বাঁশের সাঁকোতে পারাপার আর কতদিন

কুড়িগ্রামের রৌমারী শাপলা চত্বর থেকে খাঁটিয়ামারী জিঞ্জিরাম নদী পর্যন্ত ২ কিলোমিটার একটি পাকা সড়ক। রৌমারী সদরের পূর্বে খাঁটিয়ামারী, রতনপুর, চর বামনেরচর, মোল্লার চর, বেহুলার চর, সুতির পাড়, মাঝিপাড়া (সবুজপাড়া) গ্রামের মানুষের চলাচল ও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র সড়ক এটি।

উল্লেখ্য, রৌমারীর অদূরে ২০০৫ সালে সড়কের মাঝিপাড়া (সবুজপাড়া) গ্রামের পূর্ব পাশে আলমের বাড়িসংলগ্ন খালের ওপর এলজিইডির অর্থায়নে একটি সস্নুইসগেট নির্মাণ করা হয় ও খালের বাকি অংশ মাটি ভরাট করে সড়ক তৈরী করা হয়। পরের বছরই ২০০৬ সালের বন্যায় স্লুইস গেটটি অক্ষত থাকলেও সড়কের মাটি ভরাটকৃত অংশটুকু ভেঙে যায়। এর কয়েক বছর পর অন্তত দুইবার মাটি ভরাট করে পুনঃমেরামত করা হলে সর্বশেষ ২০১৪ সালের বন্যায় সড়কের ওই অংশটুকু আবারও ভেঙে যায়। পরর্বতীতে একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হলে সড়কটি পুনঃসংস্কার বা সেতু নির্মাণে আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি আজও।

প্রায় দীর্ঘ ৭ বছর ধরে সবুজপাড়ার (মাঝিপাড়া) আলমের বাড়ি সংলগ্ন স্লুইস গেটের বাঁশের সাঁকো প্রতিদিন সবুজ পাড়া (আংশিক), সুতিরপাড়, চর বামনেরচর, বেহুলার চর, মোল্লার চর, রতনপুর, খাঁটিয়ামারী­ অবহেলিত ৭টি গ্রামের মানুষ সারা বছর পয়সা গুনে, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। এজন্য জনপ্রতি ২/৫ টাকা, ভ্যান প্রতি ১০/২০ টাকা করে টোল গুনতে হচ্ছে প্রতিদিন। এতে হাট-বাজার, কৃষিপণ্য বেচা-কেনা, শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ, ভ্যান-সাইকেল ও সাধারণ চলাচলের নানা সমস্যাসহ মাঝেমধ্যে ছোটখাটো র্দূঘটনাও ঘটছে। বাধ্য হয়ে ভারী মালবাহী ট্রাক, ট্রলি বিকল্প সড়ক হিসেবে তুরা রোড ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে পরিবহণ খরচও দ্বিগুণ বেড়ে যাচ্ছে। এদিকে সংস্কারের অভাবে পুরো সড়কটি খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও সড়ক ভেঙে সরু হয়ে একবোরেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দুঃখের বিষয়, ২০১২ সালে সড়কটি পাকা করণের পর তা আর পুনঃসংস্কার করা হয়নি।

এলাকাবাসীর প্রশ্ন, মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা ও তাঁর বাড়ির সন্নিকিটের সড়কটি সংস্কারে কেন অবহেলা ও ওই বাঁশের সাঁকোটির স্থানে একটি সেতু নির্মাণে প্রকল্প গৃহীত হচ্ছে না তা এলাকাবাসীর বোধগম্য নয়।

এলাকাবাসীর দাবি, আসন্ন বন্যার আগেই পুরো সড়কটি সংস্কারসহ ভাঙনকবলিত স্থানটি মাটি দিয়ে আর ভরাট না করে একটি সেতু নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণে যথাযথ উদ্যোগ নিতে মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহোদয় ও সরকারের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

নূর মোহাম্মদ দীন

চর বামনেরচর, রৌমারী, কুড়িগ্রাম।

শনিবার, ১৩ জুন ২০২০ , ৩০ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ২০ শাওয়াল ১৪৪১

