ঢাকার অপরাধ জগতের আরেক ডন ব্রিফকেস হান্নান নামে পরিচিতি। তার রয়েছে নিজস্ব বাহিনী। কোন ব্যাংক থেকে কে টাকা নিয়ে বের হচ্ছে তা টার্গেট করে সুযোগ বুঝে লুট করা ব্রিফকেস হান্নান বাহিনীর কাজ। অপরাধ ঘটিয়ে ব্রিফকেস হান্নান আত্মগোপনে চলে যেত। পুরনো ঢাকা ও জিনজিরায় রয়েছে গোপন আস্তানা। অপরাধ করেই কিছুদিন আস্তানায় আত্মগোপন করে থাকে। এরপর শিকার টার্গেট হলে আবার বেরিয়ে আসে। সব খবরই পায় তার নিজস্ব সোর্স রয়েছে। সম্প্রতি গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অনুসন্ধানে ব্রিফকেস হান্নান চিহ্নিত ও গ্রেফতার হয়েছে। তার বাহিনীর আস্তানা থেকে ন্যাশনাল ব্যাংকের লুট হওয়া ৮০ লাখ টাকার মধ্যে ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসছে অপরাধ জগতের নানা চাঞ্চল্যকর কাহিনী। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ব্রিফকেস হান্নান বাহিনীর পলাতক সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। হান্নান ও তার গ্রুপের সদস্যরা গত ১০ মে দুপুরে প্রকাশে পুরনো ঢাকার ইসলামপুর এলাকা থেকে ন্যাশনাল ব্যাংকের ৮০ লাখ টাকা লুট করেছিল।

গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম জানান, ব্রিফকেস হান্নানের বিরুদ্বে ৩০টি মামলা রয়েছে। ছোটখাট চুরি দিয়ে তার অপরাধ শুরু হয়। এরপর সে নিজেই একটি গ্রুপ তৈরি করে। হান্নান কখনো ঝামেলায় পড়লে তার স্ত্রী পারভীন গ্রুপ চালাত। লুটের টাকা তার কাছে থাকত। তার গ্রুপেও রয়েছে ৮ থেকে ১০ অপরাধী। তাদের টার্গেট ইসলামপুর, সদরঘাট, মিটফোর্ড, চকবাজারসহ পুরনো ঢাকার পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ী ও তাদের লোকজন কখন টাকা নিয়ে বের হয়। ওই সময় তাদের পিছু নেয়া। এরপর সুযোগ বুঝে টাকা ভর্তি ব্রিফকেস বা ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যেত।

ডিবি কর্মকর্তারা জানান, গোয়েন্দা পুলিশ ইসলামপুরে ন্যাশনাল ব্যাংকের ৮০ লাখ টাকা লুটের অনুসন্ধান তদন্ত করতে গিয়ে ঘটনাস্থল ও আশপাশের ভবনের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে। এরপর ফুটেজ ধরে তারা তথ্যাবলী খতিয়ে দেখতে শুরু করে। ফুটেজগুলো বিশ্লেষণ করে একটি ফুটেজে খুঁজে পেয়েছে এক ব্যক্তি থামানো গাড়ি থেকে একটি বস্তা নিয়ে রিকশাযোগে চলে যাচ্ছে। কিন্তু তার ছবি ঠিকমত দেখা যাচ্ছে না। মুখটা অস্পষ্ট। এরপর ডিবি অন্য ভবনের ফুটেজ সংগ্রহ করে। এভাবে আশপাশের শতাধিক ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখে ওই ব্যক্তির মুখের একটি ছবি স্পষ্ট পাওয়া যায়। এরপর তাকে শনাক্ত করার চেষ্টা করে। কে এ ব্যক্তি। কি তার পরিচয়। পুলিশের ডাইরিতে থাকা অপরাধীদের ছবির সঙ্গে মেলানোর পর দেখা যায় টাকার বস্তা নিয়ে যাওয়া যুবকই হান্নান। এরপর পুলিশ হান্নানের অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ তদন্তে নামে। হান্নানের পুরনো একটি মোবাইল নম্বর পায় পুলিশ। তবে নম্বরটি বার বার বন্ধ পায়। সে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে চলে। এরপর পুলিশ নতুন কৌশল অবম্বন করে। পুলিশ অনুসন্ধানে জানতে পারে হান্নানের এক স্ত্রীর নাম পারভীন। তার এক ভাইও আছে। পুলিশ হান্নানের এক আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সে জানায়, ব্যাংকের লুট হওয়া ৮০ লাখ টাকা সম্পর্কে হান্নানের স্ত্রী পারভীন জানে। সে ঢাকায় নেই। থাকে শরীয়তপুর। পুলিশের তদন্ত দল যায় শরীয়তপুর। সেখানে দুই/তিন দফা অভিযান চালানোর পর এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পারভীনকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পারভীন বলে, ন্যাশনাল ব্যাংকের ২০ লাখ টাকা তারা ইতোমধ্যে খরচ করে ফেলেছে। বাকি টাকা ঢাকায় তার বাসায় আছে। আর হান্নান আছে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। এরপর পুলিশ দল পারভীনকে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছে ধোলাই খালে বাসায় অভিযান চালিয়ে খাটের নিচ থেকে ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার করে। পুলিশের আরেকটি টিম ভৈরবে অভিযান চালিয়ে হান্নানকে গ্রেফতার করে। হান্নান ৮০ লাখ টাকা লুটের কাহিনী বর্ণনা করে।

