১৩ জেলায় নতুন শনাক্ত ২১৮

দিনাজপুরে ২১

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, দিনাজপুর

দিনাজপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত হলেন ৩শ’ ৮২ জন। একই সময়ে নতুন ৬ জনসহ এ পর্যন্ত ১শ ১৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুছ বৃহস্পতিবার ১১ জুন রাত ১০ টায় গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন আরও ২১ জন করোনায় আক্রান্তের খবরটি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩শ’ ৮২ জনে। এছাড়া নতুন আরও ৬ জনসহ এ পর্যন্ত ১শ’ ১৫ জন সুস্থ হয়েছেন। আর এ পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ৩শ ৮২ জনের মধ্যে পুরুষ ২শ’ ৭২ জন, নারী ৯৩ জন ও শিশু ১৭ জন।

নতুন আক্রান্ত ২১ জনের মধ্যে খানসামা উপজেলায় ১০ জন, সদরে ৪ জন, চিরিরবন্দরে ৪ জন, বিরলে দুইজন ও বিরামপুর উজেলায় একজন। আর সুস্থ ৬ জনের মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ৩ জন, বীরগঞ্জে দুইজন ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় একজন।

সিভিল সার্জন জানান, করোনায় আক্রান্ত ৩শ ৮২ জনের মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ১শ ১২ জন (মৃত একজনসহ), কাহারোলে ১৩ জন, বিরলে ৩৫ জন, বোচাগঞ্জে ১০ জন (মৃত একজনসহ), পার্বতীপুরে ৩১ জন (একজন মৃতসহ), ফুলবাড়ীতে ১৪ জন, নবাবগঞ্জে ২৫ জন, হাকিমপুরে ৫ জন, খানসামায় ২২ জন, বিরামপুরে ৩২ জন, ঘোড়াঘাটে ৩১ জন, চিরিরবন্দরে ৩৪ জন (মৃত দুইজনসহ) ও বীরগঞ্জ উপজেলায় ১৮ জন।

অপরদিকে সুস্থ ১শ ১৫ জনের মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ২৭ জন, ফুলকাড়ীতে একজন, নবাবগঞ্জে ১২ জন, পার্বতীপুরে ১৩ জন, কাহারোলে ৭ জন, বোচাগঞ্জে ৫ জন, হাকিমপুরে দুইজন, ঘোড়াঘাটে ৪ জন, বিরামপুরে ৩ জন, বিরলে ২০ জন, বীরগঞ্জে ১৪ জন, খানসামায় ৬ জন ও চিরিরবন্দর উপজেলায় একজন। এছাড়া বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ২শ ২১ জন, প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন ২৭ জন, হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৩ জন ও মৃত্যুবরণ করেছেন ৬ জন।

সিভিল সার্জন জানান, বৃহস্পতিবার মোট ৮৭টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে যার মধ্যে ২১টি নমুনার ফলাফল পজিটিভ, দুইটি নমুনার ফলাফল ফলোআপ পজিটিভ ও বাকী ৬৪টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। আর এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৯শ৭৪টি নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫শ৯০টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার ২শ ১৩টি নমুনা পরীক্ষার জন্য দিনাজপুরে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১শ ৩৭ জনসহ এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৬শ ৬৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টইনে পাঠানো হয়েছে ও এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইন হতে ছাড় পেয়েছেন ৭ হাজার ৯শ ৫৮ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টইনে আছেন ২ হাজার ৭শ ৯ জন। এছাড়া এ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টইনে পাঠানো হয়েছে ৩শ ২১ জনকে ও এ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টইন হতে ছাড় পেয়েছেন ৩শ ৩ জন ও বর্তমানে ১৮ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টইনে আছেন বলে জানা গেছে।

বাগেরহাটে ১৭

প্রতিনিধি, বাগেরহাট

বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ শিশু-কিশোরসহ ১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং যশোরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় এদের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। আক্রান্তদের অধিকাংশের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ না থাকায় তাদের বাড়িতে অবরুদ্ধ রেখে চিকিৎসা দিচ্ছে এখানের স্বাস্থ্য বিভাগ।

গত ৩০ মে থেকে চলতি মাসের ৮ এপ্রিল পর্যন্ত সন্দেহভাজন এই করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠায় স্বাস্থ্য বিভাগ। শুক্রবার পর্যন্ত বাগেরহাট জেলায় মোট ৬৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস সনাক্ত হল। এরমধ্যে ১৫ জন সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় ৪ জন, কচুয়ায় ৩ জন, ফকিরহাটে ২ জন এবং মোংলায় এই প্রথম একজন করোনা পজেটিভ হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন বাদে সবাই জেলার বাইরে থেকে ফেরা।

