আ’লীগ নেতা বরকত-রুবেলের গুদামে জব্দকৃত চালের উৎস সন্ধানে পুলিশ

ফরিদপুরে গ্রেপ্তার হওয়া বহুল আলোচিত শহর আ.লীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের গুদাম থেকে উদ্ধার হওয়া ৬০ হাজার কেজি চাউল উদ্ধারের ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এ চালের উৎসের সন্ধানে নেমেছে পুলিশ। উৎস অনুসন্ধানে তৎপর রয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও। গত ৭ জুন রাত ২টা ২৫ মিনিট থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত শহরের বদরপুর এলাকায় সাজ্জাদের মালিকানাধীন সাউথ লাইনপরিবহনের বাস রাখার সেডের মধ্যে ও ব্রাহ্মণকান্দাস্থ তাদের বসত ঘরের শয়ন কক্ষের লকার থেকে ওই চাল ও বিদেশী অর্থ জব্দ করে পুলিশ। প্রসঙ্গত সাজ্জাদ হোসেন রবকত শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি এস বি কনস্ট্রাকশন নামে কনস্ট্রাকশন ফার্মের সত্ত্বাধিকারি এবং বরকত গ্রুপের প্রধান। এছাড়া তিনি জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি ছিলেন। গত ৭ জুন রাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর শহর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বাস মালিক গ্রুপের সভাপতির পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ওইচাল এবং দেশি বিদেশি বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশের উদ্যোগে সাজ্জাদ হোসেন ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল মামলা হয়েছে। ওই দিন সাজ্জাদ হোসেন ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসানের বাড়ি ও গুদাম তল্লাশি করে এক হাজার ২০০টি বস্তায় ৬০ হাজার কেজি চাল, ৩ হাজার ইউএন ডলার, ৯৮ হাজার ভারতীয় রূপি জব্দ করা হয়। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন বলেন, বরকত ও রুবেল বর্তমানে অস্ত্র আইনে দায়ের করা একটি মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে আছেন। ওই রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা এ মামলায় রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। ফরিদপুর জেলার ভারপ্রাপ্তখাদ্য কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ বলেন, শহরের বদরপুর এলাকায় সাজ্জাদ হোসেন বরকত মালিকানাধীন সাউথ লাইন পরিবহনের বাস রাখার সেডের মধ্যে ৬০ হাজার কেজি চাউল উদ্ধারের খবর শুনে তিনি ঘটনা স্থলে গিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, ওই গুদামে ৫০ কেজি করে চটের বস্তা ও পলিথিনের বস্তায় ওই চাল গুলি দেখতে পেয়েছেন। ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুম রেজা বলেন, উদ্ধারকৃত ওই চাল নিয়ে তদন্ত করার কোন নির্দেশনা তিনি পাননি। তিনি বলেন, পুলিশ যে সময় চাল গুলি জব্দ করেন ওই সময় জেলার ভারপ্রাপ্তখাদ্য কর্মকর্তা ও প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্ট অফিসার (পিআইও) ওই স্থানে উপস্থিত ছিলেন। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, সাজ্জাদ হোসেন বরকত মালিকানাধীন সাউথ লাইন পরিবহনের বাস রাখার সেডের মধ্যে ৪০০টি চটের বস্তা এবং ৮০০টি পলিথিনের বস্তায় ভর্তি যে ৬০ হাজার কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে তা এ আপদকালীন সময়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নেয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়েছে।

রবিবার, ১৪ জুন ২০২০ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২১ শাওয়াল ১৪৪

আ’লীগ নেতা বরকত-রুবেলের গুদামে জব্দকৃত চালের উৎস সন্ধানে পুলিশ

প্রতিনিধি, ফরিদপুর

ফরিদপুরে গ্রেপ্তার হওয়া বহুল আলোচিত শহর আ.লীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের গুদাম থেকে উদ্ধার হওয়া ৬০ হাজার কেজি চাউল উদ্ধারের ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এ চালের উৎসের সন্ধানে নেমেছে পুলিশ। উৎস অনুসন্ধানে তৎপর রয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও। গত ৭ জুন রাত ২টা ২৫ মিনিট থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত শহরের বদরপুর এলাকায় সাজ্জাদের মালিকানাধীন সাউথ লাইনপরিবহনের বাস রাখার সেডের মধ্যে ও ব্রাহ্মণকান্দাস্থ তাদের বসত ঘরের শয়ন কক্ষের লকার থেকে ওই চাল ও বিদেশী অর্থ জব্দ করে পুলিশ। প্রসঙ্গত সাজ্জাদ হোসেন রবকত শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি এস বি কনস্ট্রাকশন নামে কনস্ট্রাকশন ফার্মের সত্ত্বাধিকারি এবং বরকত গ্রুপের প্রধান। এছাড়া তিনি জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি ছিলেন। গত ৭ জুন রাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর শহর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বাস মালিক গ্রুপের সভাপতির পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ওইচাল এবং দেশি বিদেশি বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশের উদ্যোগে সাজ্জাদ হোসেন ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল মামলা হয়েছে। ওই দিন সাজ্জাদ হোসেন ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসানের বাড়ি ও গুদাম তল্লাশি করে এক হাজার ২০০টি বস্তায় ৬০ হাজার কেজি চাল, ৩ হাজার ইউএন ডলার, ৯৮ হাজার ভারতীয় রূপি জব্দ করা হয়। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন বলেন, বরকত ও রুবেল বর্তমানে অস্ত্র আইনে দায়ের করা একটি মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে আছেন। ওই রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা এ মামলায় রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। ফরিদপুর জেলার ভারপ্রাপ্তখাদ্য কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ বলেন, শহরের বদরপুর এলাকায় সাজ্জাদ হোসেন বরকত মালিকানাধীন সাউথ লাইন পরিবহনের বাস রাখার সেডের মধ্যে ৬০ হাজার কেজি চাউল উদ্ধারের খবর শুনে তিনি ঘটনা স্থলে গিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, ওই গুদামে ৫০ কেজি করে চটের বস্তা ও পলিথিনের বস্তায় ওই চাল গুলি দেখতে পেয়েছেন। ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুম রেজা বলেন, উদ্ধারকৃত ওই চাল নিয়ে তদন্ত করার কোন নির্দেশনা তিনি পাননি। তিনি বলেন, পুলিশ যে সময় চাল গুলি জব্দ করেন ওই সময় জেলার ভারপ্রাপ্তখাদ্য কর্মকর্তা ও প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্ট অফিসার (পিআইও) ওই স্থানে উপস্থিত ছিলেন। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, সাজ্জাদ হোসেন বরকত মালিকানাধীন সাউথ লাইন পরিবহনের বাস রাখার সেডের মধ্যে ৪০০টি চটের বস্তা এবং ৮০০টি পলিথিনের বস্তায় ভর্তি যে ৬০ হাজার কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে তা এ আপদকালীন সময়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নেয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে করা হয়েছে।