হান্নান জিজ্ঞাসাবাদে বলে, ব্যাংকের টাকার ওই গাড়িটি তার দল অনেক সময় ধরে অনুসরণ করে। গাড়িটি ইসলামপুর ন্যাশনাল ব্যাংকের সামনে থামিয়ে ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা ও একজন সিকিউরিটি গার্ড ভেতরে চলে যায়। তখন গাড়িতে ড্রাইভার, একজন সিকিউরিটি ছিল। টাকার বস্তা গাড়ির ভেতরে ছিল। হান্নানের সঙ্গে থাকা অন্যরা মিলে ড্রাইভার ও সিকিউরিটি গার্ডের সঙ্গে ভাব জমিয়ে কথা বলে। এরপর চালককে কৌশলে ব্যাংকের ভেতরে পাঠান। ড্রাইভার গাড়ি রেখে ভেতরে গেলে হান্নানের সহযোগীরা বিভিন্ন ধরনের কথা বলে গার্ডকে অন্যমনস্ক রাখে। আর সুযোগ বুঝে গাড়ির দরজা খুলে টাকার বস্তাটি নিয়ে হান্নান রিকশাযোগে তার বাসায় চলে যায়। এরপর সুযোগ বুঝে দলের অন্য সদস্যরা স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। লুটকৃত টাকার মধ্যে ২০ লাখ টাকা খরচ করা হয়। আর কিছু টাকা দলের সদস্যদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে দেয়। আর কিছু টাকা দিয়ে মামলা খরচসহ অন্য কাজে লাগিয়েছে বলে হান্নানের দাবি। তার এ সব তথ্য পুলিশ তদন্ত করছেন।

ব্রিফকেস হান্নানের দেয়া তথ্য মতে, তার বাসা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোস্তফাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এভাবে ডিবির টিম ঘটনার পর থেকে টানা অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করে।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত পারভীন, মোস্তাফা, বাবুল মিয়া অপরাধ নিয়ে নানা তথ্য দিয়েছে। তার প্রত্যেকটি তথ্য সত্যতা নিশ্চিত করতে পুলিশ তদন্ত করছেন। তবে ডিবির অনুসন্ধান তদন্তে ব্যাংকের লুটকৃত ৬০ লাখ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, হান্নান তার অপকর্মের কথা স্বীকার করেছে। আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বলে ডিবি কর্মকর্তারা জানান।

আরও খবর
নিত্যপণ্যের বাজারে বাজেটের প্রভাব পড়েনি
অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম শীঘ্রই বাজারে আসছে
সৌদি আরবে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরাতে দূতাবাসের উদ্যোগ
ভার্চুয়াল কোর্টে ৪৮৯ শিশুর জামিন
করোনা কেড়ে নেয় প্রিয়জনকে ছুঁয়ে কান্না করার অধিকারও
মোহাম্মদ নাসিমের জীবন এখন ‘সংকটাপন্ন’
দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি বিশিষ্টজনের
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী করোনা আক্রান্ত
অ্যাডিস মশা নিয়ন্ত্রণে চিরনি অভিযান : সাত দিনে ১০ লাখ টাকা জরিমানা
না’গঞ্জ বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলের ১৬শ’ শিক্ষার্থীর দু’মাসের বেতন মওকুফ
কিস্তি পরিশোধের চাপে দিশেহারা উপকূলের মানুষ
করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ২ চিকিৎসকের মৃত্যু
সরকারি হাসপাতালে করোনায় কাবু অর্ধশত নার্স
খাবারের সন্ধানে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেল বন্য হাতি