ফকিরহাট উপজেলায় ৮ বছরের এক শিশু মেয়ে ও ১৭ বছরের একজন কিশোর রয়েছে। বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির শনিবার সকালে এ প্রতিবেদককে বলেন, শুক্রবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং যশোরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় এই ১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। সারাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর বাগেরহাটে এই প্রথম একদিনের নমুনা পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ১৭জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে।

গত ৩০ মে থেকে চলতি মাসের ৮ এপ্রিল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বাগেরহাটের সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। শুক্রবারের পরীক্ষায় ভাইরাস শনাক্ত হওয়াদের অনেকের চিকিৎসা নেয়ার ১৪ দিন সময়সীমা পার করেছেন। আক্রান্তরা সবাই সুস্থ স্বাভাবিক রয়েছেন। এদের প্রত্যেকের নমুনা সংগ্রহ করে দ্বিতীয়বারের মতো পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে। বাগেরহাট জেলায় এখন পর্যন্ত মোট ৬৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হল। এরমধ্যে ১৫ জন সুস্থ হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জে ৪২

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে নতুন আরো ৪২ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, শুক্রবার মহাখালীর আইপিএইচ ল্যাব ও কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল হাসপাতালের ল্যাবে মোট ২২৫টি নমুনার পরীক্ষায় সদর উপজেলায় ১৬ জন, বাজিতপুরে ৭ জন, কটিয়াদীতে ৫ জন, করিমগঞ্জে ৪ জন, তাড়াইলে ৩ জন, পাকুন্দিয়া, ইটনা ও অষ্টগ্রামে ২ জন করে এবং হোসেনপুরে একজন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আর নেগেটিভ হয়েছে মোট ১৮৩টি নমুনা। শুক্রবার কটিয়াদীর একজন রোগী সুস্থ হয়েছেন।

নোয়াখালীতে ৭৩

প্রতিনিধি, বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী)

নোয়াখালীতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১২৪৭জন। রেডজোন হিসেবে পুনরায় লকঢাউন দেয়া হলেও মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম। বেগমগঞ্জসহ জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হার বেড়ে যাওয়ায় গত মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত চৌমুহনী শহরসহ বেগমগঞ্জ উপজেলা এবং জেলা শহরসহ সদর উপজেলাকে রেডজোন হিসেবে চিন্তিত করে পুনরায় কঠিন লকডাউন এর ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯০টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে নতুন করে আরও ৭৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২৪৭ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে জেলার সদরে ২৫ জন, বেগমগঞ্জে ৩০ জন, সোনাইমুড়িতে ১ জন, চাটখিলে ৭ জন, সেনবাগে ৪ জন, সুবর্নচরে ৩ জন ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় ৩ জন। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১২৪৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জনসহ জেলায় মারা গেছে এ পর্যন্ত ৩৫ জন, যার মধ্যে বেগমগঞ্জে মারা গেছে ২০ জন, সেনবাগে ৬ জন, সদরে ৪ জন, সোনাইমুড়িতে ২ জন, চাটখিলে ১ জন, সুবর্নচরে ১ জন, ও কবিরহাট উপজেলায় ১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ জনসহ এ পর্যন্ত ২৮৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যাবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ রয়েছে। জেলার গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারগুলোতে জনসমাগম বেশি। নোয়াখালীতে সবচেয়ে বেশি করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে জেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনী শহরসহ বেগমগঞ্জ উপজেলা। এ উপজেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫১১ জন। যার মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশই চৌমুহনী পৌরসভার বাসিন্দা এবং শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ী। বেগমগঞ্জে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২০ জন। চৌমুহনী শহরসহ বেগমগঞ্জ এবং জেলা সদর উপজেলাকে গত মঙ্গলবার ভোর থেকে রেডজোন হিসেবে চিন্থিত করে পুনরায় কঠিন লকঢাউন ঘোষণা করলেও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মাস্ক ছাড়াই রাস্তাঘাটে ও হাটবাজারে চলাচল করছে অনেকেই। প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের মধ্যেও যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। প্রধান সড়কের পাশে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বাজারগুলোর ভেতরের গলিতে দোকানপাট খোলা রেখে বিভিন্ন কৌশলে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ব্যবসা করছে অনেকেই। শুক্রবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন অফিস ও তথ্য অফিস সূত্র জানায়, নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৭৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ১২৪৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী , জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ রয়েছে। যার মধ্যে জেলায় মারা গেছে এ পর্যন্ত ৩৫ জন। জেলায় আক্রান্ত ১২৪৭ জনের মধ্যে বেগমগঞ্জে ৫১১ জন, সদরে ৩৬৬ জন, সোনাইমুড়িতে ৬৩ জন, হাতিয়ায় ৯ জন, সেনবাগে ৭১ জন, চাটখিলে ৯০ জন, কবিরহাটে ৮৩ জন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১৭জন ও সুবর্ণচর উপজেলায় ৩৭ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মারা গেছেন ৩৫ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২৮৮ জন। জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা ডা. মোমিনুর রহমান জানান, শনাক্ত হওয়া প্রায় সবাই জ্বর,সর্দি ও কাশিতে ভুগছিল। নমুনা সংগ্রহ করে নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ ও নোয়াখালী বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে পাঠানো নমুনার মধ্যে ৩৯০টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৭৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয় এ নিয়ে জেলায় মোট ১২৪৭ জনের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা অশিম কুমার দাশ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৩০জন শনাক্ত সহ বেগমগঞ্জ উপজেলায় করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা এখন ৫১১ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ১ জন সহ এ পর্যন্ত মারা গেছে ২০ জন, যার মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশই চৌমুহনী পৌরসভার বাসিন্দা এবং শনাক্ত হওয়া ব্যাক্তিদের বেশিরভাগই চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ী এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধি। এটা খুবই উদ্বেগ ও আতঙ্কের বিষয় বলে উল্লেখ করেন ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ।

