অক্সিজেন নিয়ে কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের প্রেক্ষিতে দেশে এবার অক্সিজেন সিলিন্ডার, পালস অক্সিমিটার, জীবনরক্ষাকারী বিভিন্ন ওষুধের দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার পেছনে একাধিক সিন্ডিকেট কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিন মাস আগেও যে অক্সিজেন সিলিন্ডার ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হতো সেটার দাম বেড়ে এখন হয়েছে ২৬ হাজার টাকা। জ্বর কমানো বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ওষুধ নিয়েও কারসাজি চলছে। নির্ধারিত দামে ওষুধ মিলছে না। দ্বিগুণ-তিনগুণ দাম দিলে ঠিকই ওষুধ মেলে। প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের দাম বাড়ায় চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে, সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।

চিকিৎসাসামগ্রী বা ওষুধের দাম আলু-পটোলের মতো বাড়ানোর সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে সরকারের নিয়মনীতি মেনে চলতে হয়। বাস্তবে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী নিয়মনীতি মানছেন না, তাদের মধ্যে নীতি-নৈতিকতার লেশমাত্র নেই। সুযোগ বুঝে তারা জনগণের পকেট কাটছে। এর আগে করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ, মাস্ক, পিপিই প্রভৃতির দাম বাড়তে দেখা গেছে। নিত্যপণ্যের দামও বেড়ে গিয়েছিল। তখন কোভিড-১৯ রোগের বিস্তার বাড়ায় অক্সিজনসহ বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়ছে। লাগামহীন দাম বাড়ার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রেও। বহু বেসরকারি হাসপাতাল কোভিড, নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। অথচ কোন হাসপাতালের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

আমরা বলতে চাই, অক্সিজেন ও ওষুধসহ কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসা-সংশ্লিষ্ট পণ্যের দামে লাগাম টানতে হবে। যারা দাম বাড়িয়ে বা পণ্যের মজুত বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব হাসপাতাল সরকারের নির্দেশ অমান্য করে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

অক্সিজেন বা চিকিৎসাসংক্রান্ত কোন সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। কারণ চিকিৎকের পরামর্শ ছাড়া অক্সিজেন ব্যবহারের ফলে অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুও ঘটতে পারে। যাদের আদতে অক্সিজেন প্রয়োজন নেই তারা যদি কিনে মজুত করতে থাকেন তাহলে প্রকৃত রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অক্সিজেনের যথার্থ ব্যবহার সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হবে।

শনিবার, ১৩ জুন ২০২০ , ৩০ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ২০ শাওয়াল ১৪৪১

অক্সিজেন নিয়ে কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের প্রেক্ষিতে দেশে এবার অক্সিজেন সিলিন্ডার, পালস অক্সিমিটার, জীবনরক্ষাকারী বিভিন্ন ওষুধের দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার পেছনে একাধিক সিন্ডিকেট কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিন মাস আগেও যে অক্সিজেন সিলিন্ডার ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হতো সেটার দাম বেড়ে এখন হয়েছে ২৬ হাজার টাকা। জ্বর কমানো বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ওষুধ নিয়েও কারসাজি চলছে। নির্ধারিত দামে ওষুধ মিলছে না। দ্বিগুণ-তিনগুণ দাম দিলে ঠিকই ওষুধ মেলে। প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের দাম বাড়ায় চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে, সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।

চিকিৎসাসামগ্রী বা ওষুধের দাম আলু-পটোলের মতো বাড়ানোর সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে সরকারের নিয়মনীতি মেনে চলতে হয়। বাস্তবে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী নিয়মনীতি মানছেন না, তাদের মধ্যে নীতি-নৈতিকতার লেশমাত্র নেই। সুযোগ বুঝে তারা জনগণের পকেট কাটছে। এর আগে করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ, মাস্ক, পিপিই প্রভৃতির দাম বাড়তে দেখা গেছে। নিত্যপণ্যের দামও বেড়ে গিয়েছিল। তখন কোভিড-১৯ রোগের বিস্তার বাড়ায় অক্সিজনসহ বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়ছে। লাগামহীন দাম বাড়ার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রেও। বহু বেসরকারি হাসপাতাল কোভিড, নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। অথচ কোন হাসপাতালের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

আমরা বলতে চাই, অক্সিজেন ও ওষুধসহ কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসা-সংশ্লিষ্ট পণ্যের দামে লাগাম টানতে হবে। যারা দাম বাড়িয়ে বা পণ্যের মজুত বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব হাসপাতাল সরকারের নির্দেশ অমান্য করে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

অক্সিজেন বা চিকিৎসাসংক্রান্ত কোন সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। কারণ চিকিৎকের পরামর্শ ছাড়া অক্সিজেন ব্যবহারের ফলে অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুও ঘটতে পারে। যাদের আদতে অক্সিজেন প্রয়োজন নেই তারা যদি কিনে মজুত করতে থাকেন তাহলে প্রকৃত রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অক্সিজেনের যথার্থ ব্যবহার সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হবে।