শনিবার, ১৩ জুন ২০২০ , ৩০ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ২০ শাওয়াল ১৪৪১

পুরান ঢাকার ডন

ব্রিফকেস হান্নান বাহিনীর কাহিনী, স্ত্রী পারভীনেরও রয়েছে নিজস্ব গ্রুপ

বাকী বিল্লাহ

পুরনো ঢাকার অপরাধ জগতের আরেক ডন ব্রিফকেস হান্নান নামে পরিচিতি। তার রয়েছে নিজস্ব বাহিনী। কোন ব্যাংক থেকে কে টাকা নিয়ে বের হচ্ছে তা টার্গেট করে সুযোগ বুঝে লুট করা ব্রিফকেস হান্নান বাহিনীর কাজ। অপরাধ ঘটিয়ে ব্রিফকেস হান্নান আত্মগোপনে চলে যেত। পুরনো ঢাকা ও জিনজিরায় রয়েছে গোপন আস্তানা। অপরাধ করেই কিছুদিন আস্তানায় আত্মগোপন করে থাকে। এরপর শিকার টার্গেট হলে আবার বেরিয়ে আসে। সব খবরই পায় তার নিজস্ব সোর্স রয়েছে। সম্প্রতি গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অনুসন্ধানে ব্রিফকেস হান্নান চিহ্নিত ও গ্রেফতার হয়েছে। তার বাহিনীর আস্তানা থেকে ন্যাশনাল ব্যাংকের লুট হওয়া ৮০ লাখ টাকার মধ্যে ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসছে অপরাধ জগতের নানা চাঞ্চল্যকর কাহিনী। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ব্রিফকেস হান্নান বাহিনীর পলাতক সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। হান্নান ও তার গ্রুপের সদস্যরা গত ১০ মে দুপুরে প্রকাশে পুরনো ঢাকার ইসলামপুর এলাকা থেকে ন্যাশনাল ব্যাংকের ৮০ লাখ টাকা লুট করেছিল।

গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম জানান, ব্রিফকেস হান্নানের বিরুদ্বে ৩০টি মামলা রয়েছে। ছোটখাট চুরি দিয়ে তার অপরাধ শুরু হয়। এরপর সে নিজেই একটি গ্রুপ তৈরি করে। হান্নান কখনো ঝামেলায় পড়লে তার স্ত্রী পারভীন গ্রুপ চালাত। লুটের টাকা তার কাছে থাকত। তার গ্রুপেও রয়েছে ৮ থেকে ১০ অপরাধী। তাদের টার্গেট ইসলামপুর, সদরঘাট, মিটফোর্ড, চকবাজারসহ পুরনো ঢাকার পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ী ও তাদের লোকজন কখন টাকা নিয়ে বের হয়। ওই সময় তাদের পিছু নেয়া। এরপর সুযোগ বুঝে টাকা ভর্তি ব্রিফকেস বা ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যেত।