ভূরুঙ্গামারীতে ১

প্রতিনিধি,ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম)

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে আরও একজন করোনায় আক্রন্ত হয়েছেন। এ নিয়ে উপজেলায় মোট আক্রান্ত হলেন ৯ জন।

আক্রান্ত ব্যক্তি একজন নারী। তার বাড়ি উপজেলার ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের বাগভান্ডারের ঝুঁকিয়া গ্রামে। তিনি স্বামী-সন্তানসহ ঢাকায় থাকতেন। ঢাকাতে অবস্থান কালেই তার স্বামী মারা যায়। স্বামীর মৃত্যুতে সম্প্রতি পরিবারসহ ঢাকা থেকে ভূরুঙ্গামারী আসেন। তার স্বামীকে ভূরুঙ্গামারীতে দাফন করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে স্ট্রোকজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে দাবি করা হলেও এলাকাবাসীর ধারণা মৃত ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। ভূরুঙ্গামারীতে আসার পরপরই পরিবারের ৪ সদস্যেও নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর পিসি আর ল্যাবে পাঠানো হয়। শুক্রবার বিকেলে প্রাপ্ত ফলাফলে ১ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। জানা গেছে, ঢাকা থেকে আসার পরেই তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। উপজেলাস্বাস্থ্যওপরিবারপরিকল্পনা কর্মকর্তা এ এস এম সায়েম জানান,আক্রান্তনারী সুস্থ আছেন এবং বাড়িতেই আইসোলেশনে আছেন। তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শওওষুধপত্র দেয়া হয়েছে।

পঞ্চগড়ে ৩

প্রতিনিধি, পঞ্চগড়

পঞ্চগড় জেলায় গত শুত্রুবার নতুন করে ৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। দিনাজপুর পিসিআর ল্যাবের করোনার নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. ফজলুল রহমান। তিনি জানান জেলার তিনজন করোনা রোগীর ২ জন পঞ্চগড় সদর উপজেলার এবং দেবীগঞ্জ উপজেলার একজন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১০১ জনে।

কচুয়ায় ১ সাংবাদিক

প্রতিনিধি, কচুয়া (চাঁদপুর)

চাঁদপুরের কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ভোরের কাগজের কচুয়া প্রতিনিধি মো. রাকিবুল হাসান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি শুরুতে কিছুটা অসুস্থ থাকলেও বর্তমানে সুস্থবোধ করছেন।

দশমিনায় ৭

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর দশমিনায় উপজেলায় নতুন করে ৭ জন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পর্যন্ত উপজেলায় মোট আক্রান্ত হল ১০ ব্যক্তি করোনায় হয়। আক্রান্তদের মধ্যে ১ রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রয়েছে। ইতিপুর্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা শেষে সুস্থ্য হয়ে ৩ জন রোগী বাড়ি ফিরেছেন।