বাঁশের সাঁকোতে পারাপার আর কতদিন

কুড়িগ্রামের রৌমারী শাপলা চত্বর থেকে খাঁটিয়ামারী জিঞ্জিরাম নদী পর্যন্ত ২ কিলোমিটার একটি পাকা সড়ক। রৌমারী সদরের পূর্বে খাঁটিয়ামারী, রতনপুর, চর বামনেরচর, মোল্লার চর, বেহুলার চর, সুতির পাড়, মাঝিপাড়া (সবুজপাড়া) গ্রামের মানুষের চলাচল ও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র সড়ক এটি।

উল্লেখ্য, রৌমারীর অদূরে ২০০৫ সালে সড়কের মাঝিপাড়া (সবুজপাড়া) গ্রামের পূর্ব পাশে আলমের বাড়িসংলগ্ন খালের ওপর এলজিইডির অর্থায়নে একটি সস্নুইসগেট নির্মাণ করা হয় ও খালের বাকি অংশ মাটি ভরাট করে সড়ক তৈরী করা হয়। পরের বছরই ২০০৬ সালের বন্যায় স্লুইস গেটটি অক্ষত থাকলেও সড়কের মাটি ভরাটকৃত অংশটুকু ভেঙে যায়। এর কয়েক বছর পর অন্তত দুইবার মাটি ভরাট করে পুনঃমেরামত করা হলে সর্বশেষ ২০১৪ সালের বন্যায় সড়কের ওই অংশটুকু আবারও ভেঙে যায়। পরর্বতীতে একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হলে সড়কটি পুনঃসংস্কার বা সেতু নির্মাণে আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি আজও।

প্রায় দীর্ঘ ৭ বছর ধরে সবুজপাড়ার (মাঝিপাড়া) আলমের বাড়ি সংলগ্ন স্লুইস গেটের বাঁশের সাঁকো প্রতিদিন সবুজ পাড়া (আংশিক), সুতিরপাড়, চর বামনেরচর, বেহুলার চর, মোল্লার চর, রতনপুর, খাঁটিয়ামারী­ অবহেলিত ৭টি গ্রামের মানুষ সারা বছর পয়সা গুনে, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। এজন্য জনপ্রতি ২/৫ টাকা, ভ্যান প্রতি ১০/২০ টাকা করে টোল গুনতে হচ্ছে প্রতিদিন। এতে হাট-বাজার, কৃষিপণ্য বেচা-কেনা, শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ, ভ্যান-সাইকেল ও সাধারণ চলাচলের নানা সমস্যাসহ মাঝেমধ্যে ছোটখাটো র্দূঘটনাও ঘটছে। বাধ্য হয়ে ভারী মালবাহী ট্রাক, ট্রলি বিকল্প সড়ক হিসেবে তুরা রোড ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে পরিবহণ খরচও দ্বিগুণ বেড়ে যাচ্ছে। এদিকে সংস্কারের অভাবে পুরো সড়কটি খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও সড়ক ভেঙে সরু হয়ে একবোরেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দুঃখের বিষয়, ২০১২ সালে সড়কটি পাকা করণের পর তা আর পুনঃসংস্কার করা হয়নি।

এলাকাবাসীর প্রশ্ন, মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা ও তাঁর বাড়ির সন্নিকিটের সড়কটি সংস্কারে কেন অবহেলা ও ওই বাঁশের সাঁকোটির স্থানে একটি সেতু নির্মাণে প্রকল্প গৃহীত হচ্ছে না তা এলাকাবাসীর বোধগম্য নয়।

এলাকাবাসীর দাবি, আসন্ন বন্যার আগেই পুরো সড়কটি সংস্কারসহ ভাঙনকবলিত স্থানটি মাটি দিয়ে আর ভরাট না করে একটি সেতু নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণে যথাযথ উদ্যোগ নিতে মাননীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহোদয় ও সরকারের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

নূর মোহাম্মদ দীন

চর বামনেরচর, রৌমারী, কুড়িগ্রাম।