ডিবি কর্মকর্তারা জানান, গোয়েন্দা পুলিশ ইসলামপুরে ন্যাশনাল ব্যাংকের ৮০ লাখ টাকা লুটের অনুসন্ধান তদন্ত করতে গিয়ে ঘটনাস্থল ও আশপাশের ভবনের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে। এরপর ফুটেজ ধরে তারা তথ্যাবলী খতিয়ে দেখতে শুরু করে। ফুটেজগুলো বিশ্লেষণ করে একটি ফুটেজে খুঁজে পেয়েছে এক ব্যক্তি থামানো গাড়ি থেকে একটি বস্তা নিয়ে রিকশাযোগে চলে যাচ্ছে। কিন্তু তার ছবি ঠিকমত দেখা যাচ্ছে না। মুখটা অস্পষ্ট। এরপর ডিবি অন্য ভবনের ফুটেজ সংগ্রহ করে। এভাবে আশপাশের শতাধিক ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখে ওই ব্যক্তির মুখের একটি ছবি স্পষ্ট পাওয়া যায়। এরপর তাকে শনাক্ত করার চেষ্টা করে। কে এ ব্যক্তি। কি তার পরিচয়। পুলিশের ডাইরিতে থাকা অপরাধীদের ছবির সঙ্গে মেলানোর পর দেখা যায় টাকার বস্তা নিয়ে যাওয়া যুবকই হান্নান। এরপর পুলিশ হান্নানের অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ তদন্তে নামে। হান্নানের পুরনো একটি মোবাইল নম্বর পায় পুলিশ। তবে নম্বরটি বার বার বন্ধ পায়। সে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে চলে। এরপর পুলিশ নতুন কৌশল অবম্বন করে। পুলিশ অনুসন্ধানে জানতে পারে হান্নানের এক স্ত্রীর নাম পারভীন। তার এক ভাইও আছে। পুলিশ হান্নানের এক আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সে জানায়, ব্যাংকের লুট হওয়া ৮০ লাখ টাকা সম্পর্কে হান্নানের স্ত্রী পারভীন জানে। সে ঢাকায় নেই। থাকে শরীয়তপুর। পুলিশের তদন্ত দল যায় শরীয়তপুর। সেখানে দুই/তিন দফা অভিযান চালানোর পর এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পারভীনকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পারভীন বলে, ন্যাশনাল ব্যাংকের ২০ লাখ টাকা তারা ইতোমধ্যে খরচ করে ফেলেছে। বাকি টাকা ঢাকায় তার বাসায় আছে। আর হান্নান আছে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। এরপর পুলিশ দল পারভীনকে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছে ধোলাই খালে বাসায় অভিযান চালিয়ে খাটের নিচ থেকে ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার করে। পুলিশের আরেকটি টিম ভৈরবে অভিযান চালিয়ে হান্নানকে গ্রেফতার করে। হান্নান ৮০ লাখ টাকা লুটের কাহিনী বর্ণনা করে।

হান্নান জিজ্ঞাসাবাদে বলে, ব্যাংকের টাকার ওই গাড়িটি তার দল অনেক সময় ধরে অনুসরণ করে। গাড়িটি ইসলামপুর ন্যাশনাল ব্যাংকের সামনে থামিয়ে ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা ও একজন সিকিউরিটি গার্ড ভেতরে চলে যায়। তখন গাড়িতে ড্রাইভার, একজন সিকিউরিটি ছিল। টাকার বস্তা গাড়ির ভেতরে ছিল। হান্নানের সঙ্গে থাকা অন্যরা মিলে ড্রাইভার ও সিকিউরিটি গার্ডের সঙ্গে ভাব জমিয়ে কথা বলে। এরপর চালককে কৌশলে ব্যাংকের ভেতরে পাঠান। ড্রাইভার গাড়ি রেখে ভেতরে গেলে হান্নানের সহযোগীরা বিভিন্ন ধরনের কথা বলে গার্ডকে অন্যমনস্ক রাখে। আর সুযোগ বুঝে গাড়ির দরজা খুলে টাকার বস্তাটি নিয়ে হান্নান রিকশাযোগে তার বাসায় চলে যায়। এরপর সুযোগ বুঝে দলের অন্য সদস্যরা স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। লুটকৃত টাকার মধ্যে ২০ লাখ টাকা খরচ করা হয়। আর কিছু টাকা দলের সদস্যদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে দেয়। আর কিছু টাকা দিয়ে মামলা খরচসহ অন্য কাজে লাগিয়েছে বলে হান্নানের দাবি। তার এ সব তথ্য পুলিশ তদন্ত করছেন।

ব্রিফকেস হান্নানের দেয়া তথ্য মতে, তার বাসা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোস্তফাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এভাবে ডিবির টিম ঘটনার পর থেকে টানা অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করে।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত পারভীন, মোস্তাফা, বাবুল মিয়া অপরাধ নিয়ে নানা তথ্য দিয়েছে। তার প্রত্যেকটি তথ্য সত্যতা নিশ্চিত করতে পুলিশ তদন্ত করছেন। তবে ডিবির অনুসন্ধান তদন্তে ব্যাংকের লুটকৃত ৬০ লাখ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে, হান্নান তার অপকর্মের কথা স্বীকার করেছে। আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বলে ডিবি কর্মকর্তারা জানান।