পটুয়াখালীতে ৩০

প্রতিনিধি, পটুয়াখালী

পটুয়াখালী জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত শুক্রবার দুই শিশুসহ ২০ জন ও শনিবাওে আরো ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে ও শনিবার সকালে ৩০ জনের করোনা ভাইরাসে সংক্রমনের শনাক্তরের তথ্য সিভিলসার্জন কার্যালয়ে এসেছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৫ জন।

মির্জাপুরে ৯

প্রতিনিধি, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দাদা-নাতি-নাতনিসহ একদিনে সর্বোচ্চ ৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত দাদা-নাতির পরিবার ঢাকা থেকে মির্জাপুরে গ্রামের বাড়ি এসে নমুনা দিয়েছিলেন।বর্তমানে তারা স-পরিবারে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এনিয়ে এই উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৬৪ জন। শনিবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম।

জানা গেছে, গত ৬ জুন স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ৭ জুন ঢাকায় পাঠায় । শনিবার তাদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজনসহ (দাদা-নাতি-নাতনি) ৯ জনের দেহে করোনা শনাক্তের খবর পায় স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। আক্রান্তরা হলেন, উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের ভাবখন্ড গ্রামের দাদা (৬৫) তার আট বছরের নাতি ও দুই বছরের নাতনি, মির্জাপুর বাজারের বাসিন্দা (৫৫), ভাওড়া ইউনিয়নের দেওয়ানপাড়ার বাসিন্দা (৩০), একই ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের করোনায় আক্রান্তের ছেলে (২৪), ময়মনসিংহ সদরের বাসিন্দা বর্তমানে মির্জাপুরের গোড়াই শিল্পাঞ্চলে অবস্থান করছেন (৩৫), পাবনা সদরের বাসিন্দা বর্তমানের গোড়াই শিল্পাঞ্চলের থাকেন (৩০), গোড়াই ক্যাডেট কলেজ এলাকার বাসিন্দা (৪৫)। আজকের ৯ জনসহ মির্জাপুরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্য ৬৪ পূর্ণ হল। এর মধ্যে একজন মারা গেছে, ১৩ জন সুস্থ হয়েছেন এবং বাকি ৫০ জন নিজ বাড়িতে এবং বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে গত এক সপ্তাহ যাবত মির্জাপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। এতে এলাকায় সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও উদকণ্ঠা দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। ঢাকা, গাজীপুরের ও নারায়ণগঞ্জ থেকে মির্জাপুরের বিভিন্ন গ্রামে আসা লোকদের মাধ্যমে করোনা ছড়াচ্ছে বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ মনে করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক জানান, আক্রান্তদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন বর্তমানে ঢাকায় অবস্থায় করছেন। অন্যরা নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিবেন। আক্রান্তদের বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউনের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সোনারগাঁয়ে ১০

প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে করোনাভাইরাসে নতুন করে একদিনে আরও ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সবশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে ১০ জনসহ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩০ জনে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার পলাশ কুমার সাহা জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গত শুক্রবার পাওয়া তথ্যমতে সোনারগাঁয়ে নতুন ১০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। পিরোজপুর, জামপুর, সনমান্দি ইউনিয়ন ও সোনারগাঁও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার মিলিয়ে যে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা রয়েছেন। এই পর্যন্ত সোনারগাঁয়ে মোট ৩৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মারা গেছেন ১৪ জন, সুস্থ হয়েছেন ১২৪ জন ও চিকিৎসাধীন আছেন ১৯২ জন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুল ইসলাম বলেন, সচেতনতা ও নিরাপত্তাই করোনাভাইরাস থেকে নিজের রক্ষার প্রথম ও প্রধান হাতিয়ার। সবার উচিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।

কিশোরগঞ্জে ১

প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে প্রধান শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। উপজেলার দক্ষিণ ভেড়ভেড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোজাহারুল ইসলাম । উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু শফি মাহমুদ জানান, করোনা উপসর্গ থাকায় নমুনা সংগ্রহ করে ১২ জুন দিনাজপুর পিসিআর ল্যাবে পাঠালে করোনা পজেটিভ ফলাফল আসে।

চুয়াডাঙ্গায় নার্সসহ ৩

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ তিনজন। আক্রান্তদের মধ্যে ২ জন নারী ও একজন পুরুষ। শুক্রবার বিকেলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআরল্যাব থেকে এ রিপোর্ট আসে। চুয়াডাঙ্গা সদরহাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জেলার ৪ উপজেলায় মোট ১৪০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ৮৬ জন।

রবিবার, ১৪ জুন ২০২০ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২১ শাওয়াল ১৪৪

১৩ জেলায় নতুন শনাক্ত ২১৮

দিনাজপুরে ২১

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, দিনাজপুর

দিনাজপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত হলেন ৩শ’ ৮২ জন। একই সময়ে নতুন ৬ জনসহ এ পর্যন্ত ১শ ১৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুছ বৃহস্পতিবার ১১ জুন রাত ১০ টায় গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন আরও ২১ জন করোনায় আক্রান্তের খবরটি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩শ’ ৮২ জনে। এছাড়া নতুন আরও ৬ জনসহ এ পর্যন্ত ১শ’ ১৫ জন সুস্থ হয়েছেন। আর এ পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত ৩শ ৮২ জনের মধ্যে পুরুষ ২শ’ ৭২ জন, নারী ৯৩ জন ও শিশু ১৭ জন।

নতুন আক্রান্ত ২১ জনের মধ্যে খানসামা উপজেলায় ১০ জন, সদরে ৪ জন, চিরিরবন্দরে ৪ জন, বিরলে দুইজন ও বিরামপুর উজেলায় একজন। আর সুস্থ ৬ জনের মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ৩ জন, বীরগঞ্জে দুইজন ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় একজন।

সিভিল সার্জন জানান, করোনায় আক্রান্ত ৩শ ৮২ জনের মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ১শ ১২ জন (মৃত একজনসহ), কাহারোলে ১৩ জন, বিরলে ৩৫ জন, বোচাগঞ্জে ১০ জন (মৃত একজনসহ), পার্বতীপুরে ৩১ জন (একজন মৃতসহ), ফুলবাড়ীতে ১৪ জন, নবাবগঞ্জে ২৫ জন, হাকিমপুরে ৫ জন, খানসামায় ২২ জন, বিরামপুরে ৩২ জন, ঘোড়াঘাটে ৩১ জন, চিরিরবন্দরে ৩৪ জন (মৃত দুইজনসহ) ও বীরগঞ্জ উপজেলায় ১৮ জন।

অপরদিকে সুস্থ ১শ ১৫ জনের মধ্যে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ২৭ জন, ফুলকাড়ীতে একজন, নবাবগঞ্জে ১২ জন, পার্বতীপুরে ১৩ জন, কাহারোলে ৭ জন, বোচাগঞ্জে ৫ জন, হাকিমপুরে দুইজন, ঘোড়াঘাটে ৪ জন, বিরামপুরে ৩ জন, বিরলে ২০ জন, বীরগঞ্জে ১৪ জন, খানসামায় ৬ জন ও চিরিরবন্দর উপজেলায় একজন। এছাড়া বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ২শ ২১ জন, প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন ২৭ জন, হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৩ জন ও মৃত্যুবরণ করেছেন ৬ জন।

সিভিল সার্জন জানান, বৃহস্পতিবার মোট ৮৭টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে যার মধ্যে ২১টি নমুনার ফলাফল পজিটিভ, দুইটি নমুনার ফলাফল ফলোআপ পজিটিভ ও বাকী ৬৪টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। আর এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৯শ৭৪টি নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫শ৯০টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার ২শ ১৩টি নমুনা পরীক্ষার জন্য দিনাজপুরে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১শ ৩৭ জনসহ এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৬শ ৬৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টইনে পাঠানো হয়েছে ও এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইন হতে ছাড় পেয়েছেন ৭ হাজার ৯শ ৫৮ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টইনে আছেন ২ হাজার ৭শ ৯ জন। এছাড়া এ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টইনে পাঠানো হয়েছে ৩শ ২১ জনকে ও এ পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টইন হতে ছাড় পেয়েছেন ৩শ ৩ জন ও বর্তমানে ১৮ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টইনে আছেন বলে জানা গেছে।

বাগেরহাটে ১৭

প্রতিনিধি, বাগেরহাট

বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ শিশু-কিশোরসহ ১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং যশোরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় এদের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। আক্রান্তদের অধিকাংশের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ না থাকায় তাদের বাড়িতে অবরুদ্ধ রেখে চিকিৎসা দিচ্ছে এখানের স্বাস্থ্য বিভাগ।

গত ৩০ মে থেকে চলতি মাসের ৮ এপ্রিল পর্যন্ত সন্দেহভাজন এই করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠায় স্বাস্থ্য বিভাগ। শুক্রবার পর্যন্ত বাগেরহাট জেলায় মোট ৬৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস সনাক্ত হল। এরমধ্যে ১৫ জন সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় ৪ জন, কচুয়ায় ৩ জন, ফকিরহাটে ২ জন এবং মোংলায় এই প্রথম একজন করোনা পজেটিভ হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন বাদে সবাই জেলার বাইরে থেকে ফেরা।

ফকিরহাট উপজেলায় ৮ বছরের এক শিশু মেয়ে ও ১৭ বছরের একজন কিশোর রয়েছে। বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির শনিবার সকালে এ প্রতিবেদককে বলেন, শুক্রবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং যশোরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় এই ১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। সারাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর বাগেরহাটে এই প্রথম একদিনের নমুনা পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ১৭জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে।

গত ৩০ মে থেকে চলতি মাসের ৮ এপ্রিল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বাগেরহাটের সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। শুক্রবারের পরীক্ষায় ভাইরাস শনাক্ত হওয়াদের অনেকের চিকিৎসা নেয়ার ১৪ দিন সময়সীমা পার করেছেন। আক্রান্তরা সবাই সুস্থ স্বাভাবিক রয়েছেন। এদের প্রত্যেকের নমুনা সংগ্রহ করে দ্বিতীয়বারের মতো পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে। বাগেরহাট জেলায় এখন পর্যন্ত মোট ৬৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হল। এরমধ্যে ১৫ জন সুস্থ হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জে ৪২

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে নতুন আরো ৪২ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, শুক্রবার মহাখালীর আইপিএইচ ল্যাব ও কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল হাসপাতালের ল্যাবে মোট ২২৫টি নমুনার পরীক্ষায় সদর উপজেলায় ১৬ জন, বাজিতপুরে ৭ জন, কটিয়াদীতে ৫ জন, করিমগঞ্জে ৪ জন, তাড়াইলে ৩ জন, পাকুন্দিয়া, ইটনা ও অষ্টগ্রামে ২ জন করে এবং হোসেনপুরে একজন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আর নেগেটিভ হয়েছে মোট ১৮৩টি নমুনা। শুক্রবার কটিয়াদীর একজন রোগী সুস্থ হয়েছেন।

নোয়াখালীতে ৭৩

প্রতিনিধি, বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী)

নোয়াখালীতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১২৪৭জন। রেডজোন হিসেবে পুনরায় লকঢাউন দেয়া হলেও মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম। বেগমগঞ্জসহ জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হার বেড়ে যাওয়ায় গত মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত চৌমুহনী শহরসহ বেগমগঞ্জ উপজেলা এবং জেলা শহরসহ সদর উপজেলাকে রেডজোন হিসেবে চিন্তিত করে পুনরায় কঠিন লকডাউন এর ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯০টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে নতুন করে আরও ৭৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২৪৭ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে জেলার সদরে ২৫ জন, বেগমগঞ্জে ৩০ জন, সোনাইমুড়িতে ১ জন, চাটখিলে ৭ জন, সেনবাগে ৪ জন, সুবর্নচরে ৩ জন ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় ৩ জন। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১২৪৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জনসহ জেলায় মারা গেছে এ পর্যন্ত ৩৫ জন, যার মধ্যে বেগমগঞ্জে মারা গেছে ২০ জন, সেনবাগে ৬ জন, সদরে ৪ জন, সোনাইমুড়িতে ২ জন, চাটখিলে ১ জন, সুবর্নচরে ১ জন, ও কবিরহাট উপজেলায় ১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ জনসহ এ পর্যন্ত ২৮৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যাবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ রয়েছে। জেলার গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারগুলোতে জনসমাগম বেশি। নোয়াখালীতে সবচেয়ে বেশি করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে জেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনী শহরসহ বেগমগঞ্জ উপজেলা। এ উপজেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫১১ জন। যার মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশই চৌমুহনী পৌরসভার বাসিন্দা এবং শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ী। বেগমগঞ্জে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২০ জন। চৌমুহনী শহরসহ বেগমগঞ্জ এবং জেলা সদর উপজেলাকে গত মঙ্গলবার ভোর থেকে রেডজোন হিসেবে চিন্থিত করে পুনরায় কঠিন লকঢাউন ঘোষণা করলেও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মাস্ক ছাড়াই রাস্তাঘাটে ও হাটবাজারে চলাচল করছে অনেকেই। প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের মধ্যেও যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। প্রধান সড়কের পাশে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বাজারগুলোর ভেতরের গলিতে দোকানপাট খোলা রেখে বিভিন্ন কৌশলে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ব্যবসা করছে অনেকেই। শুক্রবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন অফিস ও তথ্য অফিস সূত্র জানায়, নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৭৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ১২৪৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী , জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ রয়েছে। যার মধ্যে জেলায় মারা গেছে এ পর্যন্ত ৩৫ জন। জেলায় আক্রান্ত ১২৪৭ জনের মধ্যে বেগমগঞ্জে ৫১১ জন, সদরে ৩৬৬ জন, সোনাইমুড়িতে ৬৩ জন, হাতিয়ায় ৯ জন, সেনবাগে ৭১ জন, চাটখিলে ৯০ জন, কবিরহাটে ৮৩ জন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১৭জন ও সুবর্ণচর উপজেলায় ৩৭ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মারা গেছেন ৩৫ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২৮৮ জন। জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা ডা. মোমিনুর রহমান জানান, শনাক্ত হওয়া প্রায় সবাই জ্বর,সর্দি ও কাশিতে ভুগছিল। নমুনা সংগ্রহ করে নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ ও নোয়াখালী বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে পাঠানো নমুনার মধ্যে ৩৯০টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৭৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয় এ নিয়ে জেলায় মোট ১২৪৭ জনের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা অশিম কুমার দাশ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৩০জন শনাক্ত সহ বেগমগঞ্জ উপজেলায় করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা এখন ৫১১ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ১ জন সহ এ পর্যন্ত মারা গেছে ২০ জন, যার মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশই চৌমুহনী পৌরসভার বাসিন্দা এবং শনাক্ত হওয়া ব্যাক্তিদের বেশিরভাগই চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ী এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধি। এটা খুবই উদ্বেগ ও আতঙ্কের বিষয় বলে উল্লেখ করেন ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ।

ভূরুঙ্গামারীতে ১

প্রতিনিধি,ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম)

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে আরও একজন করোনায় আক্রন্ত হয়েছেন। এ নিয়ে উপজেলায় মোট আক্রান্ত হলেন ৯ জন।

আক্রান্ত ব্যক্তি একজন নারী। তার বাড়ি উপজেলার ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের বাগভান্ডারের ঝুঁকিয়া গ্রামে। তিনি স্বামী-সন্তানসহ ঢাকায় থাকতেন। ঢাকাতে অবস্থান কালেই তার স্বামী মারা যায়। স্বামীর মৃত্যুতে সম্প্রতি পরিবারসহ ঢাকা থেকে ভূরুঙ্গামারী আসেন। তার স্বামীকে ভূরুঙ্গামারীতে দাফন করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে স্ট্রোকজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে দাবি করা হলেও এলাকাবাসীর ধারণা মৃত ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। ভূরুঙ্গামারীতে আসার পরপরই পরিবারের ৪ সদস্যেও নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর পিসি আর ল্যাবে পাঠানো হয়। শুক্রবার বিকেলে প্রাপ্ত ফলাফলে ১ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। জানা গেছে, ঢাকা থেকে আসার পরেই তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। উপজেলাস্বাস্থ্যওপরিবারপরিকল্পনা কর্মকর্তা এ এস এম সায়েম জানান,আক্রান্তনারী সুস্থ আছেন এবং বাড়িতেই আইসোলেশনে আছেন। তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শওওষুধপত্র দেয়া হয়েছে।

পঞ্চগড়ে ৩

প্রতিনিধি, পঞ্চগড়

পঞ্চগড় জেলায় গত শুত্রুবার নতুন করে ৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। দিনাজপুর পিসিআর ল্যাবের করোনার নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. ফজলুল রহমান। তিনি জানান জেলার তিনজন করোনা রোগীর ২ জন পঞ্চগড় সদর উপজেলার এবং দেবীগঞ্জ উপজেলার একজন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১০১ জনে।

কচুয়ায় ১ সাংবাদিক

প্রতিনিধি, কচুয়া (চাঁদপুর)

চাঁদপুরের কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ভোরের কাগজের কচুয়া প্রতিনিধি মো. রাকিবুল হাসান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি শুরুতে কিছুটা অসুস্থ থাকলেও বর্তমানে সুস্থবোধ করছেন।

দশমিনায় ৭

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর দশমিনায় উপজেলায় নতুন করে ৭ জন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পর্যন্ত উপজেলায় মোট আক্রান্ত হল ১০ ব্যক্তি করোনায় হয়। আক্রান্তদের মধ্যে ১ রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রয়েছে। ইতিপুর্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা শেষে সুস্থ্য হয়ে ৩ জন রোগী বাড়ি ফিরেছেন।

পটুয়াখালীতে ৩০

প্রতিনিধি, পটুয়াখালী

পটুয়াখালী জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। গত শুক্রবার দুই শিশুসহ ২০ জন ও শনিবাওে আরো ১০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে ও শনিবার সকালে ৩০ জনের করোনা ভাইরাসে সংক্রমনের শনাক্তরের তথ্য সিভিলসার্জন কার্যালয়ে এসেছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫৫ জন।

মির্জাপুরে ৯

প্রতিনিধি, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দাদা-নাতি-নাতনিসহ একদিনে সর্বোচ্চ ৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত দাদা-নাতির পরিবার ঢাকা থেকে মির্জাপুরে গ্রামের বাড়ি এসে নমুনা দিয়েছিলেন।বর্তমানে তারা স-পরিবারে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এনিয়ে এই উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৬৪ জন। শনিবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম।

জানা গেছে, গত ৬ জুন স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ৭ জুন ঢাকায় পাঠায় । শনিবার তাদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজনসহ (দাদা-নাতি-নাতনি) ৯ জনের দেহে করোনা শনাক্তের খবর পায় স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। আক্রান্তরা হলেন, উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের ভাবখন্ড গ্রামের দাদা (৬৫) তার আট বছরের নাতি ও দুই বছরের নাতনি, মির্জাপুর বাজারের বাসিন্দা (৫৫), ভাওড়া ইউনিয়নের দেওয়ানপাড়ার বাসিন্দা (৩০), একই ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের করোনায় আক্রান্তের ছেলে (২৪), ময়মনসিংহ সদরের বাসিন্দা বর্তমানে মির্জাপুরের গোড়াই শিল্পাঞ্চলে অবস্থান করছেন (৩৫), পাবনা সদরের বাসিন্দা বর্তমানের গোড়াই শিল্পাঞ্চলের থাকেন (৩০), গোড়াই ক্যাডেট কলেজ এলাকার বাসিন্দা (৪৫)। আজকের ৯ জনসহ মির্জাপুরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্য ৬৪ পূর্ণ হল। এর মধ্যে একজন মারা গেছে, ১৩ জন সুস্থ হয়েছেন এবং বাকি ৫০ জন নিজ বাড়িতে এবং বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে গত এক সপ্তাহ যাবত মির্জাপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। এতে এলাকায় সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও উদকণ্ঠা দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। ঢাকা, গাজীপুরের ও নারায়ণগঞ্জ থেকে মির্জাপুরের বিভিন্ন গ্রামে আসা লোকদের মাধ্যমে করোনা ছড়াচ্ছে বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ মনে করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক জানান, আক্রান্তদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন বর্তমানে ঢাকায় অবস্থায় করছেন। অন্যরা নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিবেন। আক্রান্তদের বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউনের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সোনারগাঁয়ে ১০

প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে করোনাভাইরাসে নতুন করে একদিনে আরও ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সবশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে ১০ জনসহ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩০ জনে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার পলাশ কুমার সাহা জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গত শুক্রবার পাওয়া তথ্যমতে সোনারগাঁয়ে নতুন ১০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। পিরোজপুর, জামপুর, সনমান্দি ইউনিয়ন ও সোনারগাঁও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার মিলিয়ে যে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা রয়েছেন। এই পর্যন্ত সোনারগাঁয়ে মোট ৩৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে মারা গেছেন ১৪ জন, সুস্থ হয়েছেন ১২৪ জন ও চিকিৎসাধীন আছেন ১৯২ জন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুল ইসলাম বলেন, সচেতনতা ও নিরাপত্তাই করোনাভাইরাস থেকে নিজের রক্ষার প্রথম ও প্রধান হাতিয়ার। সবার উচিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।

কিশোরগঞ্জে ১

প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে প্রধান শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। উপজেলার দক্ষিণ ভেড়ভেড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোজাহারুল ইসলাম । উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু শফি মাহমুদ জানান, করোনা উপসর্গ থাকায় নমুনা সংগ্রহ করে ১২ জুন দিনাজপুর পিসিআর ল্যাবে পাঠালে করোনা পজেটিভ ফলাফল আসে।

চুয়াডাঙ্গায় নার্সসহ ৩

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ তিনজন। আক্রান্তদের মধ্যে ২ জন নারী ও একজন পুরুষ। শুক্রবার বিকেলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআরল্যাব থেকে এ রিপোর্ট আসে। চুয়াডাঙ্গা সদরহাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জেলার ৪ উপজেলায় মোট ১৪০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ৮৬ জন।